ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসরাইলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেবো না: ট্রাম্প শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা, আদালতে খারিজ শাহরুখ-আরিয়ানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ে চেন্নাইয়ে থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে পদপিষ্ট হয়ে ৩৪ জনের মৃত্যু জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে : তারেক রহমান বাদামতলীতে ঢাকা ৭ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি’র গণসংযোগ দোলনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের ঢাকা ৭ আসনের মানুষের খাদেম হতে চাই – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান টঙ্গীর কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শনে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক

জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্ট্রে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:২১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪২৮ Time View

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমিন আহম্মদ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক ও টিআইএম নুরুন্নবী চৌধুরীদ্বয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি থাকা অবস্থায় ডেভেলপার কোম্পানি ‘ইম্পেরিয়াল কনসালটেন্টস এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ শামীম রেজার সঙ্গে বিওটি ভিত্তিতে দুটি বেজমেন্টেসহ ১৩তলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণের চুক্তি করেন। যেখানে কোনরুপ সিকিউরিটি মানি না নিয়ে ২০ কাঠা জায়গা ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ম্যানেজিং ট্রাস্টি (অর্থ) টিআইএম নুরুন্নবী অত্র চুক্তিপত্রে লাভবান হয়েছেন। কিন্তু এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাস্টিস আমিন আহমেদ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা ও সেবাদানকারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিবাদের দোসর জুলাই-আগষ্টে গণহত্যার সময় এই সৈয়দ শামীম রেজা ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ে ধানমন্ডিতে গোলাগুলি করে ও নিরাপত্তায় সন্ত্রাসীরা তার আশ্রয়ে ছিল। এখনো তার অফিসে রাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আড্ডা দেয় বলে জানিয়েছেন ভবনের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্টের বর্তমান ম্যানেজিং ট্রাস্টিদ্বয় শামীম রেজা সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখে চলছেন। তারা তার থেকে সুবিধা নিয়ে ট্রাস্টের কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করছেন না। উল্টো সেবামূলক সমস্ত কার্যক্রমে স্তবিরতা নেমে এসেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, বর্তমানে নিয়মিত ট্রাস্টি বোর্ডের সভা হয় না। যদিও হয় তবে একজন আসে তো অন্যজন আসে না। প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ্য জনবল ও ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে না। যার ফলে সেবা নিতে এসে গরীব অসহায় রোগীদের ফেরত যেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানির নিকট ট্রাস্টের বকেয়া পাওনা কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের কোন ধরনের তৎপরতা নেই। এসব বিষয়ে জানতে শামীম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমিন আহম্মদ রাজধানীর ধানমন্ডিতে ১৯৮১ সালে একটি ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। মানবতার সেবার উদ্যেশ্য তিনি নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে নিজেকে ম্যানেজিং ট্রাস্টি করে ‘জাস্টিস আমিন আহম্মদ’ নামেই এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই বিচারপতি একেএম বাকের ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন। ধারাবাহিকভাবে বিচারপতি রুহুল ইসলাম, বিচারপতি আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদুল হক দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি এবাদুল হকের মৃত্যুর পর বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমান বর্তমানে ম্যানেজিং ট্রাস্টির দাযিত্ব পালনের সময় থেকে ট্রাস্টের কার্যক্রমের বিপত্তি ঘটতে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্ট্রে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:২১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আমিন আহম্মদ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, বিচারপতি কাজী এবাদুল হক ও টিআইএম নুরুন্নবী চৌধুরীদ্বয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি থাকা অবস্থায় ডেভেলপার কোম্পানি ‘ইম্পেরিয়াল কনসালটেন্টস এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ শামীম রেজার সঙ্গে বিওটি ভিত্তিতে দুটি বেজমেন্টেসহ ১৩তলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণের চুক্তি করেন। যেখানে কোনরুপ সিকিউরিটি মানি না নিয়ে ২০ কাঠা জায়গা ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ম্যানেজিং ট্রাস্টি (অর্থ) টিআইএম নুরুন্নবী অত্র চুক্তিপত্রে লাভবান হয়েছেন। কিন্তু এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাস্টিস আমিন আহমেদ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা ও সেবাদানকারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিবাদের দোসর জুলাই-আগষ্টে গণহত্যার সময় এই সৈয়দ শামীম রেজা ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ে ধানমন্ডিতে গোলাগুলি করে ও নিরাপত্তায় সন্ত্রাসীরা তার আশ্রয়ে ছিল। এখনো তার অফিসে রাতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আড্ডা দেয় বলে জানিয়েছেন ভবনের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্টের বর্তমান ম্যানেজিং ট্রাস্টিদ্বয় শামীম রেজা সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখে চলছেন। তারা তার থেকে সুবিধা নিয়ে ট্রাস্টের কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করছেন না। উল্টো সেবামূলক সমস্ত কার্যক্রমে স্তবিরতা নেমে এসেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, বর্তমানে নিয়মিত ট্রাস্টি বোর্ডের সভা হয় না। যদিও হয় তবে একজন আসে তো অন্যজন আসে না। প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ্য জনবল ও ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে না। যার ফলে সেবা নিতে এসে গরীব অসহায় রোগীদের ফেরত যেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানির নিকট ট্রাস্টের বকেয়া পাওনা কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের কোন ধরনের তৎপরতা নেই। এসব বিষয়ে জানতে শামীম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমিন আহম্মদ রাজধানীর ধানমন্ডিতে ১৯৮১ সালে একটি ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। মানবতার সেবার উদ্যেশ্য তিনি নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে নিজেকে ম্যানেজিং ট্রাস্টি করে ‘জাস্টিস আমিন আহম্মদ’ নামেই এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই বিচারপতি একেএম বাকের ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন। ধারাবাহিকভাবে বিচারপতি রুহুল ইসলাম, বিচারপতি আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদুল হক দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি এবাদুল হকের মৃত্যুর পর বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমান বর্তমানে ম্যানেজিং ট্রাস্টির দাযিত্ব পালনের সময় থেকে ট্রাস্টের কার্যক্রমের বিপত্তি ঘটতে থাকে।