জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে স্নিগ্ধর পদত্যাগ

- Update Time : ০৯:৩০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / ১৮ Time View
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। উচ্চশিক্ষায় সময় দিতে পদত্যাগ করেছি।
মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বড় ভাই। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠনের কথা জানানো হয়। সে সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং স্নিগ্ধকে এ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল।
পরে ২১ অক্টোবর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলমকে। সে সময় স্নিগ্ধকে এ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সারজিস আলম জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে যান। তিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠকের (উত্তরাঞ্চল) দায়িত্বে আছেন।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পদ ছাড়ার কারণ উল্লেখ করে সারজিস আলম তখন ফেসবুকে লেখেন, ‘ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য সংস্থাটির গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে সাধারণ সম্পাদক নামে কোনো পদ এখন থেকে আর থাকবে না। গভর্নিং বডি ফাউন্ডেশনের পলিসি মেকিংয়ে কাজ করবে। যেখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা রয়েছেন (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার ও আইসিটি। সাধারণ সম্পাদক নামে কোনো পদ এখন নেই।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সরকার অনুমোদিত একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক ও জনকল্যাণমূলক বেসরকারি সংস্থা। গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারকে আর্থিক ও মানবিক সহায়তা, পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা এবং আহত বা পঙ্গুত্ববরণকারী ব্যক্তিদের ওষুধসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও মানবিক সহায়তা বা অন্য কোনো উপযুক্ত সুবিধা দেওয়া এই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য।