ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৮৬ Time View

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিউলের একটি আদালত এ আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে এ পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি ইউন। গত দুই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আদেশ উপেক্ষা করেন তিনি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হওয়ার তিনটি সমন উপেক্ষা করার পরে এই পরোয়ানা এলো।

রোববার রাতে তদন্তকারীরা বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। এ পদক্ষেপকে তার আইনজীবীরা অবৈধ বলে বর্ণনা করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। ইউন এবং তার একজন উত্তরসূরিও পার্লামেন্ট দ্বারা অভিশংসিত হয়েছেন।

দেশটির পরিস্থিতি বলছে, ইউন সুক যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। এটি বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক নয়। বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারাগারেও পাঠাতে পারেন আদালত।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টে ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।

ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:৪০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিউলের একটি আদালত এ আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে এ পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি ইউন। গত দুই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আদেশ উপেক্ষা করেন তিনি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হওয়ার তিনটি সমন উপেক্ষা করার পরে এই পরোয়ানা এলো।

রোববার রাতে তদন্তকারীরা বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। এ পদক্ষেপকে তার আইনজীবীরা অবৈধ বলে বর্ণনা করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। ইউন এবং তার একজন উত্তরসূরিও পার্লামেন্ট দ্বারা অভিশংসিত হয়েছেন।

দেশটির পরিস্থিতি বলছে, ইউন সুক যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। এটি বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক নয়। বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারাগারেও পাঠাতে পারেন আদালত।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টে ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।

ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।