ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, প্রেমিক কারাগারে

জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / ১১৯ Time View

ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাউর রহমান বুধবার (৩০ এপ্রিল) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) সূত্রাপুর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর অনুপম দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদুল হক আসামি ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।

প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবা প্রণব মজুমদার ৩০ এপ্রিল সূত্রাপুর থানায় লালবাগ থানাধীন এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ইয়াছিন মজুমদারকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় অথৈ ও ইয়াছিনদের বাড়ি পাশাপাশি। এক স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই অথৈকে উত্যক্ত করত ইয়াছিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অথৈ সূত্রাপুর এলাকায় থাকতে শুরু করেন। তখন ইয়াছিন ঢাকায় এসে লালবাগ এলাকার ‘জমিদারি ভোজ’ রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ নেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ইয়াছিন ঢাকায় এসে আগের মতোই উত্যক্ত করতে থাকে এবং ‘কৌশলে’ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ‘অপমানজনক কথা’, ‘অপবাদ’ দিয়ে অথৈকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে ইয়াছিন।

মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবের অনুশীলন শেষে ছাত্রীনিবাসে ফেরার পথে অথৈকে ‘গালমন্দ’ করার পাশাপাশি উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেয় ইয়াছিন। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী লক্ষ্মীবাজারের নন্দলাল লেইনের মেসে চলে যান।

খানিক বাদে তার কক্ষের সামনে গিয়ে ইয়াছিন অন্যদের দিয়ে অথৈকে ডাকতে বলে। পরে মেসের মালিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগমের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে ইয়াছিন। এসময় অথৈকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় ইয়াছিন। সেখানে চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা, প্রেমিক কারাগারে

জবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় প্রেমিক ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাউর রহমান বুধবার (৩০ এপ্রিল) তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (১ মে) সূত্রাপুর থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সাব-ইন্সপেক্টর অনুপম দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর জাহিদুল হক আসামি ইয়াছিন মজুমদারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।

প্রত্যাশা মজুমদার অথৈকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বাবা প্রণব মজুমদার ৩০ এপ্রিল সূত্রাপুর থানায় লালবাগ থানাধীন এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার ইয়াছিন মজুমদারকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকায় অথৈ ও ইয়াছিনদের বাড়ি পাশাপাশি। এক স্কুলে পড়াশোনার সময় থেকেই অথৈকে উত্যক্ত করত ইয়াছিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অথৈ সূত্রাপুর এলাকায় থাকতে শুরু করেন। তখন ইয়াছিন ঢাকায় এসে লালবাগ এলাকার ‘জমিদারি ভোজ’ রেস্তোরাঁয় ওয়েটারের কাজ নেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ইয়াছিন ঢাকায় এসে আগের মতোই উত্যক্ত করতে থাকে এবং ‘কৌশলে’ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে ‘অপমানজনক কথা’, ‘অপবাদ’ দিয়ে অথৈকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে ইয়াছিন।

মামলায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবের অনুশীলন শেষে ছাত্রীনিবাসে ফেরার পথে অথৈকে ‘গালমন্দ’ করার পাশাপাশি উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেয় ইয়াছিন। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ওই শিক্ষার্থী লক্ষ্মীবাজারের নন্দলাল লেইনের মেসে চলে যান।

খানিক বাদে তার কক্ষের সামনে গিয়ে ইয়াছিন অন্যদের দিয়ে অথৈকে ডাকতে বলে। পরে মেসের মালিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগমের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে ইয়াছিন। এসময় অথৈকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় ইয়াছিন। সেখানে চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।