ব্রেকিং নিউজঃ
জবিতে সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা

জবি সংবাদদাতা
- Update Time : ০৭:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
- / ২১৯ Time View
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইকবাল মাহমুদ রানা নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। বুধবার (১৯জুলাই) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেনের অনুসারী রানার এলোপাথাড়ি লাথিতে আহত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টিভির রিপোর্টার অমৃত রায়। এসময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাসদিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যান্টিনে সিরিয়াল এবং টোকেন ছাড়াই খাবার নিতে গিয়ে সিরিয়ালে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের টোকেন ফেলে দেয় এবং শিক্ষার্থী ও ক্যাফেটিরিয়ায় স্টাফদের গালিগালাজ করে। ক্যাফেটিরিয়ায় হুলুস্থুল দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি দেয় ছাত্রলীগ কর্মী সমাজকর্ম বিভাগের সাজেদুল ইসলাম সৈকত এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মাহমুদ রানা। পরবর্তীতে খেতে বসা সাংবাদিকদের টেবিলে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে এশিয়ান টিভির রিপোর্টার অমৃত রায়কে লাথি দেয়া শুরু করে ইকবাল মাহমুদ রানা।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন এসে হামলাকারীদের নিবারণ করে এবং বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি আপাত স্থবির করতে বলেন। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে রাত হয়ে গেলে তিনি কিছু জানান নি।
বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন ও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রকল্যান পরিচালক হিসেবে সুপারিশ করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগের উপদেশ দেন।
এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি এ বিষটির যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করবো। লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী আমি ঐ শিক্ষার্থীকে ডেকে এর দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।”
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, সাংবাদিকের গায়ে হাত দেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।