ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

নানা সংকটে ইবির সাদ্দাম হোসেন হল, সমাধানে ধীরগতি

ইবি সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৩:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১৫০ Time View

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলে সংকটের শেষ নেই এবং তার সমাধানে ধীরগতি। প্রতিষ্ঠাকালীন আবাসিক হল হলেও এক দশকের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারকল্প দৃশ্যমান নয়। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হলে অপরিচ্ছন শৌচাগার, স্নান কক্ষের দরজা ভাঙা, অপরিষ্কার বেসিন, পানির ট্যাংকির চারপাশে শ্যাওলা জমে শ্যাঁতশ্যাঁতে অবস্থা, হলের মধ্যে বাহিরে ময়লার ভাগার, পরিচর্যার অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ হলের ভিতর ও বাইরের বাগান, হলের চারপাশে ঝোপ ঝাড়ের জন্য সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড় , ধীরগতির ওয়াইফাই, লাইটিংয়ের অভাব, রিডিং রুমে সমস্যা, খেলাঘরে শুধু কেরাম ব্যতীত সবকিছু জরাজীর্ণ, টিভি রুমের বেহাল দশা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত সিসিটিভির অভাব, ডাইনিং এর নিম্নমানের খাবারসহ নানা সংকট লেগেই আছে দীর্ঘদিন ধরে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথম আবাসিক হল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এ হলের । প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের পরে তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সময়কালে ১৯৮২ সালে এ হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সেইসময় ইরাক সরকারের আর্থিক সহযোগিতা করেন বিধায় এ হলের নামকরণ করা হয় সাদ্দাম হোসেন হল। সেই সময়ে হলের কাজ চতুর্থ তলা পর্যন্ত উঠে পরে কাজ থমকে যায়। বর্তমানে এ হলে ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর থাকার সুবিধা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার জন্য সবসময় মারাত্মক দূর্ঘন্ধ থাকে নিয়মিত পরিস্কারের কথা থাকলেও মাসে একবার পরিস্কার করা হয় তারমধ্যে প্রতিটি সৌচাগারে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা ও শ্যাওলা জমে থাকে তার ফলে যা হতে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায় হলের রুমগুলোতে। প্রতিটা স্নান কক্ষের দরজা ভাঙা ও পানি জমে থাকে আবার নেই লাইট যার জন্য গোসল করতে হয় অন্ধকারে , প্রায় প্রতিটি বেসিন অপরিষ্কার মাসে একবার পরিস্কার করলেও ঘসা মাজা দিয়ে চলে যাওয়া হয় যার জন্য দুই একদিন পরে আবার অপরিচ্ছন হয়ে যায়।

পানির ট্যাংকির চারপাশে শ্যাওলা জমে শ্যাতশ্যাতে অবস্থা সেখান ঝোপ ঝাড়ে পরিণত হয়েছে , হলের মধ্যে ও বাহিরে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে রিডিং রুমের পাশেসহ দক্ষিণ ব্লকের সামনে ও বিভিন্ন কক্ষের সামনে, পরিচর্যার অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ হলের ভিতর ও বাইরের বাগান, হলের চারপাশে ঝোপ ঝাড়ের জন্য সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকর হলে প্রবেশ করে তাতে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি , ধীরগতির ওয়াইফাই যার জন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরা বারবার অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন সমাধান নেই , হলের অভ্যন্তরে ও বাইরে লাইটিংয়ের অভাব রাত হলেই বাগানে ও ছাদে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে , রিডিং রুমে সমস্যা আরও গুরুতর নেই পর্যাপ্ত পড়ার পরিবেশ সরকের পাশে হওয়াতে যানবাহন ও হাটাচলার শব্দে পড়ার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটে , খেলাঘরে শুধু কেরাম ব্যতীত সবকিছু জরাজীর্ণ, টিভি রুমের বেহাল দশা , ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সমস্যা , পর্যাপ্ত সিসিটিভির অভাব, ডাইনিং এর নিম্নমানের খাবারসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হল।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিরাজ হাসান বলেন, বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে আমাদের হলের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ধীরগতির ইন্টারনেট সমস্যা । বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার বসানোর কথা থাকলেও বসানো হয়েছে সরাসরি পানির পাম্পের সাথে সংযোগ আবার সেই লাইনে আসে না পানি। ওয়াইফাই ঠিকমতো না পাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ডাউনলোড করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মাঝেমধ্যে ধৈর্যহারা হয়ে পড়ি। হলের লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখা গেল দুটি একটি ময়লামাখা বই বুকসেলফে পড়ে আছে। সেগুলো কেউ ছুঁয়েও দেখে না।

হলের আবাসিক আরেক শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, আমাদের নিতলায় সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা নোংরা টয়লেটে অবাধে সবাই ব্যবহার করে যার জন্য দুর্গন্ধে টয়লেটের আশেপাশে যাওয়া মুশকিল। বর্তমান সময়েও আমাদের হলে টাইলস সমৃদ্ধ উন্নতমানের টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি। সেই পুরোনো আমলের শৌচাগার দিয়ে চলছে টয়লেটের কাজ। সাথে সাথে রুমের দরজা ও জানালার গ্রীলসমূহেও দীর্ঘকাল সংস্করণ করা হয়নি। ফলে মরীচিকা পড়ে একেবারে নষ্ট হয়েছে জানালার গ্রীলসমূহ। এতে করে হলের আভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক সৌন্দর্য দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়াও একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, হলের ভিতরের বাগান অপরিষ্কার ও পাশে ঝোঁপঝাড় থাকায় কিছু জায়গাতে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে এবং প্রায়শই হলের ভিতরে বিষাক্ত সাপের উপদ্রোব দেখা যায় । আবাসিক শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলের জন্য আবেদন করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না । এমন বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে প্রভোস্টের নিকট বারবার লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া আবাসিক শিক্ষার্থীরা আরো জানান হলকার্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের স্মরণাপন্ন হলে হয়রানির শিকার হতে হয়, মাস পর মাস চলে যায় তাও হলকার্ড আসে না এবং দীর্ঘদিন পরে হলকার্ড আসলেও থাকে বিভিন্ন ভুল।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি হলের অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে অবগত আছি। নতুন পরিষ্কার কর্মীও নেওয়া হয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমি অফিসে আরো ভালো করে বলে দিব। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমি সবসময় দেখি ও সমাধান করার চেষ্টা করি। আর অফিসের কর্মকর্তা বা কর্মচারিরা যদি কাজ না করে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে হয়রানি মূলক আচরণ করে তাহলে তার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

নানা সংকটে ইবির সাদ্দাম হোসেন হল, সমাধানে ধীরগতি

ইবি সংবাদদাতা
Update Time : ০৩:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলে সংকটের শেষ নেই এবং তার সমাধানে ধীরগতি। প্রতিষ্ঠাকালীন আবাসিক হল হলেও এক দশকের মধ্যে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সংস্কারকল্প দৃশ্যমান নয়। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হলে অপরিচ্ছন শৌচাগার, স্নান কক্ষের দরজা ভাঙা, অপরিষ্কার বেসিন, পানির ট্যাংকির চারপাশে শ্যাওলা জমে শ্যাঁতশ্যাঁতে অবস্থা, হলের মধ্যে বাহিরে ময়লার ভাগার, পরিচর্যার অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ হলের ভিতর ও বাইরের বাগান, হলের চারপাশে ঝোপ ঝাড়ের জন্য সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড় , ধীরগতির ওয়াইফাই, লাইটিংয়ের অভাব, রিডিং রুমে সমস্যা, খেলাঘরে শুধু কেরাম ব্যতীত সবকিছু জরাজীর্ণ, টিভি রুমের বেহাল দশা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত সিসিটিভির অভাব, ডাইনিং এর নিম্নমানের খাবারসহ নানা সংকট লেগেই আছে দীর্ঘদিন ধরে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথম আবাসিক হল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে এ হলের । প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের পরে তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সময়কালে ১৯৮২ সালে এ হলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সেইসময় ইরাক সরকারের আর্থিক সহযোগিতা করেন বিধায় এ হলের নামকরণ করা হয় সাদ্দাম হোসেন হল। সেই সময়ে হলের কাজ চতুর্থ তলা পর্যন্ত উঠে পরে কাজ থমকে যায়। বর্তমানে এ হলে ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর থাকার সুবিধা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার জন্য সবসময় মারাত্মক দূর্ঘন্ধ থাকে নিয়মিত পরিস্কারের কথা থাকলেও মাসে একবার পরিস্কার করা হয় তারমধ্যে প্রতিটি সৌচাগারে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা ও শ্যাওলা জমে থাকে তার ফলে যা হতে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ায় হলের রুমগুলোতে। প্রতিটা স্নান কক্ষের দরজা ভাঙা ও পানি জমে থাকে আবার নেই লাইট যার জন্য গোসল করতে হয় অন্ধকারে , প্রায় প্রতিটি বেসিন অপরিষ্কার মাসে একবার পরিস্কার করলেও ঘসা মাজা দিয়ে চলে যাওয়া হয় যার জন্য দুই একদিন পরে আবার অপরিচ্ছন হয়ে যায়।

পানির ট্যাংকির চারপাশে শ্যাওলা জমে শ্যাতশ্যাতে অবস্থা সেখান ঝোপ ঝাড়ে পরিণত হয়েছে , হলের মধ্যে ও বাহিরে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে রিডিং রুমের পাশেসহ দক্ষিণ ব্লকের সামনে ও বিভিন্ন কক্ষের সামনে, পরিচর্যার অভাবে আগাছায় পরিপূর্ণ হলের ভিতর ও বাইরের বাগান, হলের চারপাশে ঝোপ ঝাড়ের জন্য সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকর হলে প্রবেশ করে তাতে রয়েছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি , ধীরগতির ওয়াইফাই যার জন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরা বারবার অভিযোগ দেওয়া হলেও কোন সমাধান নেই , হলের অভ্যন্তরে ও বাইরে লাইটিংয়ের অভাব রাত হলেই বাগানে ও ছাদে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে , রিডিং রুমে সমস্যা আরও গুরুতর নেই পর্যাপ্ত পড়ার পরিবেশ সরকের পাশে হওয়াতে যানবাহন ও হাটাচলার শব্দে পড়ার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটে , খেলাঘরে শুধু কেরাম ব্যতীত সবকিছু জরাজীর্ণ, টিভি রুমের বেহাল দশা , ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সমস্যা , পর্যাপ্ত সিসিটিভির অভাব, ডাইনিং এর নিম্নমানের খাবারসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হল।

এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিরাজ হাসান বলেন, বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে আমাদের হলের প্রধান সমস্যা হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ধীরগতির ইন্টারনেট সমস্যা । বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার বসানোর কথা থাকলেও বসানো হয়েছে সরাসরি পানির পাম্পের সাথে সংযোগ আবার সেই লাইনে আসে না পানি। ওয়াইফাই ঠিকমতো না পাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ডাউনলোড করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মাঝেমধ্যে ধৈর্যহারা হয়ে পড়ি। হলের লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখা গেল দুটি একটি ময়লামাখা বই বুকসেলফে পড়ে আছে। সেগুলো কেউ ছুঁয়েও দেখে না।

হলের আবাসিক আরেক শিক্ষার্থী হাসনাত বলেন, আমাদের নিতলায় সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা নোংরা টয়লেটে অবাধে সবাই ব্যবহার করে যার জন্য দুর্গন্ধে টয়লেটের আশেপাশে যাওয়া মুশকিল। বর্তমান সময়েও আমাদের হলে টাইলস সমৃদ্ধ উন্নতমানের টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি। সেই পুরোনো আমলের শৌচাগার দিয়ে চলছে টয়লেটের কাজ। সাথে সাথে রুমের দরজা ও জানালার গ্রীলসমূহেও দীর্ঘকাল সংস্করণ করা হয়নি। ফলে মরীচিকা পড়ে একেবারে নষ্ট হয়েছে জানালার গ্রীলসমূহ। এতে করে হলের আভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক সৌন্দর্য দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়াও একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, হলের ভিতরের বাগান অপরিষ্কার ও পাশে ঝোঁপঝাড় থাকায় কিছু জায়গাতে ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে এবং প্রায়শই হলের ভিতরে বিষাক্ত সাপের উপদ্রোব দেখা যায় । আবাসিক শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলের জন্য আবেদন করলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না । এমন বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে প্রভোস্টের নিকট বারবার লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া আবাসিক শিক্ষার্থীরা আরো জানান হলকার্ড ও অন্যান্য প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের স্মরণাপন্ন হলে হয়রানির শিকার হতে হয়, মাস পর মাস চলে যায় তাও হলকার্ড আসে না এবং দীর্ঘদিন পরে হলকার্ড আসলেও থাকে বিভিন্ন ভুল।

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি হলের অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে অবগত আছি। নতুন পরিষ্কার কর্মীও নেওয়া হয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমি অফিসে আরো ভালো করে বলে দিব। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমি সবসময় দেখি ও সমাধান করার চেষ্টা করি। আর অফিসের কর্মকর্তা বা কর্মচারিরা যদি কাজ না করে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে হয়রানি মূলক আচরণ করে তাহলে তার ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।