ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রতিহিংসার পরিবর্তে পরিকল্পনার রাজনীতি করতে হবে : তারেক রহমান শরীর ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারাতে শুরু করেছে : অমিতাভ বচ্চন দুই কুতুবের কথা না শোনায় বিচারকদের করুণ দশা! যে কৌশলে ঘুমিয়ে পড়বেন মাত্র ২ মিনিটেই পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে কিম জং উনের নতুন হুমকি অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনের হাজারো যাত্রী পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটলে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ম্যাক্রোঁর ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা ১৬টি ব্যাংকের মাধ্যমে মাসে হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মাইলস্টোনের ৩ শিক্ষকের মানবতা-সাহসিকতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা

টঙ্গীতে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩০৪ Time View

গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গী বাজার দূর্গা মন্দিরের পরিচালনা নিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধের জেরে সোমবার সকাল ১১ টায় মন্দির প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সংগঠনে অ-গঠনতান্ত্রিক নিয়মে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বির্তকিত মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত দাস ও সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ক্ষমতা আকড়ে রাখা, ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মন্দিরের একাংশে থাকা ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা, ভিন্ন ধর্মাম্বলী লোকজন নিয়ে আধিপত্ত্য বিস্তার ও বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলেন মন্দির পরিচালনার কমিটির একাংশ ও ভক্তবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৮৩ সালে টঙ্গীতে গঠিত হিন্দু জনকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে সনাতন সম্প্রদায়ের পূজাঅর্চনা করার জন্য ১৯৯৪ সালে টঙ্গীবাজারে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

গত ৪ আগষ্ট ২০১৭ সালে রঞ্জিত দাসকে সভাপতি এবং দেবেন্দ্র দত্তকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট যুব কমিটি গঠিত হয়। সে সময় মন্দির নির্মাণ কমিটি করার প্রস্তাব আসলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রহস্যজনক কারণে তা এড়িয়ে গিয়ে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

পরবর্তীতে ৪ আগষ্ট ২০২০ সালে উক্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি প্রণয়ন, গঠনতন্ত্র বাস্তবায়ন ও নিয়মিত সাধারণ সভা না করে নিজেদের ইচ্ছে মতো কমিটি করার পায়তারা শুরু করে। এনিয়ে মন্দিরে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বারস্থ হলে তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রশাসনের হাতে ন্যাস্ত করলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্র প্রণনয় এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করেন।

কিন্তু রঞ্জিত দাস এবং দেবেন্দ্র দত্ত এ সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে ওসিকে মিথ্যা দোষারুপ করে- হরি সাধন পোদ্দার, দিপংকর ঘোষ, মহাদেব সাহা, অমল ঘোষসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৫ মে ২০২৩ ইং গাজীপুর বিজ্ঞ জেলা জজ ২য় আদালতে মামলা করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মামলার বিবাদীরাসহ স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ে ভক্তবৃন্দ।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টঙ্গী পূর্ব থানার সাধারণ সম্পাদক অমল ঘোষ। এসময় মন্দির পূজারী-ভক্তবৃন্দ ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিত্বে আদালতে দায়েকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীতে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:৪৭:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

গাজীপুরের শিল্পনগরী টঙ্গী বাজার দূর্গা মন্দিরের পরিচালনা নিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্ধের জেরে সোমবার সকাল ১১ টায় মন্দির প্রাঙ্গনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সংগঠনে অ-গঠনতান্ত্রিক নিয়মে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বির্তকিত মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত দাস ও সাধারণ সম্পাদক দেবেন্দ্র দত্তের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ক্ষমতা আকড়ে রাখা, ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মন্দিরের একাংশে থাকা ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা, ভিন্ন ধর্মাম্বলী লোকজন নিয়ে আধিপত্ত্য বিস্তার ও বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ তুলেন মন্দির পরিচালনার কমিটির একাংশ ও ভক্তবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৮৩ সালে টঙ্গীতে গঠিত হিন্দু জনকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে সনাতন সম্প্রদায়ের পূজাঅর্চনা করার জন্য ১৯৯৪ সালে টঙ্গীবাজারে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

গত ৪ আগষ্ট ২০১৭ সালে রঞ্জিত দাসকে সভাপতি এবং দেবেন্দ্র দত্তকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি, ২১ সদস্য বিশিষ্ট যুব কমিটি গঠিত হয়। সে সময় মন্দির নির্মাণ কমিটি করার প্রস্তাব আসলেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক রহস্যজনক কারণে তা এড়িয়ে গিয়ে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

পরবর্তীতে ৪ আগষ্ট ২০২০ সালে উক্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি প্রণয়ন, গঠনতন্ত্র বাস্তবায়ন ও নিয়মিত সাধারণ সভা না করে নিজেদের ইচ্ছে মতো কমিটি করার পায়তারা শুরু করে। এনিয়ে মন্দিরে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বারস্থ হলে তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তারা বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রশাসনের হাতে ন্যাস্ত করলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে গঠনতন্ত্র প্রণনয় এবং ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করেন।

কিন্তু রঞ্জিত দাস এবং দেবেন্দ্র দত্ত এ সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে ওসিকে মিথ্যা দোষারুপ করে- হরি সাধন পোদ্দার, দিপংকর ঘোষ, মহাদেব সাহা, অমল ঘোষসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৫ মে ২০২৩ ইং গাজীপুর বিজ্ঞ জেলা জজ ২য় আদালতে মামলা করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মামলার বিবাদীরাসহ স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ে ভক্তবৃন্দ।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ টঙ্গী পূর্ব থানার সাধারণ সম্পাদক অমল ঘোষ। এসময় মন্দির পূজারী-ভক্তবৃন্দ ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিত্বে আদালতে দায়েকৃত মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানান।