নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ

- Update Time : ০৬:৫৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫২ Time View
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আশরাফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তদন্ত কমিটিতে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে এবং ওই প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পান মেহেদী উল্লাহ।
তবে অভিযোগকারী আশরাফুল ইসলাম নিজেও ওই নিয়োগের প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচিত না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন বলে দাবি করেন মেহেদী উল্লাহ।
অভিযোগে বলা হয়, বিজ্ঞপ্তিতে একটি মাত্র পদ উল্লেখ থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয় দুজনকে। অভিযোগকারীর দাবি, ড. মেহেদী উল্লাহর শিক্ষাগত যোগ্যতা বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ করেনি এবং তার পুরস্কার ও গবেষণাপত্রও স্বীকৃত নয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন বলে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মেহেদী উল্লাহ বলেন, “বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ করেই আবেদন করি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম হই এবং যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ পাই। কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা আর্থিক লেনদেন হয়নি।” তিনি আরও জানান, ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি করছেন, তার ১৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং ২০১৩ সালে তিনি জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের বিজ্ঞপ্তিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ চাওয়া হলেও ‘বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীর’ ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের সুযোগ ছিল। প্রকাশিত গ্রন্থ বা জাতীয় পুরস্কারকে বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে এ বিষয়টি নিয়োগ বোর্ডের এখতিয়ারেই নির্ধারিত ছিল।
এদিকে একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে, যেখানে আশরাফুল ইসলামকে মেহেদী উল্লাহর কাছে অন্য শিক্ষকদের ব্যক্তিগত নথি চাইতে শোনা যায়। মেহেদী উল্লাহর দাবি, তিনি নথি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে আশরাফুল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। যদিও আশরাফুল কল রেকর্ডের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, “অভিযোগগুলো তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখছে। কাজ এখনো শেষ হয়নি।”
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়