ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

খামারবাড়ি অবরোধ: সাত ঘণ্টার উত্তেজনার অবসান

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / ২০ Time View

রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গেটে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির অবরোধে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনার অবসান হয়েছে সাত ঘণ্টা পর।

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা অধিদপ্তরের মূল গেট তালাবদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের আট দফা দাবির মধ্যে ছিল উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও চাকরিতে পদোন্নতির নিয়মসংক্রান্ত বিষয়। ‘এগ্রি ব্লকেড’ শিরোনামে এ কর্মসূচি চলাকালে অধিদপ্তরে প্রবেশে বাধা পড়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশীদের।

দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবির বিপক্ষে পাল্টা অবস্থানে গেটে এসে উপস্থিত হন। তারা দাবি করেন, বেশিরভাগ দাবিই অযৌক্তিক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করতে গেলে গেট বন্ধ থাকায় তারা ভিতরে প্রবেশ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

সংঘর্ষ এড়াতে উভয় পক্ষের মাঝখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মানবঢাল তৈরি করেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা গেটে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ২০ মিনিট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য।

বেলা আড়াইটার দিকে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর ধীরে ধীরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা প্রার্থীরা অধিদপ্তরে প্রবেশ করতে পারেন।

পরে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের তৌহিদ আহমেদ আশিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেন।

কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, প্রচলিত নিয়ম ব্যতীত পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না রাখা, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ না রাখা, ১০ম গ্রেডের পদগুলো প্রচলিত কাঠামো অনুযায়ী গেজেটের বাইরে রাখা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে বিএসসি ও ডিপ্লোমা উভয়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, কৃষি বিষয়ক ডিগ্রি ব্যতীত ‘কৃষিবিদ’ প্রত্যয় ব্যবহার না করার প্রজ্ঞাপন জারি করা।

তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, “ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা তাদের অযৌক্তিক দাবিতে সরকারি অফিসে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। আমরা কৃষি সংশ্লিষ্ট সুশৃঙ্খল নিয়োগ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সংরক্ষণের জন্য পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি। এগুলো কৃষি খাতের মানোন্নয়নের জন্য জরুরি।”

Please Share This Post in Your Social Media

খামারবাড়ি অবরোধ: সাত ঘণ্টার উত্তেজনার অবসান

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৫২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গেটে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের আট দফা দাবির অবরোধে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনার অবসান হয়েছে সাত ঘণ্টা পর।

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা অধিদপ্তরের মূল গেট তালাবদ্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের আট দফা দাবির মধ্যে ছিল উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও চাকরিতে পদোন্নতির নিয়মসংক্রান্ত বিষয়। ‘এগ্রি ব্লকেড’ শিরোনামে এ কর্মসূচি চলাকালে অধিদপ্তরে প্রবেশে বাধা পড়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা প্রত্যাশীদের।

দুপুর ১টা ২০ মিনিটে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের দাবির বিপক্ষে পাল্টা অবস্থানে গেটে এসে উপস্থিত হন। তারা দাবি করেন, বেশিরভাগ দাবিই অযৌক্তিক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঁচ দফা দাবি পেশ করতে গেলে গেট বন্ধ থাকায় তারা ভিতরে প্রবেশ করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

সংঘর্ষ এড়াতে উভয় পক্ষের মাঝখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মানবঢাল তৈরি করেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা গেটে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ২০ মিনিট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য।

বেলা আড়াইটার দিকে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর ধীরে ধীরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা প্রার্থীরা অধিদপ্তরে প্রবেশ করতে পারেন।

পরে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের তৌহিদ আহমেদ আশিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেন।

কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো, প্রচলিত নিয়ম ব্যতীত পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না রাখা, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়ে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির সুযোগ না রাখা, ১০ম গ্রেডের পদগুলো প্রচলিত কাঠামো অনুযায়ী গেজেটের বাইরে রাখা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে বিএসসি ও ডিপ্লোমা উভয়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, কৃষি বিষয়ক ডিগ্রি ব্যতীত ‘কৃষিবিদ’ প্রত্যয় ব্যবহার না করার প্রজ্ঞাপন জারি করা।

তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, “ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা তাদের অযৌক্তিক দাবিতে সরকারি অফিসে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। আমরা কৃষি সংশ্লিষ্ট সুশৃঙ্খল নিয়োগ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সংরক্ষণের জন্য পাঁচ দফা দাবি পেশ করেছি। এগুলো কৃষি খাতের মানোন্নয়নের জন্য জরুরি।”