ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ০২:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৭৫৬ Time View

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আড়াই বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাকে গলায় রশি দিয়ে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়িতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রেশমা খাতুন (২৫) ও তার আড়াই বছর বয়সী কন্যা লামিয়া। রেশমার স্বামী রহিদুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে রেশমা খাতুন পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক সংকটে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা দীর্ঘ সময় কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান রেশমা ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে দরজা ভেঙে রেশমা ও তার শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলয়মান শেখ জানান, ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও মানসিক চাপ থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

রেশমা খাতুনের চার বছর আগে রহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

কুষ্টিয়ায় প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
Update Time : ০২:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আড়াই বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাকে গলায় রশি দিয়ে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়িতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রেশমা খাতুন (২৫) ও তার আড়াই বছর বয়সী কন্যা লামিয়া। রেশমার স্বামী রহিদুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন ধরে রেশমা খাতুন পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক সংকটে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশীরা দীর্ঘ সময় কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পান রেশমা ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে দরজা ভেঙে রেশমা ও তার শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলয়মান শেখ জানান, ঘটনাস্থল থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও মানসিক চাপ থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

রেশমা খাতুনের চার বছর আগে রহিদুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি বাবার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।