টঙ্গীর মহাসড়ক যেনো মৃত্যুর ফাঁদ দেখার কেউ নেই।

- Update Time : ০৭:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৫ Time View
গাজীপুরের টঙ্গীতে থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি আমাদের জ্বালানি খরচও বেড়ে যাচ্ছে। টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ যেহেতু শেষ পর্যায়ে, তাই এটি বাতিল না করে দ্রুত শেষ করা জরুরি। এখনো প্রায় ২০ শতাংশ কাজ বাকি আছে। দ্রুত শেষ করা হলে সুফল মিলবে, নইলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন দেরিতে স্কুলে আসছে, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি শেষ করতে বিলম্বের পেছনে রয়েছে বরাদ্দ সংকট, প্রযুক্তিগত সমস্যা ও বর্ষাকালীন কাজে বিঘ্ন তবু জনগণের দুর্ভোগ কমাতে অস্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুল বলেন, ‘মহাসড়কটি যেহেতু বিআরটি প্রকল্পের আওতায়, আমরা ইচ্ছে থাকলেও সরাসরি কোনো কাজ করতে পারছি না। তার পরও পানি নিষ্কাশন ও কিছু অংশ মেরামতের ব্যবস্থা করেছি। উল্লেখ্য, এতদিন ধরে নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে তেমন পরিবর্তন আসেনি। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, প্রকল্পটি যেন আশীর্বাদ নয়; বরং অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজধানীতে ঢোকার প্রধান সড়ক যদি এমন দুরবস্থায় থাকে, তবে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে—সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। স্থানীয়রা বলছেন, উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রকল্প নেওয়া হলেও সাধারণ মানুষের জীবনে তার সুফল পৌঁছাচ্ছে না বরং প্রতিদিন আরও দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। শ্রমিকদের সময় নষ্ট হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন, যাত্রীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী অংশ যেন দেশের অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি। বিআরটি প্রকল্প সঠিকভাবে শেষ না হলে এই সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হবে। জনগণের আশা, সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং এই দুর্ভোগের অবসান ঘটাবে।