ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাদারীপুরে শাটডাউন কর্মসূচি

অবরোধ-বিক্ষোভে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৩ Time View

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ ফেলে অবরোধ এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একাধিক গাছ কেটে ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন দলটির কর্মীরা।

রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে গোপালপুর এলাকায় এ অবরোধ শুরু হয়। এতে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে নয়টায় কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শাটডাউন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক এবং কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার।

মহাসড়কে একটি ভ্যান এনে সেটিকে মঞ্চের মতো সাজিয়ে বক্তব্য দেন তাঁরা। বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। কর্মসূচি সফল করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোর থেকে গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে জড়ো হন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে যন্ত্র দিয়ে ১০ থেকে ১২টি গাছ কেটে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখেন তাঁরা। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা এবং নানা স্লোগান দেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁরা সরে যান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি নিজে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কাটাগাছগুলো অপসারণ করেছি। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

যান চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন একাধিক বড় গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। ।

Please Share This Post in Your Social Media

মাদারীপুরে শাটডাউন কর্মসূচি

অবরোধ-বিক্ষোভে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১২:৩৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শাটডাউন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে একাধিক গাছ কেটে ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এ সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন দলটির কর্মীরা।

রোববার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে গোপালপুর এলাকায় এ অবরোধ শুরু হয়। এতে মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে নয়টায় কালকিনি ও ডাসার থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শাটডাউন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক এবং কালকিনি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার।

মহাসড়কে একটি ভ্যান এনে সেটিকে মঞ্চের মতো সাজিয়ে বক্তব্য দেন তাঁরা। বক্তব্যে বলেন, শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। কর্মসূচি সফল করায় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোর থেকে গোপালপুর বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে জড়ো হন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে যন্ত্র দিয়ে ১০ থেকে ১২টি গাছ কেটে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রাখেন তাঁরা। এতে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। দূরপাল্লার যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন নেতা-কর্মীরা এবং নানা স্লোগান দেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাঁরা সরে যান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি নিজে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কাটাগাছগুলো অপসারণ করেছি। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়েছে।’

যান চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন একাধিক বড় গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। ।