ঢাকায় কনসার্টে পারফর্ম করছি না: আতিফ আসলাম
- Update Time : ০২:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৯ Time View
আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘মেইন স্টেজ ইনক’ আশা করেছিল ঢাকায় পাকিস্তানি তারকা শিল্পী আতিফ আসলামের কনসার্টের আয়োজন তারা করতে উঠতে পারবেন। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাজনিত কারনে ছাড়পত্র পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তাই বাতিল হয়েছে আতিফ আসলামের কনসার্ট। বিষয়টি জানিয়েছেন গায়ক নিজেই। ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে আতিফ বলেছেন শনিবার ঢাকায় তার কনসার্ট হচ্ছে না।
আতিফ লিখেছেন, “প্রিয় বাংলাদেশি ভক্তরা, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ১৩ ডিসেম্বর ঢাকায় নির্ধারিত কনসার্টে আমরা পারফর্ম করছি না। এর কারণ কনসার্টের আয়োজক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় স্থানীয় অনুমতি, নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো ঠিক করতে পারেননি।”
আতিফের এই ঘোষণায় চটে গিয়ে মন্তব্য করেছেন অনেকে। আতিফের পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে আয়োজকদের উদ্দেশে একজন লিখেছেন, “অনুমতি না নিয়েই টিকেট বিক্রি করেছিলেন?”
আরেকজনের মন্তব্য, “যারা টিকেট কিনেছেন, তারা এখন আন্দোলনে নামতে পারে।”
কনসার্টের জন্য ভেন্যু নির্ধারিত ছিল পূর্বাচল নতুন শহরের চাইনিজ ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার।
গেল ২৫ নভেম্বর ঢাকায় আতিফ আসলামের কনসার্টের খবর দিয়ে ‘মেইন স্টেজ ইনকের’ মুখপাত্র রিসালাত বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন “ইভেন্টটি সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে আয়োজন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মমাফিক কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি প্রয়োজনীয় ধাপ অনুসরণ করে অনুষ্ঠানটি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
এর পর মেইন স্টেজের সত্বাধিকারী নিশা সালাম গ্লিটজকে বলেছিলেন, তাদের এই কনসার্টের একটা অংশ যাবে গণআন্দোলনে হতাহতদের পরিবারকে সহায়তায়। এটা যেহেতু চ্যারিটি কনসার্ট, অনুমতি না দেওয়ার কোনো কারণ তারা দেখছেন না।
নিশা সালাম বলেন বলেছিলেন, “আমরা অনুমতি নেওয়ার সব প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করেছি, এখনো আশাবাদী, সুন্দর করে কনসার্টটি আমরা করতে পারব।”
কনসার্ট স্থগিত হলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি আয়োজকের সুনামও নষ্ট হয় বলে মন্তব্য করেন মেইন স্টেজের সত্বাধিকারী নিশা সালাম।
তিনি গ্লিটজকে বলেন, “শেষ মুহূর্তে কনসার্ট বাতিল হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন আয়োজকরাই। কারণ তখন সব ধরনের পেমেন্ট আগেই পরিশোধ করা থাকে।
“এতে একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়, অন্যদিকে বিদেশি শিল্পীরা এভাবে ফিরে গেলে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি দেশের বিনোদন অঙ্গন ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।”
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর আগের মৌসুমে ঢাকায় বেশ কয়েকটি কনসার্ট হলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন; ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতির’ কথা বলে অনুমতিই দিতে চাইছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তাতে একের পর এক কনসার্ট স্থগিত হচ্ছে। বিদেশি শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান পরিকল্পনার পর এসব আয়োজন বাতিল হওয়ায় একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আয়োজকরা, অন্যদিকে টিকেটের টাকা ফেরত না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন দর্শকরাও। তবে এর মধ্যে সুবিধা করে নিচ্ছেন এক শ্রেণির মানুষ; তারা স্থগিত হওয়া কনসার্টের শিল্পীদের দিয়ে আয়োজন করছেন ‘প্রাইভেট কনসার্ট’।
এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা অনুবিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আপাতত দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কোনো কনসার্টের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
“কয়েক দিনে ৫-৬টি আবেদন এসেছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় মাস হলো এই অনুমোদন দেওয়া বন্ধ রয়েছে। তার আগে ১০-১২টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
আবহাওয়া বিবেচনায় সাধারণত শীতের সময় কনসার্ট বেশি হয়ে থাকে। গেল মৌসুমের শেষে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ‘মব’ এর মুখে পড়েছিল দু-একটি আয়োজন। তারপর গরম শেষে কনসার্ট আয়োজন করতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়ছেন আয়োজকরা।
সবশেষ গত শুক্রবার অনুষ্ঠেয় পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাভিশ’র ‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ শিরোনামের কনসার্ট স্থগিতের ঘটনায় আলোচনায় এসেছে কনসার্ট করতে অনুমতির জটিলতা প্রসঙ্গ।
এ আয়োজন উপলক্ষে কদিন আগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় ‘কাভিশ’র সদস্যরা। কিন্তু সব প্রস্তুতি থাকার পরও শুক্রবার তারা আর মঞ্চে উঠতে পারেনি।





















































































































































































