নবীন ছাত্রদের বরণ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল বাকৃবির মাওলানা ভাসানী হল

- Update Time : ০২:১৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৩৫২ Time View
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক মাওলানা ভাসানী হলে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (লেভেল-১, সেমিস্টার-১) নবাগত ছাত্রদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান-২০২৫ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় হলের কমনরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার দিয়ে বরণ করা হয়। পরে সিজিপিএ-ভিত্তিক মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা ওই হলের ১০ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শরীফ-আর-রাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন। এছাড়াও হলের হাউস টিউটরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সিনিয়র শিক্ষার্থী, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বাঁধনের হল নেতৃবৃন্দ, এবং নবাগত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান বলেন, “হলের সিনিয়র বড়ভাইদের শ্রদ্ধা করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। তবে ৫ আগস্টের পূর্বে এটি অনেক ক্ষেত্রে অত্যাচারে রূপ নিয়েছিল, যা এখন প্রায় নেই বললেই চলে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন বলেন, ‘দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বাস্তবতা রয়েছে যেখানে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারে না। আবার অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনকে কাজে লাগিয়ে দেশে-বিদেশে সাফল্য অর্জন করে। আমরা চাই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন আর কখনো র্যাগিং সংস্কৃতি ফিরে না আসে। হলে হলে দাদাগিরি দেখানোর দিন শেষ। আমাদের লক্ষ্য হবে এমন একটি ক্যাম্পাস গড়ে তোলা যেখানে সিনিয়ররা জুনিয়রদের স্নেহ করবে এবং জুনিয়ররা সিনিয়রদের সম্মান করবে।’
সভাপতির বক্তব্যে প্রভোস্ট অধ্যাপক শরীফ-আর-রাফি বলেন, “র্যাগিং একটি ক্যান্সারের মতো; যেমন ক্যান্সার দেহের কোষ ধ্বংস করে, তেমনি র্যাগিং শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ধ্বংস করে দেয়। আমরা চাই, এই হল থাকবে নিরাপদ, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং শ্রদ্ধাবোধে পূর্ণ।”
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়