ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদি আরবের ‘স্লিপিং প্রিন্স’ আল ওয়ালিদ শিলং থেকে ‘নব্য গডফাদার’ এসেছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সালাহউদ্দিনকে ‘নব্য গডফাদার’ বলায় এনসিপি’র মঞ্চ ভাঙচুর, সভা পণ্ড স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন স্বামী যাত্রাবাড়ীর আবাসিক হোটেলে শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার জামায়াতের অনেক দায় কাধেঁ নিয়েছে বিএনপি – টুকু টেলিগ্রাম অ্যাপে ‘বিনিয়োগের ফাঁদ’ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া দুই প্রতারক গ্রেপ্তার ফ্যাসিস্টরা জোট হয়ে ক্ষমতা ফিরে পেতে চক্রান্ত করছে: মির্জা ফখরুল রংপুরে গ্যাস স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ; নিহত ১, আহত ২৫ এবার লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে: জামায়াত আমির
চাপা পড়া জীবিতদের নিয়ে উদ্বেগ

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যু শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৮৪ Time View

চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে।

এখন পর্যন্ত ১২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় চাপা পড়াদের জীবিত থাকা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিমালয়ের পাদদেশে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে আটকে পড়া ৪০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেঁচে থাকাদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো বিরতিহীন অভিযান চলছে।

মঙ্গলবারের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জিজাং অঞ্চলে। এখানে কম্পনের মাত্রা ছিল ভয়াবহ। যার প্রভাবে প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের ভবনগুলোও কেঁপে ওঠে। কম্পনটির সূত্রপাতের অবস্থান বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে থাকায় আপটার শক নিয়ে বেশ শঙ্কা জাগায়। তবে শেষমেশ প্রতিবেশী দেশগুলোতে বড় কোনো ধরনের বিপদ ঘটেনি।

এদিকে ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিতদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, সেখানে রাতের তাপমাত্রা প্রায় শূন্য ডিগ্রি, যা হাইপোথার্মিয়া এবং ডিহাইড্রেশনে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানায়, তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এসব বাড়িতে ৮ লাখ লোক বাস করতেন। আহতদের সাহায্য করার জন্য ৫০০ জনের বেশি উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। কাজ করছে ১০৬টি অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া আরও সহায়তা পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

প্রসঙ্গত, শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয় চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেইজিং সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে অঞ্চলটিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। বিষয়টি শিনহুয়াকে নিশ্চিত করেছে আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তর।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পনের এপিসেন্টার ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৪৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ভূমিকম্পটি ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে।

এদিকে মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটানেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। চীনের ভূমিকম্পের প্রভাবে এ তিন দেশে কম্পন অনুভূত হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

চাপা পড়া জীবিতদের নিয়ে উদ্বেগ

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যু শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৮:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বতে ভূমিকম্পে হতাহতদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে।

এখন পর্যন্ত ১২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। এ ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় চাপা পড়াদের জীবিত থাকা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হিমালয়ের পাদদেশে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে আটকে পড়া ৪০০ জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন, ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেঁচে থাকাদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো বিরতিহীন অভিযান চলছে।

মঙ্গলবারের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল জিজাং অঞ্চলে। এখানে কম্পনের মাত্রা ছিল ভয়াবহ। যার প্রভাবে প্রতিবেশী নেপাল, ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের ভবনগুলোও কেঁপে ওঠে। কম্পনটির সূত্রপাতের অবস্থান বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের প্রায় ৮০ কিলোমিটার উত্তরে থাকায় আপটার শক নিয়ে বেশ শঙ্কা জাগায়। তবে শেষমেশ প্রতিবেশী দেশগুলোতে বড় কোনো ধরনের বিপদ ঘটেনি।

এদিকে ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা জীবিতদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, সেখানে রাতের তাপমাত্রা প্রায় শূন্য ডিগ্রি, যা হাইপোথার্মিয়া এবং ডিহাইড্রেশনে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম মঙ্গলবার জানায়, তিব্বতের শিগাতসে অঞ্চলে ৩ হাজার ৬০৯টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এসব বাড়িতে ৮ লাখ লোক বাস করতেন। আহতদের সাহায্য করার জন্য ৫০০ জনের বেশি উদ্ধারকর্মী পাঠানো হয়েছে। কাজ করছে ১০৬টি অ্যাম্বুলেন্স। এ ছাড়া আরও সহায়তা পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

প্রসঙ্গত, শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয় চীনের জিজাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেইজিং সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে অঞ্চলটিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। বিষয়টি শিনহুয়াকে নিশ্চিত করেছে আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তর।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পনের এপিসেন্টার ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭.৪৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ভূমিকম্পটি ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে।

এদিকে মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভারত, ভুটানেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে। চীনের ভূমিকম্পের প্রভাবে এ তিন দেশে কম্পন অনুভূত হয়।