ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ

আবু সাঈদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
  • / ১৭০ Time View

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

নিজের গড়ে তোলা নন্দন-কানন নুহাশপল্লী, যেখানে তিনি চিরশায়িত, সেখানে আজ নানা আয়োজনে স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করেছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও সকাল থেকে হুমায়ূন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক, নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রুপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। এ সময় তাঁরা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিনা পারভীনসহ হ‌ুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আয়োজন করা হয় কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের। মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশপল্লী মসজিদের ইমাম হাফেজ মুজিবুর রহমান।

কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ছোট দুই সন্তান অকালে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ব্যাপারটি আমাকে ভীষণ কষ্টতাড়িত করে। হুমায়ূন আহমেদ কত বড়মাপের একজন লেখক, পরিচালক ও গীতিকার ছিলেন, কত বড়মাপের সৃষ্টিশীল সত্তা ছিলেন, তাঁর শূন্যতা তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন অনুধাবন করা যায়।’ এ সময় মেহের আফরোজ শাওন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হ‌ুমায়ূন পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন নাটক ও সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি জানান।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নুহাশপল্লীতে প্রবেশ করতে প্রাপ্তবয়স্কদের গুনতে হয় ২০০ টাকা। তবে লেখকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রবেশ ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও লেখকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে পরিবারের সদস্য, প্রকাশক ও ভক্তদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর দুপুরে দুইশ এতিমকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় এ লেখক ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ।

২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ

আবু সাঈদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৫৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

নিজের গড়ে তোলা নন্দন-কানন নুহাশপল্লী, যেখানে তিনি চিরশায়িত, সেখানে আজ নানা আয়োজনে স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করেছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও সকাল থেকে হুমায়ূন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক, নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রুপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। এ সময় তাঁরা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিনা পারভীনসহ হ‌ুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আয়োজন করা হয় কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের। মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশপল্লী মসজিদের ইমাম হাফেজ মুজিবুর রহমান।

কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ছোট দুই সন্তান অকালে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ব্যাপারটি আমাকে ভীষণ কষ্টতাড়িত করে। হুমায়ূন আহমেদ কত বড়মাপের একজন লেখক, পরিচালক ও গীতিকার ছিলেন, কত বড়মাপের সৃষ্টিশীল সত্তা ছিলেন, তাঁর শূন্যতা তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন অনুধাবন করা যায়।’ এ সময় মেহের আফরোজ শাওন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হ‌ুমায়ূন পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন নাটক ও সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি জানান।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নুহাশপল্লীতে প্রবেশ করতে প্রাপ্তবয়স্কদের গুনতে হয় ২০০ টাকা। তবে লেখকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রবেশ ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও লেখকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে পরিবারের সদস্য, প্রকাশক ও ভক্তদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর দুপুরে দুইশ এতিমকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জনপ্রিয় এ লেখক ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ।

২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।