নির্বাচন হবে কিনা শঙ্কা জেগেছে মানুষের মনে: মির্জা ফখরুল
- Update Time : ০৭:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২২ Time View
শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় মানুষের মনে নির্বাচন হবে কি না সেই শঙ্কা জেগেছে বলে তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকালে ইংরেজি সংবাদপত্র ডেইলি স্টার আয়োজিত এক সংলাপে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসে এবং বিশেষ করে কয়েকদিনে যে ঘটনাগুলো ঘটল, এই ঘটনাগুলোতে মানুষ কিন্তু অনেক উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে এবং মানুষ ভাবছে, আবার নতুন করে ভাবছে যে নির্বাচনটা আদৌ হবে কি?”
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর দেশে আসার পর ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্যে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দুটি সংবাদপত্র এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। পরের দিন আরেক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।
বিএনপি মহাসচিবে বলেন, গণআন্দোলনের মাধ্যমে আগের সরকার পতনের পর সুষ্ঠ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হলেও দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সুযোগটাও ‘প্রায় হারাতে বসার উপক্রম’ হয়েছে।
“আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা যখনই আপনার একটা সুযোগ পাই দেখা যায় যে কিছু কিছু মহল, কিছু কিছু ঘটনা সেই সুযোগগুলোকে বিনষ্ট করে দেয়। আমরা সেই সম্ভাবনাটাকে দূর করে আমরা সত্যিকারের অর্থেই একটা আশার সঙ্গে আমরা সামনে নির্বাচনের দিকে যেতে চাই।”
তার দল প্রথম থেকেই নির্বাচনের উপরে ‘খুব জোর’ দিয়ে আসছে তুলে ধরে তিনি বলেন, “এর জন্য আমাদেরকে অনেকে আবার খোঁটা দিয়েছেন, বলেছেন যে- বিএনপি শুধু নির্বাচনে যেতে চায় ক্ষমতায় যেতে চায়।
“কিন্তু এখন এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে বিলম্বের কারণে অনেকগুলো ঘটনা তৈরি হয়েছে, অনেকগুলো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার কিছু সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তো আমরা নির্বাচনমুখী দল যে কারণে আমরা সবসময় নির্বাচন চেয়েছি।”
তার দল ক্ষমতায় এলে কী করবে তা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমরা খুব আশাবাদী যে আমরা বরাবরই ধ্বংস থেকে ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতিকে টেনে উপরে তুলে এনেছি। আমাদের অতীত থেকে ’৭৫ এ তুলেছি, ‘৯১ এ তুলেছি, আবার ২০০১ এ তুলেছি।
“ঠিক একইভাবে এবারও আমরা যদি জনগণের আস্থা নিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্বে যেতে পারি অবশ্যই সেই অর্থনীতিকে আমরা সেই জায়গায় নিয়ে পৌঁছে দিতে পারব যে জায়গায় জনগণ অন্তত স্বস্তিতে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।





























































































































































































