ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জনগণের মাঝে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মা আমরা ধর্ম চর্চা করবো, কারো প্রতি বিদ্ধেষ করবোনা: ধর্ম উপদেষ্টা টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে ঢুকে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যা আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রত্যাশা: ড. খলিলুর রহমান ৫ মাসেও সন্ধান মিলেনি উখিয়ায় অপহ্নত ৪ জেলের : পরিবারে চলছে শোকের মাতম আগামীকালের ভর্তি পরীক্ষা নিতে প্রস্তুত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যুবলীগ নেতা ইউছুফ আটক গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মাকে হত্যা; ছেলে গ্রেফতার প্রেমিকের প্রলোভনে স্বামীকে তালাক, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন

নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সভ্যতার সকল বৈচিত্র্যকে বিবেচনায় নিতে হবেঃ জাবি উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৯৪ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সভ্যতার সকল বৈচিত্র্যকে বিবেচনায় নিতে হবে । এথনিক্যাল মাইনোরটিদের জন্য কোনো নীতি তৈরি করতে হলে, তাদের সাথে সহাবস্থান করা অন্য জাতিস্বত্তাকেও বিবেচনায় আনতে হবে, সেটা না করা হলে বাস্তুতান্ত্রিক বিবেচনায় কর্মপন্থা টেকসই হবে না। এমনভাবে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমাদের সমাজে বসবাসযোগ্য সকল প্রাণ ও প্রাণহীন অংশীজনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। কারণ সবারই মূল্য আছে এবং কর্তব্যই মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।

আজ শনিবার (২১ নভেম্বর ) সকাল সাড়ে দশটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডাপশন পাথওয়েজ: পারসপেকটিভস ফ্রম ভালনারেবল এথনিক কমিউনিটিজ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব কথা বলেন।

সেমিনারে দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং তাদের জন্য সংস্কৃতিবান্ধব অভিযোজন পথ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় বক্তারা কথা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন জরুরি। যে তথ‍্যাদি গবেষণায় বের হয়ে আসবে সেসব নথিভুক্ত করার পাশাপাশি পরবর্তী অ‍্যাকশনপ্ল‍্যান প্রকল্পেই থাকতে হবে। তা না হলে কাজটি অসস্পূর্ণ থেকে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

স্বাগত বক্তব্য ও প্রজেক্ট ব্রিফ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি প্রকল্প থেকে হওয়া গবেষণাগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি এই কাজ থেকে শিক্ষার্থীরা কীভাবে গবেষণা কাজে যুক্ত হয়েছেন এবং তার প্রয়োজনীয়তার দিক তুলে ধরেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ইনক্লুসিভ রেজিলিয়েন্স টু ক্লাইমেট চেঞ্জ: প্লেইনল্যান্ড ইন্ডিজেনিয়াস পিপলস ক্লাইমেট চেঞ্জ ভালনারেবিলিটি অ্যান্ড কালচার সেন্সসিটিভ অ্যাডাপশন পাথওয়েস (আইআরসিসি)’ গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপনই ছিল এ সেমিনারের মূল লক্ষ্য।

সাম্প্রতিক জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য নিয়ে ৩০ ধরনের টার্গেট দিয়েছে। সেখানে ঐতিহ‍্য সুরক্ষার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অন‍্যতম আলোচক পরিবেশ অ‍্যাক্টিভিস্ট পাভেল পার্থ এই প্রকল্পে হওয়া গবেষণাগুলোতে আরও কী সংযুক্ত করা যেতে পারে তা তুলে ধরেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন জরুরি বলে উল্লেখ করেন। কোনও একটি এলাকার কাউকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ নেই, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবর্তন দৃশ‍্যমান হবে। সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মধ‍্য দিয়ে এই পাঁচটি গবেষণা আরও অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এ ধরনের কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইমরুল হাসান মনে করেন, কেবল গবেষণা ও জার্নাল দিয়ে যেনো প্রকল্প কাজ শেষ না হয়, এধরনের কাজে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নটা জরুরি। সমস‍্যাগুলোকে মাইক্রো লেভেলে দেখার চেষ্টা করলে পরিবর্তন ঘটবে সেই বিশ্বাসের কথা বলেন তিনি।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শামছুল আলম সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি গবেষণা বহুমুখী করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

সেমিনারে দু’টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ‘Traditional Ecological Knowledge To Fight Climate Induced Disasters : Lessons Learned From Rakhine Community In The Coastal Areas of Bangladesh’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এবং Climate Change Induced Livelihood Vulnerability And Adaptation Mechanisms of Manipuri Ethnic Community in Bangladesh শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সেমিনারে দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং তাদের জন্য সংস্কৃতিবান্ধব অভিযোজন পথ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেন।

সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেন। এই সেশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অ‍্যাক্টিভিস্ট এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।

শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন‍্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অ্যাকাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিএআরসিআইকে এর পরিচালক পাভেল পার্থ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস. এম. ইমরুল হাসান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সভ্যতার সকল বৈচিত্র্যকে বিবেচনায় নিতে হবেঃ জাবি উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সভ্যতার সকল বৈচিত্র্যকে বিবেচনায় নিতে হবে । এথনিক্যাল মাইনোরটিদের জন্য কোনো নীতি তৈরি করতে হলে, তাদের সাথে সহাবস্থান করা অন্য জাতিস্বত্তাকেও বিবেচনায় আনতে হবে, সেটা না করা হলে বাস্তুতান্ত্রিক বিবেচনায় কর্মপন্থা টেকসই হবে না। এমনভাবে টেকসই উন্নয়ন করতে হবে যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমাদের সমাজে বসবাসযোগ্য সকল প্রাণ ও প্রাণহীন অংশীজনের বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে এগোতে হবে। কারণ সবারই মূল্য আছে এবং কর্তব্যই মূল্য নির্ধারণ করে দেয়।

আজ শনিবার (২১ নভেম্বর ) সকাল সাড়ে দশটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডাপশন পাথওয়েজ: পারসপেকটিভস ফ্রম ভালনারেবল এথনিক কমিউনিটিজ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব কথা বলেন।

সেমিনারে দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং তাদের জন্য সংস্কৃতিবান্ধব অভিযোজন পথ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় বক্তারা কথা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন জরুরি। যে তথ‍্যাদি গবেষণায় বের হয়ে আসবে সেসব নথিভুক্ত করার পাশাপাশি পরবর্তী অ‍্যাকশনপ্ল‍্যান প্রকল্পেই থাকতে হবে। তা না হলে কাজটি অসস্পূর্ণ থেকে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

স্বাগত বক্তব্য ও প্রজেক্ট ব্রিফ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি প্রকল্প থেকে হওয়া গবেষণাগুলোর সারসংক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি এই কাজ থেকে শিক্ষার্থীরা কীভাবে গবেষণা কাজে যুক্ত হয়েছেন এবং তার প্রয়োজনীয়তার দিক তুলে ধরেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে পরিচালিত ‘ইনক্লুসিভ রেজিলিয়েন্স টু ক্লাইমেট চেঞ্জ: প্লেইনল্যান্ড ইন্ডিজেনিয়াস পিপলস ক্লাইমেট চেঞ্জ ভালনারেবিলিটি অ্যান্ড কালচার সেন্সসিটিভ অ্যাডাপশন পাথওয়েস (আইআরসিসি)’ গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপনই ছিল এ সেমিনারের মূল লক্ষ্য।

সাম্প্রতিক জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য নিয়ে ৩০ ধরনের টার্গেট দিয়েছে। সেখানে ঐতিহ‍্য সুরক্ষার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অন‍্যতম আলোচক পরিবেশ অ‍্যাক্টিভিস্ট পাভেল পার্থ এই প্রকল্পে হওয়া গবেষণাগুলোতে আরও কী সংযুক্ত করা যেতে পারে তা তুলে ধরেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তার বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কৌশল প্রণয়ন জরুরি বলে উল্লেখ করেন। কোনও একটি এলাকার কাউকে বাদ দিয়ে পরিকল্পনা করার সুযোগ নেই, সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবর্তন দৃশ‍্যমান হবে। সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের মধ‍্য দিয়ে এই পাঁচটি গবেষণা আরও অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এ ধরনের কাজে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইমরুল হাসান মনে করেন, কেবল গবেষণা ও জার্নাল দিয়ে যেনো প্রকল্প কাজ শেষ না হয়, এধরনের কাজে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নটা জরুরি। সমস‍্যাগুলোকে মাইক্রো লেভেলে দেখার চেষ্টা করলে পরিবর্তন ঘটবে সেই বিশ্বাসের কথা বলেন তিনি।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শামছুল আলম সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি গবেষণা বহুমুখী করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

সেমিনারে দু’টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। ‘Traditional Ecological Knowledge To Fight Climate Induced Disasters : Lessons Learned From Rakhine Community In The Coastal Areas of Bangladesh’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এবং Climate Change Induced Livelihood Vulnerability And Adaptation Mechanisms of Manipuri Ethnic Community in Bangladesh শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

সেমিনারে দেশের সমতল অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং তাদের জন্য সংস্কৃতিবান্ধব অভিযোজন পথ নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেমিনারের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেন।

সেমিনারের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণালব্ধ তথ্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেন। এই সেশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অ‍্যাক্টিভিস্ট এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।

শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন‍্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অ্যাকাডেমিয়া ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিএআরসিআইকে এর পরিচালক পাভেল পার্থ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস. এম. ইমরুল হাসান প্রমুখ।