ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে ইউনুছ হত্যার রহস্য উদঘাটনের পথে

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৭৭৫ Time View

টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি মরহুম ইউনুছ মেম্বার হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

৬ অক্টোবর রাতে ঘটে যাওয়া এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ৫ নভেম্বর সকালে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর জি.আর–৭৯৯/২৫ইং।

মামলায় হ্নীলা রঙ্গিখালীর ছৈয়দুর রহমান ওরফে ছৈয়দ মেম্বারের পুত্র এবং উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ওরফে শাফুইয়াকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৭–৮ জনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর সকালে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গেইটের দক্ষিণ পাশে পুত্তাপোল ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় খাল থেকে ইউনুছ মেম্বারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাযেদ মোঃ নাজমুন নুর সাংবাদিকদের জানান, “ইউনুছ মেম্বার হত্যা মামলা থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”

এদিকে, ইউনুছ মেম্বারের পরিবার, সহকর্মী ও স্থানীয় সচেতন মহল এ হত্যা নিয়ে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব, প্রতিহিংসা বা বাণিজ্য না করে প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ইউনুছ মেম্বার এলাকায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো টেকনাফ জুড়ে।

এই ঘটনায় এখন টেকনাফবাসীর একটাই দাবি “ইউনুছ মেম্বার হত্যার সঠিক বিচার হোক, অপরাধীরা যেই হোক না কেন—তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”

Please Share This Post in Your Social Media

টেকনাফে ইউনুছ হত্যার রহস্য উদঘাটনের পথে

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০২:১০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি মরহুম ইউনুছ মেম্বার হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

৬ অক্টোবর রাতে ঘটে যাওয়া এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ৫ নভেম্বর সকালে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর জি.আর–৭৯৯/২৫ইং।

মামলায় হ্নীলা রঙ্গিখালীর ছৈয়দুর রহমান ওরফে ছৈয়দ মেম্বারের পুত্র এবং উপজেলা আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ওরফে শাফুইয়াকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৭–৮ জনকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর সকালে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী গেইটের দক্ষিণ পাশে পুত্তাপোল ব্রিজের নিচে ভাসমান অবস্থায় খাল থেকে ইউনুছ মেম্বারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জাযেদ মোঃ নাজমুন নুর সাংবাদিকদের জানান, “ইউনুছ মেম্বার হত্যা মামলা থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।”

এদিকে, ইউনুছ মেম্বারের পরিবার, সহকর্মী ও স্থানীয় সচেতন মহল এ হত্যা নিয়ে কোনো প্রকার রাজনৈতিক প্রভাব, প্রতিহিংসা বা বাণিজ্য না করে প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সমাজসেবামূলক কাজের জন্য ইউনুছ মেম্বার এলাকায় ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো টেকনাফ জুড়ে।

এই ঘটনায় এখন টেকনাফবাসীর একটাই দাবি “ইউনুছ মেম্বার হত্যার সঠিক বিচার হোক, অপরাধীরা যেই হোক না কেন—তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”