ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মিরপুরে আগুনে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার, তল্লাশি চলছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গঠনে ছয় দফা প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার : ‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গড়ার আহ্বান বাংলাদেশ ও বিএনপি : আগামী নির্বাচনে সম্ভাবনার দিগন্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদের সাক্ষাৎ নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত লুটপাট করে সার কারখানা ধ্বংস করে দিয়েছে আ.লীগ সরকার – মঈন খাঁন রাস্তায় ফেলে শিক্ষক পেটানো কোনো সভ্য রাষ্ট্রের চরিত্র নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় আফগান-পাকিস্তান সংঘর্ষ স্থগিত: কাবুল

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক প্রমাণিত হয়েছে : মির্জা ফখরুল

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১১৩ Time View

ফাইল ফটো

হাইকোর্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যে রায় দিয়েছেন, তার মধ্য দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারেক রহমানের খালাসের খবরে এমন মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লন্ডন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহর দরবারে আমি শুকরিয়া আদায় করছি, বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে আজ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করায়।

মির্জা ফখরুলের বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই রায়ে প্রমাণ হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই মামলাতে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিল। আনীত অভিযোগ তিনি আইনগতভাবে মোকাবেলা করে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সব মামলাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ছিল।

প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ঘটনায় করা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।

 

Please Share This Post in Your Social Media

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক প্রমাণিত হয়েছে : মির্জা ফখরুল

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ০৮:৫৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

হাইকোর্ট ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যে রায় দিয়েছেন, তার মধ্য দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলাই ষড়যন্ত্রমূলক ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। তারেক রহমানের খালাসের খবরে এমন মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় লন্ডন থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মহান আল্লাহর দরবারে আমি শুকরিয়া আদায় করছি, বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে আজ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করায়।

মির্জা ফখরুলের বিবৃতি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই রায়ে প্রমাণ হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই মামলাতে তারেক রহমানকে অভিযুক্ত করেছিল। আনীত অভিযোগ তিনি আইনগতভাবে মোকাবেলা করে উচ্চ আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আনীত সব মামলাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক ছিল।

প্রসঙ্গত, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে রোববার (১ ডিসেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় ২৪ জন নিহত হন। আওয়ামী লীগের দাবি, এ হামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ঘটনায় করা মামলায় (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।