ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ের দরজা গোপনে বিক্রির চেষ্টায় ধরা খেলেন শিক্ষক আঃ হান্নান

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:০০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৯ Time View

গাইবান্ধায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা খুলে বিক্রি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দিনগত রাতে সদর উপজেলার পূর্ব কুপতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান গ্রামবাসীর হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হান্নান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ,শ্রেণিকক্ষ ও বাথরুমের চারটি লোহার ও একটি প্লাস্টিকের দরজা মিস্ত্রিদের দিয়ে খুলে ফেলেন। এরপর সেগুলো বিক্রির জন্য একটি ভ্যানে তুলে নিতে গেলে গ্রামবাসী তাকে আটকে ফেলেন। এসময় উত্তেজিত জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামবাসী। তাদের দাবি, একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রির চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আইন বিরোধী কাজ।

কুপতলা ইউনিয়নের মেম্বার মুরাদ মিয়া বলেন, দরজাগুলো উদ্ধার করে আমার জিম্মায় রেখেছি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, বিষয়টি জানার পর রাতেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আরশাদ বলেন, বিষয়টি শুনছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

গাইবান্ধায় বিদ্যালয়ের দরজা গোপনে বিক্রির চেষ্টায় ধরা খেলেন শিক্ষক আঃ হান্নান

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:০০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

গাইবান্ধায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা খুলে বিক্রি করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দিনগত রাতে সদর উপজেলার পূর্ব কুপতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান গ্রামবাসীর হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হান্নান বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ,শ্রেণিকক্ষ ও বাথরুমের চারটি লোহার ও একটি প্লাস্টিকের দরজা মিস্ত্রিদের দিয়ে খুলে ফেলেন। এরপর সেগুলো বিক্রির জন্য একটি ভ্যানে তুলে নিতে গেলে গ্রামবাসী তাকে আটকে ফেলেন। এসময় উত্তেজিত জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যান।

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রামবাসী। তাদের দাবি, একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে বিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রির চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আইন বিরোধী কাজ।

কুপতলা ইউনিয়নের মেম্বার মুরাদ মিয়া বলেন, দরজাগুলো উদ্ধার করে আমার জিম্মায় রেখেছি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, বিষয়টি জানার পর রাতেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গাইবান্ধা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আরশাদ বলেন, বিষয়টি শুনছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।