ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামাতা কর্তৃক শ্বাশুড়ি খুন, ঘাতক ২ দিনেই গ্রেফতার

ময়মনসিংহ
  • Update Time : ০৪:২৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / ১০ Time View

জামাতা কর্তৃক শ্বাশুড়ি খুনের ঘটনায় ঘাতক মনির হোসেন (২৫)কে গত ০৩/০৫/২০২৫ তারিখ দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলার সদর থানাধীন কোটবাড়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ০১/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় আসামী মনির অন্যান্য আসামীদের সাথে নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদীর মায়ের বসত ঘরে প্রবেশ করে।

অন্যান্য আসামীদের হুকুমে আসামী মনির তার হাতে থাকা ধারলো চাকু দিয়ে বাদীর বোন রুমা আক্তারকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে তার কপালে, বাম কানের উপরে ও বাম হাতে পরপর তিনটি ঘাই দিয়ে গুরুতর জখম করে।

বাদীর বোনের ডাক চিৎকারে বাদী ও তার মা ফজিলা বেগম আসামী মনিরকে ফিরাতে গেলে মনির তার হাতে থাকা রক্তমাখা চাকু দিয়ে ফজিলা বেগমকে পেটের মাঝ বরাবর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন জখমী রুমা ও তার মা ফজিলা বেগমকে প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।

উক্ত ঘটনায় নিহতের মেয়ে তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করার পর থেকেমনির আত্মগোপনে ছিল।

এ বিষয়ে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রকিবুল আক্তার জানান, উক্ত ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আসামী কুমিল্লা জেলার সদর থানাধীন কোটবাড়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। পিবিআই ময়মনসিংহের একটি আভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্ত চলমান।

Please Share This Post in Your Social Media

জামাতা কর্তৃক শ্বাশুড়ি খুন, ঘাতক ২ দিনেই গ্রেফতার

ময়মনসিংহ
Update Time : ০৪:২৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

জামাতা কর্তৃক শ্বাশুড়ি খুনের ঘটনায় ঘাতক মনির হোসেন (২৫)কে গত ০৩/০৫/২০২৫ তারিখ দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলার সদর থানাধীন কোটবাড়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ০১/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় আসামী মনির অন্যান্য আসামীদের সাথে নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে বাদীর মায়ের বসত ঘরে প্রবেশ করে।

অন্যান্য আসামীদের হুকুমে আসামী মনির তার হাতে থাকা ধারলো চাকু দিয়ে বাদীর বোন রুমা আক্তারকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে তার কপালে, বাম কানের উপরে ও বাম হাতে পরপর তিনটি ঘাই দিয়ে গুরুতর জখম করে।

বাদীর বোনের ডাক চিৎকারে বাদী ও তার মা ফজিলা বেগম আসামী মনিরকে ফিরাতে গেলে মনির তার হাতে থাকা রক্তমাখা চাকু দিয়ে ফজিলা বেগমকে পেটের মাঝ বরাবর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন জখমী রুমা ও তার মা ফজিলা বেগমকে প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফজিলা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।

উক্ত ঘটনায় নিহতের মেয়ে তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করার পর থেকেমনির আত্মগোপনে ছিল।

এ বিষয়ে পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রকিবুল আক্তার জানান, উক্ত ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আসামী কুমিল্লা জেলার সদর থানাধীন কোটবাড়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। পিবিআই ময়মনসিংহের একটি আভিযানিক টিম তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্ত চলমান।