ঢাকা ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
“ভাই, সুমাইয়াকে মাইরা ফালাইছি” পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত গ্রেফতার কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড প্রক্রিয়া শুরু হত্যা চেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর নাম কাটতে এসে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাজেট বরাদ্দে জবি পূর্বের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে – ইউজিসি চেয়ারম্যান রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব করবে জাতিসংঘ জাতীয় পরিচয় পত্রের কার্যক্রম সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশনে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  চায়ের দোকানের আঁড়ালে মদের ব্যবসা, গ্রেফতার ২ কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ

পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত গ্রেফতার

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:১৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / ১০ Time View

বরগুনায় এক পথশিশুকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার পর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম আলী (৬৫) নামে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পৌর শহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মোসলেমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বৃদ্ধ মোসলেম আলী সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী পথশিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো।

জানা গেছে, অভিযুক্ত মোসলেম আলী বরগুনা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি না দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেম আলীকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার এবং তার দেওয়া বর্ণনানুযায়ী তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করায় তাকে গ্রেফতার করেছি। একই সাথে বৃদ্ধ মোসলেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পথশিশুকে ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত গ্রেফতার

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:১৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

বরগুনায় এক পথশিশুকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার পর হাসপাতালে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনার সাত দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসলেম আলী (৬৫) নামে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পৌর শহরের নয়াকাটা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মোসলেমকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বৃদ্ধ মোসলেম আলী সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী পথশিশুটি বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বৈকালীন বাজার এলাকার বাসিন্দা। শিশুটির বাবা ভিক্ষুক ও মা মানসিক প্রতিবন্ধী। সে শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থানে এবং বরগুনা সদর হাসপাতাল এলাকায় ভাসমান অবস্থায় থাকতো।

জানা গেছে, অভিযুক্ত মোসলেম আলী বরগুনা সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন। গত ৭ মার্চ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেটের কাছে পথশিশুটিকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তার পাশবিক নির্যাতনের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি না দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাত ২টার দিকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ সময় শিশুটির সঙ্গে তার ছোট বোনও ছিল। সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে শিশুটি নিজেই অভিযুক্ত মোসলেম আলীকে শনাক্ত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোসলেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার এবং তার দেওয়া বর্ণনানুযায়ী তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক বৃদ্ধকে শিশুটি শনাক্ত করায় তাকে গ্রেফতার করেছি। একই সাথে বৃদ্ধ মোসলেম আলীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।