ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

জাবিতে ভর্তি ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ, শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবি

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০১:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১৩৪ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)আসন্ন স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ, শিফট পদ্ধতি বাতিল এবং অভিন্ন প্রশ্নপত্রের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর সংস্থার আন্দোলনের’ শিক্ষার্থীরা।

গত  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নাজিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি ইউনিটের জন্য ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটে ৯০০ টাকা, ‘ই’ ইউনিটে ৭৫০ টাকা এবং অন্যান্য ইউনিটে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান ও সদস্য সচিব আবু বকর আলী বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে চাপে ফেলা এবং শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের এ প্রয়াস অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষা কখনোই ব্যবসার উপকরণ হতে পারে না।

গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায্য শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার যে স্বপ্ন, তা পূরণের পথে এই ধরনের ফি নির্ধারণ ও শিফট বৈষম্য বাধা সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সুযোগ নিশ্চিত করা, তাদের আর্থিকভাবে জিম্মি করা নয়।

যৌথ বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি পরীক্ষায় অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলো উপেক্ষা করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুতই দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা এবং একটি বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

জাবিতে ভর্তি ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ, শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবি

জাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০১:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)আসন্ন স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ, শিফট পদ্ধতি বাতিল এবং অভিন্ন প্রশ্নপত্রের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর সংস্থার আন্দোলনের’ শিক্ষার্থীরা।

গত  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের মুখপাত্র নাজিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি ইউনিটের জন্য ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটে ৯০০ টাকা, ‘ই’ ইউনিটে ৭৫০ টাকা এবং অন্যান্য ইউনিটে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া জিসান ও সদস্য সচিব আবু বকর আলী বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে চাপে ফেলা এবং শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের এ প্রয়াস অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষা কখনোই ব্যবসার উপকরণ হতে পারে না।

গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায্য শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার যে স্বপ্ন, তা পূরণের পথে এই ধরনের ফি নির্ধারণ ও শিফট বৈষম্য বাধা সৃষ্টি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের সুযোগ নিশ্চিত করা, তাদের আর্থিকভাবে জিম্মি করা নয়।

যৌথ বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি পরীক্ষায় অভিন্ন প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং শিফট পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলো উপেক্ষা করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুতই দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। এছাড়া শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা এবং একটি বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তারা।