জবি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য পদের জন্য হাতে পায়ে ধরেছেন

- Update Time : ০৭:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
- / ২৩৮ Time View
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালে যখন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ‘ বাকশাল’ গঠন করেন সেই সময় বাকশালের সদস্য পদের জন্য প্রতিযোগিতা করেছে যে কে কার আগে সদস্য পদ নিতে পারেন, সেই সদস্য পদ লাভের জন্য জিয়াউর রহমান কম চেষ্টা করে নি। তিনি এই সদস্য পদের জন্য কত জনের হাত পায়ে ধরে বলেছেন ‘আমি বাকশালের সদস্য হতে চাই ‘।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতা ২০২৩ ও আলোচনা সভায় বক্তৃতা প্রদানকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এই কথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (জিয়াউর রহমান) আবার বঙ্গবন্ধুর নিহতের পর বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে কি হয়েছে? ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ তো আছে। এই যে স্ববিরোধীতা! আমাদের মধ্যে কিন্তু সেই চরিত্রের অভাব নেই। সেই চরিত্রদের থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। এসকল বিশ্বাসঘাতকদের থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’
এছাড়াও অনুষ্ঠানে পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন বলেন, মুজিব যে রাষ্ট্র তৈরি করে ছিলেন তা জাতি ভিত্তিক। তিনি সভ্যদের নিয়ে আরেকটি দল গঠন করেছিলেন নাম বাকশাল।
আমরা ছোটকালে মিছিল দিতাম বিশ্বে এলো নতুন বাদ মুজিববাদ, মজিববাদ। সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে নতুন মতাদর্শ নিয়ে এসেছিল বাকশাল। কিন্তু মুজিবের মৃত্যুতে আমরা এর সুফল পেলাম না। এই মৃত্যুর নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা, যারা ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন করে। আমি একজন শিক্ষক, আমি আমার ছাত্রদের বলতে চাই। কেউ যেন ১৫ আগস্টে জন্মদিন পালন করতে না পারে।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান বলেন,” বঙ্গবন্ধু থাকলে আমার এক নতুন অর্থ ব্যাবস্থা দেখতে পেতাম, ফলে দেশ আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতো। বর্তমান দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ দেশে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। তিনি সকলের সহযোগীতায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।”
আলোচনায় আরো অংশ নেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড মো মোস্তফা কামাল, জবি ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর মো. মেফতাহুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইন।
জাতীয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নাহিদ হাসান, দ্বিতীয় হয়েছেন জবি ইতিহাস বিভাগের রোকসানা আক্তার, তৃতীয় হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের রুবিনা জাহান, চতুর্থ হয়েছেন জবি ফার্মেসি বিভাগের তৌফিকুর রহমান এবং পঞ্চম হয়েছেন জবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের হোমাইরা সাদাত।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়