চ্যালেঞ্জ থাকলেও অর্থনৈতির দিক থেকে স্বস্তিতে আছি

- Update Time : ০৪:২৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫
- / ১২ Time View
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অবশ্যই আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, এটা আমি স্বীকার করি। তবে অর্থনৈতিক দিয়ে স্বস্তিতে আছি আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।বিশ্বব্যাংক থেকে বলা হয়েছে দারিদ্র্যের হার বেড়ে গেছে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তাত্ত্বিক দিকে এখন যাবো না। দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, দারিদ্র্য আছে প্রকৃতপক্ষে- এগুলো বিষ বলতে হলে আমার অনেক বক্তব্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আপনি ৫ হাজার লোককে টেলিফোন করে ইন্টারভিউ নিয়ে বললেন দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, এগুলো তো আমি জানি। আমাকে একজন বলে স্যার আপনি একটা পেপার লেখেন, আমি বলে দিলে একটা ফার্ম ২০ হাজার রিপ্লাই দিয়ে দিবে আপনাকে কালকের মধ্যে। এগুলো রিলাবিলিটির ব্যাপার। তবে ডেফিনেটলি আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে, এটা আমি অস্বীকার করি না। তিনি আরও বলেন, ‘অমর্ত্য সেন একবার বলেছিলেন- খুব কঠিন দারিদ্র্য আমার মেজার করতে হবে না। দরিদ্র লোক দেখলেই চিনতে পারবেন, তার চেহারা, তার ভাবে।’
অর্থনীতি কি স্বস্তিতে আছে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি। সে জন্য তো আমরা মোটামুটি একটু কনফিডেন্ট। বাকিগুলোর ব্যাপারে আমি বলতে পারব না।’মূল্যস্ফীতি আগের চেয়ে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, কিন্তু একটা সার্ভারে বলছে যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ শ্রীলঙ্কা, ইভেন পাকিস্তান বা কয়দিন আগে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলো, নেপালের অবস্থাও আমাদের চাইতে ভালো। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘বেসটা যখন বড় হয়, ১১-১৪ ছিল, তারপরে নামিয়ে ৮-এ এনেছি। ওটা যদি ৭ থাকতো, ওখানে যদি ৪-এ নামিয়ে আনতে পারতাম সবাই মহানন্দ হতো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বেসটাই তো খারাপ ছিল। প্লাস আমাদের যে এটাকে নামিয়ে আনা কিন্তু খুব ডিফিকাল্ট ছিল, তবুও আমরা নিয়ে এনেছি। এই জন্য কিন্তু আমরা এখনও অনবরত চাচ্ছি ফুড এবং নন ফুড দুটোই কমাতে। নন ফুডটা একটু ডিফিকাল্ট। ননফুড বাস ভাড়া, তারপরে ট্রান্সপোর্ট, এনার্জির সঙ্গে রিলেটেড। তারপর আপনার অন্যান্য জিনিস, ইলেক্ট্রিসিটির বিষয় আছে।’বাংলাদেশ সরকার ২.২ বিলিয়ল ডলার খরচ করে ২০টা ফাইটার জাহাজ কিনছে চীন থেকে। সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’ আপনি তো জানবেন স্যার? সাংবাদিকরা পাল্টা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘জানলেই কি সবকিছু বলে দিতে হবে।’
আমাদের কেন ফাইটার জাহাজের দরকার হচ্ছে? এমন প্রশ্ন করা হলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওটা ওদের ব্যাপার। ওরা কী করছে, আমরা ওর ভিতরে নেই। আমি অর্থের সংস্থানের….।’আপনারা কি অনুমতি দিচ্ছেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন আমি এটার ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’
আপনি ওয়াশিংটন যাচ্ছেন, সেখানে আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে আপনার কী এজেন্ডা হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আইএমএফ-এর পাইপলাইনে আরও টাকা আছে কিছু। আর বাকি এডিবি, এআইডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এগুলো আছে। মোটামুটি অনগোইং যেগুলোতে কমিটমেন্ট আছে, দুইটা এগ্রিমেন্ট সই হবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে। আর বাকিগুলো আমরা এবার একটু এজ ইউজুয়াল আমাদের ফলোআপ। এবার নেগোশিয়েশনের ব্যাপার না।’
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমাদের কী প্ল্যান আছে, এবার খুব ওপেনলি অনেক কিছু আলোচনা হবে না। নতুন সরকার আসার পর তারা মেজর ডিসিশন নেবে, সেটা হলো আমাদের স্ট্যান্ড। মানে বাকি মেজর ইস্যুগুলো ওরা করবে।’আমেরিকার শুল্ক নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘শুল্ক অলরেডি ইফেক্টিভ। যে সিলিং দিয়েছে ওটা অ্যাফেক্ট করে না। অলরেডি চার বিলিয়ন ডলার আমরা সার্বিকভাবে শো দিয়ে দিয়েছি।’নতুন পে স্কেল কি দিতে যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সেটা পরে এক সময় আমি দেখব। যাওয়ার আগে এক সময় আমি বলব।’এবার নির্বাচনের জন্য ৪২০ কোটি টাকা দিয়ে বডি ক্যামেরা কেনা হচ্ছে, এটা অপচায় মনে করছেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনার সেটা পরে বুঝতে পারবেন।’
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়