ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল প্রেমিকাকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ‘ধর্ষণ’, রক্তক্ষরণে মৃত্যু ডিবি পরিচয়ে বাসর ঘরে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার লুট

তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৭৯ Time View

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামারহাট বগলা কুঁড়া এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কয়েক শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

গত কয়েক দিনে তিস্তা নদীর পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শত শত ঘরবাড়ি, আবাদি জমি ও বৃক্ষরাজি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে বহু পরিবার এখন অন্যের জমিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, “আমার বাড়িঘর ইতোমধ্যেই ছয়বার নদীতে ভেঙে গেছে। জমিজমাও নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন অন্যের জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছি। আমরা কোনো ইলিশ ভর্তুকি চাই না, শুধু ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিলেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।”

এসময় ভাঙনকবলিত ছকিনা বেগম বলেন, “নদীর পাড়ে জিওব্যাগ থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদি দ্রুত জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়, তবে আমরা অন্তত টিকে থাকার সুযোগ পাবো।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন কবলিত স্থানের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারি সারি বালু ভর্তি জিওব্যাগ মজুদ থাকলেও তা ডাম্পিং করা হচ্ছে না। মানববন্ধনে উপস্থিত উলিপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুস সোবহান ব্যাপারী বলেন, “তিস্তা নদী আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত। অথচ ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাই।”

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, “যেখানে বাজেট আছে সেখানে কাজ চলছে। নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়া এলাকাগুলোতেও বাজেট সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে কুড়িগ্রামের উলিপুর, রাজারহাট, চিলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রফিকুল ইসলাম রফিক, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের সাদুয়া দামারহাট বগলা কুঁড়া এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কয়েক শত নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

গত কয়েক দিনে তিস্তা নদীর পানি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শত শত ঘরবাড়ি, আবাদি জমি ও বৃক্ষরাজি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে বহু পরিবার এখন অন্যের জমিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, “আমার বাড়িঘর ইতোমধ্যেই ছয়বার নদীতে ভেঙে গেছে। জমিজমাও নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন অন্যের জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছি। আমরা কোনো ইলিশ ভর্তুকি চাই না, শুধু ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিলেই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম।”

এসময় ভাঙনকবলিত ছকিনা বেগম বলেন, “নদীর পাড়ে জিওব্যাগ থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। যদি দ্রুত জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ নির্মাণ করা হয়, তবে আমরা অন্তত টিকে থাকার সুযোগ পাবো।”

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভাঙন কবলিত স্থানের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারি সারি বালু ভর্তি জিওব্যাগ মজুদ থাকলেও তা ডাম্পিং করা হচ্ছে না। মানববন্ধনে উপস্থিত উলিপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুস সোবহান ব্যাপারী বলেন, “তিস্তা নদী আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত। অথচ ভাঙনরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। আমরা সরকারের কাছে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাই।”

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, “যেখানে বাজেট আছে সেখানে কাজ চলছে। নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়া এলাকাগুলোতেও বাজেট সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে কুড়িগ্রামের উলিপুর, রাজারহাট, চিলমারীসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়।