ঢাকা ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
চট্টগ্রাম থেকে আসামী হৃদয় গ্রেপ্তার

দীর্ঘ ৭ বছর পর আখাউড়ার হাসিবুল হত্যার রহস্য উম্মোচন

আঃ হান্নান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৫১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৩ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাসিবুল ইসলাম-(১৪) হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার ৭ বছর পর গত শনিবার রাতে পিবিআই হাসিবুল ইসলাম হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজন আসামী মোঃ হৃদয়-(২৮) কে চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বার্মা কলোনী থেকে গ্রেপ্তার করে। শিশু হাসিবুল ইসলামের অটোরিকসাটি ছিনতাইয়ের জন্য হত্যাকারীরা হাসিবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে তার লাশ ধানি জমিতে ফেলে রিকসাটি নিয়ে যায়।

নিহত মোঃ হাসিবুল ইসলাম জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের মোঃ মোবারক হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ হৃদয় কসবা উপজেলার নিমবাড়ির (মধ্যপাড়া) মুজিবুর মিয়ার ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী শিশু মোঃ হাসিবুল ইসলাম তার পিতার অটোরিকসা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আর বাড়ি ফিরেনি। নিখোঁজের পরদিন হাসিবুলের পিতা মোবারক হোসেন কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বেলা সোয়া ১১টায় আখাউড়া উপজেলার নোয়াপাড়া বিলের ধানি জমি থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অজ্ঞাতনামা যুবকের সংরক্ষিত ডি.এন.এ প্রোফাইলের সাথে হাসিবুলের পিতা মোঃ মোবারক হোসেন ও মাতা আলেয়া বেগমের ডি.এন.এ পরীক্ষা করে এই লাশ হাসিবুলের বলে নিশ্চিত হয়।

পরে হাসিবুল হত্যা মামলাটি আখাউড়ায় থানার এস.আই. আবদুর রাজ্জাক, ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ রায়হান উদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ ইকবাল হোসেন দীর্ঘ তদন্ত করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে মামলাটি পিবিআই/সিআইডিকে তদন্ত করানোর জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে পিবিআইয়ের সাব-ইন্সপেক্টর (নিঃ) মোঃ হাবিব উল্লাহ সরকার মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু করেন। পিবিআইয়ের তদন্তে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী শিশু মোঃ হাসিবুল ইসলাম তার পিতার অটোরিকসা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ হৃদয় ও তার ৩/৪জন সহযোগী হাসিবুলের অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য হাসিবুলের অটোরিকসাটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘসময় ঘুরাফেরা করে।

পরে বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নোয়াপাড়া রাস্তার পাশের বিলের মধ্যে ধানি জমিতে নিয়ে হাসিবুলের হাত, পা বেঁধে ফেলে এবং আসামী মোঃ হৃদয় হাসিবুলকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে এবং লাশ বিলের মধ্যে ধানি জমিতে ফেলে যায় ও তার অটোরিকসাটি নিয়ে যায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বার্মা কলোনী থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপর আসামীর অতর্কিত হামলায় দুই পুলিশ আহত হয়। এ ব্যাপারে পিবিআই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। গ্রেপ্তারকৃত হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

চট্টগ্রাম থেকে আসামী হৃদয় গ্রেপ্তার

দীর্ঘ ৭ বছর পর আখাউড়ার হাসিবুল হত্যার রহস্য উম্মোচন

আঃ হান্নান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৫১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাসিবুল ইসলাম-(১৪) হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার ৭ বছর পর গত শনিবার রাতে পিবিআই হাসিবুল ইসলাম হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজন আসামী মোঃ হৃদয়-(২৮) কে চট্টগ্রাম জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বার্মা কলোনী থেকে গ্রেপ্তার করে। শিশু হাসিবুল ইসলামের অটোরিকসাটি ছিনতাইয়ের জন্য হত্যাকারীরা হাসিবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা শেষে তার লাশ ধানি জমিতে ফেলে রিকসাটি নিয়ে যায়।

নিহত মোঃ হাসিবুল ইসলাম জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের লেশিয়ারা গ্রামের মোঃ মোবারক হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ হৃদয় কসবা উপজেলার নিমবাড়ির (মধ্যপাড়া) মুজিবুর মিয়ার ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী শিশু মোঃ হাসিবুল ইসলাম তার পিতার অটোরিকসা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে আর বাড়ি ফিরেনি। নিখোঁজের পরদিন হাসিবুলের পিতা মোবারক হোসেন কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী বেলা সোয়া ১১টায় আখাউড়া উপজেলার নোয়াপাড়া বিলের ধানি জমি থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অজ্ঞাতনামা যুবকের সংরক্ষিত ডি.এন.এ প্রোফাইলের সাথে হাসিবুলের পিতা মোঃ মোবারক হোসেন ও মাতা আলেয়া বেগমের ডি.এন.এ পরীক্ষা করে এই লাশ হাসিবুলের বলে নিশ্চিত হয়।

পরে হাসিবুল হত্যা মামলাটি আখাউড়ায় থানার এস.আই. আবদুর রাজ্জাক, ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ রায়হান উদ্দিন ও গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ ইকবাল হোসেন দীর্ঘ তদন্ত করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে না পেরে মামলাটি পিবিআই/সিআইডিকে তদন্ত করানোর জন্য পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। পরে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য দেয়া হয়। দায়িত্ব পেয়ে পিবিআইয়ের সাব-ইন্সপেক্টর (নিঃ) মোঃ হাবিব উল্লাহ সরকার মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু করেন। পিবিআইয়ের তদন্তে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী শিশু মোঃ হাসিবুল ইসলাম তার পিতার অটোরিকসা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। গ্রেপ্তারকৃত মোঃ হৃদয় ও তার ৩/৪জন সহযোগী হাসিবুলের অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য হাসিবুলের অটোরিকসাটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘসময় ঘুরাফেরা করে।

পরে বিকাল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নোয়াপাড়া রাস্তার পাশের বিলের মধ্যে ধানি জমিতে নিয়ে হাসিবুলের হাত, পা বেঁধে ফেলে এবং আসামী মোঃ হৃদয় হাসিবুলকে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে এবং লাশ বিলের মধ্যে ধানি জমিতে ফেলে যায় ও তার অটোরিকসাটি নিয়ে যায়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বার্মা কলোনী থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপর আসামীর অতর্কিত হামলায় দুই পুলিশ আহত হয়। এ ব্যাপারে পিবিআই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। গ্রেপ্তারকৃত হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।