ঢাকা ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষে সাকেরার বাজিমাত

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর
  • Update Time : ০৮:২৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ১২৪ Time View

দিনাজপুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন মৎস্য উদ্যোক্তা খামারি সাকেরা তুহিন আহসান। তার দেখে এই পাবদা মাছ চাষে বাজিমাত করেছেন অনেক খামারি।
১৬ একর আয়তনের তিনটি পুকুরে তিনি চাষ করছেন,পাবদা মাছ। আগে পাঙ্গাস,রুই,কাতল,.মৃর্গেল,সিলভারকাপ,চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছের চাষ করলেও এক বছর ধরে পাবদা মাছ চাষ করছেন তিনি । এ মাছ চাষে নিজের পাশাপাশি আরো ৩/৪টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। কম খরছে অধিক লাভ এবং তারা সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ঝুকছেন এই পাবদা মৎস্য চাষে।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ৬ নং মোমিনপুর ইউনিয়নের ভবের বাজার ইন্দ্রপুর গ্রামে ছোট,রড় মিলিয়ে মোট সাতটি পুকুর রয়েছে, মৎস্য উদ্যোক্তা খাামারি সাকেরা তুহিন আহসানের। ছোট পুকুরগুলোতে পাঙ্গাস,রুই,কাতল,.মৃর্গেল,সিলভারকাপ,চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছের চাষ করলেও এক বছর ধরে বড় তিনটি পুকুরে চাষ করছে দেশীয় পাবদা মাছ । এতে সল্প খরচে তার অনেক লাভ হচ্ছে।
সাকেরা তুহিস আহসান জানান, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে চাষ করছি মাছ। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ করলেও এই প্রথম চাষ করছি পাবদার। এই মাছ চাষে খরচ ও শ্রম কম। তবে লাভ অনেক বেশি।
মাছ বিক্রেতা পুকুরে এসেই মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়। কিছু টাকা বাকি রাখলেও আবারো মাছ নিতে আসলে সেই টাকা দিয়ে দেয় পরের দফায়।’
মাছ ক্রয় করতে আসা নিখিল চন্দ্র জানালেন,’পুকুরের পাবদা মাছের চাহিদা বেশি। এ মাছের স্বাদ বেশি হওয়ায় ক্রেতারা দাম বেশি হলেও এমাছ নিয়ে যায়। তাই,ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী আমিও সহ অন্য মাছ বিক্রেতাও এই মাছ বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।’
এ মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাকেরা। তার সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ঝুকেছেন পাবদা মৎস্য চাষে।
এলাকার কামরুল ইসলাম জানালেন,তিনিও সাকেরার সাফল্য দেখে তার দুইটি পুকুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষ করছেন। ইতোমধ্যে
দুই বার মাছ উত্তোলন করেছেন। এখনো অনেক পাবদা পুকুরে আছে। যা বিক্রি করেছেন এবং এখনো পুকুরে যা অবশিষ্ট আছে,তাতে লাভ ভালোই হবে বলে মনে করছেন তিনি।’

কম খরচে পুকুরে দেশীয় সুস্বাদু পাবদা মাছরে চাষ করে বশেি মুনাফা পাওয়ায় অনেকেই অগ্রহ এই পাবদা মৎস্য চাষে।
দিনাজপুর শহর থেকে সাকেরার পুকুরে পুকুরে পাবদা মাছ চাষ দেখতে যাওয়া নুর আলম জানালেন, আমি লোক মুখে শুনে এই পুকুরে পাবদা মাছ চাষ দেখতে এসেছি। দেখে খুবই ভালো লাগলো।অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে পুকুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষ করা যায় তা সরজমিনে এসে দেখলাম,জানলাম। আমিও আমার একটি পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করবো।’

সাকেরা তুহিন আহসানকে এ বিণয়ে প্রথম থেকেই সহায়তা করে আসছে, মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র-জিবিকে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন নামে দু’টি প্রতিষ্ঠান।
গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের মৎস্য কর্মকর্তা মো.জাহেদুল ইসলাম জানালেন,পাবদা মাছে অনকে পুষ্টগিুন রয়েছে। দেশীয় পাবদা মাছে রয়েছে বেশ স্বাদ। বাজারে এই মাছের চাহিদাও রয়েছে ভালো। তাই এই পাবদা মাছ চাষে খামারিদের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়না। উৎপাদিত মাছ পুকুর থেকেই বিক্রি হয়। বিক্রেতা পুকুর থেকেই মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এমন আরো অর্ধশতাধিক পুকুরে পাবদা মাছের চাষ হচ্ছে। এ মাছ চাষ করে লাভবান খামারিরা। আগামিতে আরো কিছু পুকুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষের পরিধি বাড়বে। অনেকে আগ্রহী এ মাছ চাষে। আমরা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন সহায়তায় এই পাবদা মাছ চাষে খামারিদের কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

দিনাজপুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষে সাকেরার বাজিমাত

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর
Update Time : ০৮:২৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

দিনাজপুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন মৎস্য উদ্যোক্তা খামারি সাকেরা তুহিন আহসান। তার দেখে এই পাবদা মাছ চাষে বাজিমাত করেছেন অনেক খামারি।
১৬ একর আয়তনের তিনটি পুকুরে তিনি চাষ করছেন,পাবদা মাছ। আগে পাঙ্গাস,রুই,কাতল,.মৃর্গেল,সিলভারকাপ,চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছের চাষ করলেও এক বছর ধরে পাবদা মাছ চাষ করছেন তিনি । এ মাছ চাষে নিজের পাশাপাশি আরো ৩/৪টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। কম খরছে অধিক লাভ এবং তারা সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ঝুকছেন এই পাবদা মৎস্য চাষে।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার ৬ নং মোমিনপুর ইউনিয়নের ভবের বাজার ইন্দ্রপুর গ্রামে ছোট,রড় মিলিয়ে মোট সাতটি পুকুর রয়েছে, মৎস্য উদ্যোক্তা খাামারি সাকেরা তুহিন আহসানের। ছোট পুকুরগুলোতে পাঙ্গাস,রুই,কাতল,.মৃর্গেল,সিলভারকাপ,চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতি মাছের চাষ করলেও এক বছর ধরে বড় তিনটি পুকুরে চাষ করছে দেশীয় পাবদা মাছ । এতে সল্প খরচে তার অনেক লাভ হচ্ছে।
সাকেরা তুহিস আহসান জানান, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে চাষ করছি মাছ। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ করলেও এই প্রথম চাষ করছি পাবদার। এই মাছ চাষে খরচ ও শ্রম কম। তবে লাভ অনেক বেশি।
মাছ বিক্রেতা পুকুরে এসেই মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়। কিছু টাকা বাকি রাখলেও আবারো মাছ নিতে আসলে সেই টাকা দিয়ে দেয় পরের দফায়।’
মাছ ক্রয় করতে আসা নিখিল চন্দ্র জানালেন,’পুকুরের পাবদা মাছের চাহিদা বেশি। এ মাছের স্বাদ বেশি হওয়ায় ক্রেতারা দাম বেশি হলেও এমাছ নিয়ে যায়। তাই,ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী আমিও সহ অন্য মাছ বিক্রেতাও এই মাছ বিক্রি করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।’
এ মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাকেরা। তার সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ঝুকেছেন পাবদা মৎস্য চাষে।
এলাকার কামরুল ইসলাম জানালেন,তিনিও সাকেরার সাফল্য দেখে তার দুইটি পুকুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষ করছেন। ইতোমধ্যে
দুই বার মাছ উত্তোলন করেছেন। এখনো অনেক পাবদা পুকুরে আছে। যা বিক্রি করেছেন এবং এখনো পুকুরে যা অবশিষ্ট আছে,তাতে লাভ ভালোই হবে বলে মনে করছেন তিনি।’

কম খরচে পুকুরে দেশীয় সুস্বাদু পাবদা মাছরে চাষ করে বশেি মুনাফা পাওয়ায় অনেকেই অগ্রহ এই পাবদা মৎস্য চাষে।
দিনাজপুর শহর থেকে সাকেরার পুকুরে পুকুরে পাবদা মাছ চাষ দেখতে যাওয়া নুর আলম জানালেন, আমি লোক মুখে শুনে এই পুকুরে পাবদা মাছ চাষ দেখতে এসেছি। দেখে খুবই ভালো লাগলো।অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে কিভাবে পুকুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষ করা যায় তা সরজমিনে এসে দেখলাম,জানলাম। আমিও আমার একটি পুকুরে পাবদা মাছ চাষ করবো।’

সাকেরা তুহিন আহসানকে এ বিণয়ে প্রথম থেকেই সহায়তা করে আসছে, মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র-জিবিকে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন নামে দু’টি প্রতিষ্ঠান।
গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের মৎস্য কর্মকর্তা মো.জাহেদুল ইসলাম জানালেন,পাবদা মাছে অনকে পুষ্টগিুন রয়েছে। দেশীয় পাবদা মাছে রয়েছে বেশ স্বাদ। বাজারে এই মাছের চাহিদাও রয়েছে ভালো। তাই এই পাবদা মাছ চাষে খামারিদের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়না। উৎপাদিত মাছ পুকুর থেকেই বিক্রি হয়। বিক্রেতা পুকুর থেকেই মাছ ক্রয় করে নিয়ে যায়।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এমন আরো অর্ধশতাধিক পুকুরে পাবদা মাছের চাষ হচ্ছে। এ মাছ চাষ করে লাভবান খামারিরা। আগামিতে আরো কিছু পুকুরে দেশীয় পাবদা মাছ চাষের পরিধি বাড়বে। অনেকে আগ্রহী এ মাছ চাষে। আমরা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন সহায়তায় এই পাবদা মাছ চাষে খামারিদের কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।’