চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : অনিল চৌহান

- Update Time : ০২:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৫ Time View
পাকিস্তান নয়, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। গতকাল শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এক সভায় তিনি একথা বলেন।
চৌহান বলেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যার পরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হল পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধের মোকাবিলা করা।
তিনি বলেন, ইসলামাবাদের কৌশল সর্বদা ‘ভারতকে হাজারবার কাটা দিয়ে রক্তাক্ত করা’।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তৃতীয় চ্যালেঞ্জ আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মোকাবিলা এবং চতুর্থ চ্যালেঞ্জ ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধের মোকাবিলার জন্য ধারাবাহিক প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া।
চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ এবং পাকিস্তানের ছায়াযুদ্ধের সমস্যা যে আগামী দিনেও থাকবে, সে কথাও স্পষ্ট করে জেনারেল চৌহান বলেন, আমাদের দুই প্রতিপক্ষই পরমাণু শক্তিধর। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাই, তা নির্ধারণ করা সবসময়ই একটি চ্যালেঞ্জ।
অনিল চৌহান সমাবেশে বলেন, “দেশগুলোর সামনে চ্যালেঞ্জগুলো ক্ষণস্থায়ী নয়; এগুলো বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান। আমি মনে করি চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ ভারতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং তা অব্যাহত থাকবে। দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রক্সি যুদ্ধ, যার কৌশল ‘হাজার ক্ষতবিক্ষত ভারতকে রক্তাক্ত করার।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল যুদ্ধের ক্ষেত্র পরিবর্তিত হয়েছে – এর মধ্যে এখন সাইবার এবং মহাকাশ অন্তর্ভুক্ত। আমাদের উভয় প্রতিপক্ষই পারমাণবিক শক্তিধর, এবং তাদের বিরুদ্ধে আমরা কী ধরণের অভিযান পরিচালনা করতে চাই তা নির্ধারণ করা সর্বদা একটি চ্যালেঞ্জ থাকবে।”
শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মে মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিন্দুর সম্পর্কেও কথা বলেন, যেখানে ভারত ২২শে এপ্রিলের পহেলগাম হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান চালায়।
তিনি বলেন যে অভিযানের সময় সশস্ত্র বাহিনীর পূর্ণ কার্যক্ষম স্বাধীনতা ছিল এবং লক্ষ্য ছিল “আমাদের ধৈর্যের সীমারেখা টানা”।
তিনি বলেন, “অপারেশন সিন্দুরের সময় আমাদের পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য নির্বাচন সহ সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা ছিল। লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নেওয়া নয়, বরং আমাদের ধৈর্যের সীমা টেনে দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, অপারেশন সিন্দুর একটি বহুমুখী অভিযান ছিল, যার মধ্যে সাইবার যুদ্ধ এবং সামরিক শাখার মধ্যে সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জেনারেল চৌহান বৃহস্পতিবার গোরক্ষপুরে পৌঁছান। তিনি গোরক্ষ যুদ্ধ স্মারক সংস্কার এবং গোর্খা জাদুঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাথে যোগ দেন। তিনি গোরক্ষনাথ মন্দিরেও প্রার্থনা করেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়