ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য ধর্ষণের বিরুদ্ধে কুবিতে মানববন্ধন 

ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / ১৫ Time View

আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি এবং সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচারে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্ত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া’ ‘ জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’ ‘ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ‘আসিফ নজরুল তুই আইন দে, নয়তো গদি ছাইড়া দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, ‘যারা এখনো নারী হয়েই উঠে নাই, তাদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে। তার কারণ একটাই ধর্ষকদের শাস্তি হচ্ছে না। যদি একটা ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসি বা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো, তাহলে আর ছোট ছোট শিশুকে ধর্ষণের সাহস পাইত না। আমি সরকারের কাছে একটাই দাবি, ৯০ দিন নয় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী দোলনা বলেন, ‘ধর্ষকের শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন সময় লাগবে? উনি কি এই নব্বই দিনে আরও নব্বইটা ধর্ষণের সুযোগ করে দিতে চাচ্ছে? এটা আমাদের জানা দরকার এবং এটা উনার বলতে হবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকের ফাঁসি হোক। আজকে ৮ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কালকে আমি রাস্তায় বের হলে এটার শিকার হবো না তার কি নিশ্চয়তা আছে? একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে আমাদের কেনো এত অনিরাপদ হয়ে জীবনযাপন করতে হবে? আমরা চাই এপর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে একটা পুরুষ কোন নারীর দিকে কুনজরে তাকানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হয়।’

মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পাবেল রানা বলেন, ‘আমার বোন, আমার মা আজ রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পারছে না। তারা বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এমনকি ছোট্ট শিশুও রেহাই পাচ্ছে না। সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন লাগবে। একটি শিশুকে ধর্ষণ করতে যদি ২০ মিনিট সময় নেয়, আমরা চাই ২০ মিনিটের আগেই ঐ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক’

গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, ‘নোয়াখালীতে ফ্যামিলির সামনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এছাড়া প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও আগের মতো সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে পারে না। গত ছয় মাসে এই সরকার যা করেছে এর থেকে অনেক বেশি করার সুযোগ ছিল। আমরা কুবিয়ানরা বলে দিতে চাই ৯০ দিন না অতি দ্রুত ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:১২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি এবং সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচারে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্ত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া’ ‘ জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ ‘ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু’ ‘ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ‘আসিফ নজরুল তুই আইন দে, নয়তো গদি ছাইড়া দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, ‘যারা এখনো নারী হয়েই উঠে নাই, তাদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে। তার কারণ একটাই ধর্ষকদের শাস্তি হচ্ছে না। যদি একটা ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসি বা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো, তাহলে আর ছোট ছোট শিশুকে ধর্ষণের সাহস পাইত না। আমি সরকারের কাছে একটাই দাবি, ৯০ দিন নয় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী দোলনা বলেন, ‘ধর্ষকের শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন সময় লাগবে? উনি কি এই নব্বই দিনে আরও নব্বইটা ধর্ষণের সুযোগ করে দিতে চাচ্ছে? এটা আমাদের জানা দরকার এবং এটা উনার বলতে হবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকের ফাঁসি হোক। আজকে ৮ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কালকে আমি রাস্তায় বের হলে এটার শিকার হবো না তার কি নিশ্চয়তা আছে? একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে আমাদের কেনো এত অনিরাপদ হয়ে জীবনযাপন করতে হবে? আমরা চাই এপর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে একটা পুরুষ কোন নারীর দিকে কুনজরে তাকানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হয়।’

মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পাবেল রানা বলেন, ‘আমার বোন, আমার মা আজ রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পারছে না। তারা বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এমনকি ছোট্ট শিশুও রেহাই পাচ্ছে না। সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন লাগবে। একটি শিশুকে ধর্ষণ করতে যদি ২০ মিনিট সময় নেয়, আমরা চাই ২০ মিনিটের আগেই ঐ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক’

গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, ‘নোয়াখালীতে ফ্যামিলির সামনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এছাড়া প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও আগের মতো সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে পারে না। গত ছয় মাসে এই সরকার যা করেছে এর থেকে অনেক বেশি করার সুযোগ ছিল। আমরা কুবিয়ানরা বলে দিতে চাই ৯০ দিন না অতি দ্রুত ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।’