ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হাসান স্বপন গ্রেপ্তার বিএনপির ১১ টি সংগঠনের বাইরে কোন সংগঠন নেই বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

টঙ্গীতে চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হাসান স্বপন গ্রেপ্তার

মোঃ হানিফ হোসেন, টঙ্গী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৫:২২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১২৭ Time View

গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদাবাজির মামলায় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় চারটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হাসান স্বপন পেশায় একজন আইনজীবী। সাবেক বিএনপি নেতা পরিচয় ব্যবহার করে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং বিভিন্ন মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করতেন।

রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় (মামলা নং-৩৩৬) তার নামও রয়েছে।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রগুলো জানায়, স্বপন একসময় টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন। বর্তমানে কোনো দলীয় পদে না থাকলেও ‘সাবেক নেতা’ পরিচয়ে তিনি এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে তিনি নানা সুবিধা আদায় করতেন। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্বপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য এবং হুমকি-ধমকির অভিযোগ আরও বেড়ে যায়।

অভিযোগে বলা হয়, স্বপন স্থানীয় শিক্ষক, বাড়িওয়ালা ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখান এবং চাঁদা আদায় করেন। চাহিদামতো অর্থ, দামি মোবাইল ফোন কিংবা ব্যবসায় অংশীদার না করলে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে হুমকি দেন। এ সংক্রান্ত একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। টঙ্গীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, স্বপনের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে। যদিও তিনি এখন কোনো সাংগঠনিক পদে নেই, তথাপি ‘বিএনপি নেতা’ পরিচয় ব্যবহার করে প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় দুটি মামলা এবং একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীতে চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক বিএনপি নেতা জিয়াউল হাসান স্বপন গ্রেপ্তার

মোঃ হানিফ হোসেন, টঙ্গী প্রতিনিধি
Update Time : ০৫:২২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীতে চাঁদাবাজির মামলায় গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হাসান স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় চারটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হাসান স্বপন পেশায় একজন আইনজীবী। সাবেক বিএনপি নেতা পরিচয় ব্যবহার করে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং বিভিন্ন মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করতেন।

রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় (মামলা নং-৩৩৬) তার নামও রয়েছে।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রগুলো জানায়, স্বপন একসময় টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ছিলেন। বর্তমানে কোনো দলীয় পদে না থাকলেও ‘সাবেক নেতা’ পরিচয়ে তিনি এলাকায় দাপট দেখিয়ে আসছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে তিনি নানা সুবিধা আদায় করতেন। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্বপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য এবং হুমকি-ধমকির অভিযোগ আরও বেড়ে যায়।

অভিযোগে বলা হয়, স্বপন স্থানীয় শিক্ষক, বাড়িওয়ালা ও ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর ভয় দেখান এবং চাঁদা আদায় করেন। চাহিদামতো অর্থ, দামি মোবাইল ফোন কিংবা ব্যবসায় অংশীদার না করলে তিনি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে হুমকি দেন। এ সংক্রান্ত একাধিক অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। টঙ্গীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, স্বপনের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তিকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে। যদিও তিনি এখন কোনো সাংগঠনিক পদে নেই, তথাপি ‘বিএনপি নেতা’ পরিচয় ব্যবহার করে প্রকাশ্যে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় দুটি মামলা এবং একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে।