ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজার থেকে ৬০০ কেজি সরকারি চাল উদ্ধার সিলেটে দুই বছরের শিশুকে ধর্ষণঃ অভিযুক্ত বালক কারাগারে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে তাই আন্দোলনে নেমেছি : গোলাম পরওয়ার আমি যে কাজ করেছি তা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনদিন হয়নিঃ আসিফ নজরুল রূপগঞ্জে চাঁদাবাজি ও প্রবাসীদের মারধরের অভিযোগে ১২ হিজড়া গ্রেফতার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যুবকের ৪০ কেজি দুধ দিয়ে গোসল সচিবালয়কে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সরকারের সিদ্ধান্ত কুবি শিক্ষার্থী সুমাইয়াকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয়েছে: আসামির স্বীকারোক্তি ব্রাজিল সফরে প্রধান বিচারপতি

পঞ্চগড় জেলা পরিষদে অনিয়ম

সাব্বির হোসেন ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৪৭ Time View

পঞ্চগড় জেলা পরিষদে সাবেক চেয়ারম্যান,সদস্য ও কর্মচারীদের নামে বিধিমালা ভঙ্গ করে দোকানঘর ভাগবাটোয়ারা করার খবর পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে,পরিষদ সংলগ্ন থানা রোডে সাতটি দোকানঘর বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন অনিয়মের খেলায় মেতে উঠেছিল জেলা পরিষদ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বরাদ্দ বাতিল করে পুনরায় বরাদ্দের দাবী জানান।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে পরিষদ সংলগ্ন সদর থানা রোডে সাতটি দোকানঘর নির্মান করা হয়।স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ ইজারা বিধিমালা-২০১৭ অনুসরণ করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইজারা দেওয়া।

কিন্তু আইনভঙ্গ করে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক চাকলাহাট এলাকার জশিয়ার রহমান ও হামিদুর রহমানের নামে দুটি দোকানঘর, জেলা পরিষদের সদস্য হারেজ আলী আসাদুর রহমান ও আব্দুল জলিলের নামে দুটি ,জেলা পরিষদের সিএ কাম কম্পিউটার অপারেটর সাইদুজ্জামান তার মেয়ে মনি এন্ড মনি এন্টার প্রাইজ নামে একটি,পরিষদের নিম্নমান সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল মোত্তালেবের ছেলে তাহমিদুর রহমান রিফাতের নামে একটি,অফিসের উচ্চমান সহকারি মোহাম্মদ নুরুল আমিন সরকার তার ছেলে আতিকুল্লাহর নামে একটি দোকারঘর ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।

এই বিধিমালার ৭(জ) ধারায় উল্লেখ রয়েছে,পরিষদের কোনো সম্পত্তি উহার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্মচারীর নামে বা বেনামে বা তাহার কোনো আত্মীয়ের নামে ইজারা বা ভাড়া প্রদান করা যাইবে না। ৫ আগস্টের পর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পরিষদের সদস্য হারেজ আলী আত্মগোপনে থাকায় এ প্রসঙ্গে কথা হয়নি।

তবে কর্মচারীরা বলেছেন,নিজেদের টাকায় দোকানঘর নির্মান করেছি। পরে ইজারা দেখানো হয়েছে। স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই স্থানের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই জমিতে দোকান ঘর বানিয়ে বেশি টাকায় ভাড়া দেওয়া সম্ভব।নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে দোকানঘর ইজারা দেখানো হয়েছে।

এসব অনিয়মের বিষয়ে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান,আমার জানা নাই। পরিষদে নতুন যোগদান করেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

পঞ্চগড় জেলা পরিষদে অনিয়ম

সাব্বির হোসেন ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পঞ্চগড় জেলা পরিষদে সাবেক চেয়ারম্যান,সদস্য ও কর্মচারীদের নামে বিধিমালা ভঙ্গ করে দোকানঘর ভাগবাটোয়ারা করার খবর পাওয়া গেছে।

অভিযোগ রয়েছে,পরিষদ সংলগ্ন থানা রোডে সাতটি দোকানঘর বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন অনিয়মের খেলায় মেতে উঠেছিল জেলা পরিষদ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের বরাদ্দ বাতিল করে পুনরায় বরাদ্দের দাবী জানান।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে পরিষদ সংলগ্ন সদর থানা রোডে সাতটি দোকানঘর নির্মান করা হয়।স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জেলা পরিষদ ইজারা বিধিমালা-২০১৭ অনুসরণ করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইজারা দেওয়া।

কিন্তু আইনভঙ্গ করে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক চাকলাহাট এলাকার জশিয়ার রহমান ও হামিদুর রহমানের নামে দুটি দোকানঘর, জেলা পরিষদের সদস্য হারেজ আলী আসাদুর রহমান ও আব্দুল জলিলের নামে দুটি ,জেলা পরিষদের সিএ কাম কম্পিউটার অপারেটর সাইদুজ্জামান তার মেয়ে মনি এন্ড মনি এন্টার প্রাইজ নামে একটি,পরিষদের নিম্নমান সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল মোত্তালেবের ছেলে তাহমিদুর রহমান রিফাতের নামে একটি,অফিসের উচ্চমান সহকারি মোহাম্মদ নুরুল আমিন সরকার তার ছেলে আতিকুল্লাহর নামে একটি দোকারঘর ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।

এই বিধিমালার ৭(জ) ধারায় উল্লেখ রয়েছে,পরিষদের কোনো সম্পত্তি উহার চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্মচারীর নামে বা বেনামে বা তাহার কোনো আত্মীয়ের নামে ইজারা বা ভাড়া প্রদান করা যাইবে না। ৫ আগস্টের পর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পরিষদের সদস্য হারেজ আলী আত্মগোপনে থাকায় এ প্রসঙ্গে কথা হয়নি।

তবে কর্মচারীরা বলেছেন,নিজেদের টাকায় দোকানঘর নির্মান করেছি। পরে ইজারা দেখানো হয়েছে। স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই স্থানের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই জমিতে দোকান ঘর বানিয়ে বেশি টাকায় ভাড়া দেওয়া সম্ভব।নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে দোকানঘর ইজারা দেখানো হয়েছে।

এসব অনিয়মের বিষয়ে জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান,আমার জানা নাই। পরিষদে নতুন যোগদান করেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।