ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চড় খাওয়ার ভিডিও নিয়ে যা বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৩:২০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ১৪৭ Time View

সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। সেখানে দেখা যায়, তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ উড়োজাহাজ থেকে নামার সময় তার মুখ হাত সরিয়ে দিচ্ছেন বা একপ্রকার ‘চড়’ মারছেন। ঘটনাটি ভিয়েতনামে তাদের সফরের সময় ঘটে। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ট্রল শুরু হয়। তবে অবশেষে সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্যাক্রোঁ।

হ্যানয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমি আমার স্ত্রীকে মজা করে কিছু বলছি, আর সেটা নিয়ে যেন একপ্রকার ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। মানুষ তাতে অদ্ভুত ব্যাখ্যা জুড়ে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ভিডিওগুলো বাস্তব- হ্যাঁ, কেউ কেউ মাঝে মাঝে সেগুলো বিকৃত করে, কিন্তু তার চেয়েও ভয়ানক হলো, এইসব ভিডিওকে মানুষ যেভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’

জানা যায়, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে স্ত্রী ব্রিজিতকে সঙ্গে নিয়ে ভিয়েতনামে পৌঁছলে এ ঘটনা ঘটে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান হ্যানয়ের মাটিতে নামার পর ম্যাক্রোঁ হাসিমুখে বিমান থেকে নামতে উদ্যত হন। ঠিক সেই মুহূর্তে, বিমানের দরজার আড়াল থেকে লাল পোশাক পরা এক নারী ম্যাক্রোঁর মুখে থাপ্পড়ের মতো মারেন। এ ঘটনায় চমকে যান ম্যাক্রোঁ। ক্যামেরা আড়াল করতে দ্রুত বিমানের দরজার সামনে থেকে সরে যান।

এরপর, বিমান থেকে নেমে আসেন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী ব্রিজিত। এতে বোঝা যায় প্রেসিডেন্টের মুখে হাত দেয়া নারী তিনিই ছিলেন। বিমান থেকে নামার সময় ম্যাক্রোঁ হাত বাড়িয়ে দিলেও ব্রিজিত অস্বীকৃতি জানান।

এই ঘটনায় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। পরে অবশ্য দাবি করা হয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভুয়া।

ম্যাক্রোঁ-ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সিএনএন-এর সহযোগী বিএফএম টিভিকে বলেন, ‘তারা কেবল তর্ক করছিল। তেমন কিছু নয়।’ আরেক অভ্যন্তরীণ সূত্র বলেন, ‘রাশিয়াপন্থি ট্রোলরাই এই ভিডিওকে বিতর্কে পরিণত করেছে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের চক্র চালু রাখতে এর বেশি কিছু দরকার পড়ে না।’

তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা মনডে, বিএফএমটিভি, ডেইলি এক্সপ্রেস এবং দ্য ইউএস সান নিশ্চিত করে জানিয়েছে ভিডিওটি আসল। এবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন ম্যাক্রোঁও।

তবে সম্প্রতি স্ত্রীর হাতে চড় খাওয়ার বিষয়টি গুরুতর কোনো ঝগড়া নয় বরং খুনশুটির ছলেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরন। সোমবার (২৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়।

ম্যাকরন ঠাট্টা করে আরও জানান, স্ত্রীর সাথে রসিকতার মুহূর্তটি কোনো বৈশ্বিক বিপর্যয় নয়। এটি নিতান্তই সাধারণ একটি ঘটনা।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনাম পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এ সময়, উড়োজাহাজের দরজা খোলার সাথে সাথে লাল ড্রেস পরিহিত কেউ ম্যাকরনের গালে চপেটাঘাত করেন। ক্যামেরা দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ফের বিমানের ভেতরে ঢুকে যান তিনি। পরে যখন দুজন বেরিয়ে এলেন, তখন বুঝতে বাকি রইলো না লাল ড্রেসওয়ালা আর কেউ নন, প্রেসিডেন্টের স্ত্রী।

ক্যামেরায় বন্দি হওয়া এ দৃশ্য দ্রুত ছড়িয়ে পরলে, ফরাসি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিদ্রুপের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

পরে অবশ্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘটনাটি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। বের হয়ে হাত নেড়ে লুক দেন ক্যামেরার দিকে। সেইসাথে করমর্দনও করেন কয়েকজনের সাথে।

Please Share This Post in Your Social Media

চড় খাওয়ার ভিডিও নিয়ে যা বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৩:২০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। সেখানে দেখা যায়, তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ উড়োজাহাজ থেকে নামার সময় তার মুখ হাত সরিয়ে দিচ্ছেন বা একপ্রকার ‘চড়’ মারছেন। ঘটনাটি ভিয়েতনামে তাদের সফরের সময় ঘটে। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ট্রল শুরু হয়। তবে অবশেষে সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্যাক্রোঁ।

হ্যানয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমি আমার স্ত্রীকে মজা করে কিছু বলছি, আর সেটা নিয়ে যেন একপ্রকার ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। মানুষ তাতে অদ্ভুত ব্যাখ্যা জুড়ে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ভিডিওগুলো বাস্তব- হ্যাঁ, কেউ কেউ মাঝে মাঝে সেগুলো বিকৃত করে, কিন্তু তার চেয়েও ভয়ানক হলো, এইসব ভিডিওকে মানুষ যেভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।’

জানা যায়, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে স্ত্রী ব্রিজিতকে সঙ্গে নিয়ে ভিয়েতনামে পৌঁছলে এ ঘটনা ঘটে।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান হ্যানয়ের মাটিতে নামার পর ম্যাক্রোঁ হাসিমুখে বিমান থেকে নামতে উদ্যত হন। ঠিক সেই মুহূর্তে, বিমানের দরজার আড়াল থেকে লাল পোশাক পরা এক নারী ম্যাক্রোঁর মুখে থাপ্পড়ের মতো মারেন। এ ঘটনায় চমকে যান ম্যাক্রোঁ। ক্যামেরা আড়াল করতে দ্রুত বিমানের দরজার সামনে থেকে সরে যান।

এরপর, বিমান থেকে নেমে আসেন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী ব্রিজিত। এতে বোঝা যায় প্রেসিডেন্টের মুখে হাত দেয়া নারী তিনিই ছিলেন। বিমান থেকে নামার সময় ম্যাক্রোঁ হাত বাড়িয়ে দিলেও ব্রিজিত অস্বীকৃতি জানান।

এই ঘটনায় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। পরে অবশ্য দাবি করা হয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভুয়া।

ম্যাক্রোঁ-ঘনিষ্ঠ এক সূত্র সিএনএন-এর সহযোগী বিএফএম টিভিকে বলেন, ‘তারা কেবল তর্ক করছিল। তেমন কিছু নয়।’ আরেক অভ্যন্তরীণ সূত্র বলেন, ‘রাশিয়াপন্থি ট্রোলরাই এই ভিডিওকে বিতর্কে পরিণত করেছে। ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকদের চক্র চালু রাখতে এর বেশি কিছু দরকার পড়ে না।’

তবে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা মনডে, বিএফএমটিভি, ডেইলি এক্সপ্রেস এবং দ্য ইউএস সান নিশ্চিত করে জানিয়েছে ভিডিওটি আসল। এবার এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন ম্যাক্রোঁও।

তবে সম্প্রতি স্ত্রীর হাতে চড় খাওয়ার বিষয়টি গুরুতর কোনো ঝগড়া নয় বরং খুনশুটির ছলেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরন। সোমবার (২৬ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়।

ম্যাকরন ঠাট্টা করে আরও জানান, স্ত্রীর সাথে রসিকতার মুহূর্তটি কোনো বৈশ্বিক বিপর্যয় নয়। এটি নিতান্তই সাধারণ একটি ঘটনা।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় সফরে ভিয়েতনাম পৌঁছান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এ সময়, উড়োজাহাজের দরজা খোলার সাথে সাথে লাল ড্রেস পরিহিত কেউ ম্যাকরনের গালে চপেটাঘাত করেন। ক্যামেরা দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ফের বিমানের ভেতরে ঢুকে যান তিনি। পরে যখন দুজন বেরিয়ে এলেন, তখন বুঝতে বাকি রইলো না লাল ড্রেসওয়ালা আর কেউ নন, প্রেসিডেন্টের স্ত্রী।

ক্যামেরায় বন্দি হওয়া এ দৃশ্য দ্রুত ছড়িয়ে পরলে, ফরাসি প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বিদ্রুপের ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

পরে অবশ্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘটনাটি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। বের হয়ে হাত নেড়ে লুক দেন ক্যামেরার দিকে। সেইসাথে করমর্দনও করেন কয়েকজনের সাথে।