নজরুল ইসলাম খান
ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব নয় কেন?

- Update Time : ০৯:৪১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
- / ৬৩ Time View
বিএনপি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় দাবি করে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি বারবার বলেছে- নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু সংস্কার করে ভোটের পথে হাঁটুন। ইসি জুনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। জুনের মধ্যে সব প্রস্তুতি হয়ে গেলে ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব নয় কেন? সরকারকে বলতে হবে- কেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে না?
আজ শনিবার (২৪ মে) বিকেলে বগুড়ার সূত্রাপুর সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’– এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এ কথাগুলো বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার করা। এই সরকার নির্বাচিত নয়, স্থায়ী সরকার নয়; তারা অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের একটা দায়িত্ব পালন করে চলে যেতে হবে। দেশের মানুষ স্থায়ী সরকার চায়।
নজরুল ইসলাম বলেন, কোনো দল এখনো সংগঠিত হয়নি, কোনো কোনো দল অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট-ঐক্য গড়ে তুলবে এ জন্য তারা সময়ক্ষেপণ করছে। এ জন্য কি নির্বাচন দিতে দেরি হবে? জনগণ সে সময় দিতে চায় না।
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির দেওয়া ৩১ দফার বাইরে সরকারের মাথায় নতুন কিছু আসে না। কাজেই সংস্কার প্রয়োজন, তবে সব সংস্কার বর্তমান সরকার নয়, নির্বাচিত সরকার করবে। আওয়ামী লীগ সব সেক্টর ধ্বংস করেছে। তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা থেকেই পুনর্গঠনের দিশা পাওয়া যাবে।’
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার বক্তব্যে বলেন, দেশে যোগ্য কোনো লোক নেই? নাতি-নাতনির বয়সীদের উপদেষ্টা বানালে অভিজ্ঞ সরকার হয় না। প্রধান উপদেষ্টা সম্মানী মানুষ, তার বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য নেই। তবে নাতির বয়সি উপদেষ্টা করায় কিছু ভুল হচ্ছে, এগুলো শোধরানো দরকার।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল সমালোচনা করবেই, কথা বলার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছি। তাহলে শান্তির জন্য, ন্যায়ের জন্য বক্তব্য দিলে এত উষ্মা কেন? মব জাস্টিস কেন? অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিনা বিচারে মানুষ মারা যাবে কেন? কিছু উপদেষ্টার কথায় মনে হচ্ছে নির্বাচন চাওয়া অপরাধ। যারা বলেন তারা কে?
রিজভী বলেন, মানবিক করিডোর নিয়ে রাজনৈতিক দল কথা বলবে না? বন্দর কেন বিদেশিদের দিতে হবে?
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
বিশেষ বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
এতে বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মাহমুদ ইয়াহিয়া, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান, নাজমুল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
নজরুল ইসলাম বলেন, যে এক দফার জন্য হাজারো ভাই গুম-খুন হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে; সেই এক দফার অবশিষ্ট কাজ প্রথম করতে হবে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সামনে ছিলেন তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে এটায় (জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া) বাধা দেওয়ার, প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও নেই।
সমাবেশ উপলক্ষে মাঠ সাজানো হয় ফেস্টুন-ব্যানার দিয়ে। সমাবেশে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের প্রতিটি জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কমিটির নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও বেলা ১১টা থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে সমাবেশের প্রস্তুতি কিছুটা বিঘ্নিত হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি থেমে গেলে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। তরুণদের অংশগ্রহণে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সমাবেশস্থল।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়