ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে মহানবী শিখিয়েছেন ন্যায়বিচার কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য সীমাবদ্ধ নয় গণঅধিকার পরিষদকে নিষেধাজ্ঞার দাবি জাপা মহাসচিবের জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন, মহাসচিবের আলটিমেটাম জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ নীলফামারীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ফের টঙ্গীতে মানববন্ধন “সাইফুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন” রাসুলের দেখানো পথেই মানুষ সৎভাবে চলার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত লাভ করে: তারেক রহমান চীন-পাকিস্তানের মধ্যে ৮.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর ভাঙ্গায় তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার এলাকাবাসীর

কুবিতে ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনতা’ বিষয়ক কর্মশালা

কুবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩১ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উদ্যোগে এবং ‘ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ’ এর পরিচালনায় ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনামূলক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নাম্বার রুমে কর্মশালাটি শুরু হয়।

কর্মশালাটি দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে সর্প পরিচিতি ও সর্পদংশন বিষয়ক তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে প্রায়োগিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ এর সদস্য নজরুল ইসলাম ও নাবিদ আল জুবায়েদ

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির গবেষণা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল হোসাইন।

আবদুল্লাহ আল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বাসাবাড়িতে প্রায়ই সাপের দেখা মেলে। সাপ দেখার সাথে সাথেই আমরা সাপটাকে মেরে ফেলি যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ সাপ। যেগুলো আমাদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উপকারি। তাই আমাদের উচিত সাপ দেখার সাথে সাথেই মেরে না ফেলে সাপটাকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া। সরকার বিভিন্ন সময় সাপ মারার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এজন্য আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা। যথা সম্ভব আমাদের উচিত স্কুল থেকে শুরু করে সব জায়গায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন বলেন, ‘নির্বিষ সাপ মেরে ফেলার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। এজন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন সচেতনতামূলক কর্মশালার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে ‘ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিমকেও ধন্যবাদ জানাই এমন একটা প্রোগ্রাম আয়েজনে সহযোগিতা করার জন্য।’

সংগঠনটির সভাপতি তামিম মিয়া বলেন, ‘সাপ সম্পর্কে যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে মানুষকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক সাপ আছে যেগুলো বিষধর না, তারপরও মানুষ না বুঝে সেগুলোকে মেরে ফেলে। আমাদের চেষ্টা ছিল যেন মানুষকে সাপ সম্পর্কে সচেতন করতে পারি এবং সাপের সাথে সাথে অন্য যেসকল প্রাণী আছে, সেগুলো যেন প্রকৃতিতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।’

Please Share This Post in Your Social Media

কুবিতে ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনতা’ বিষয়ক কর্মশালা

কুবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:২৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’ এর উদ্যোগে এবং ‘ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ’ এর পরিচালনায় ‘সর্পদংশন প্রতিরোধ ও সচেতনামূলক কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (৫ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৫০১ নাম্বার রুমে কর্মশালাটি শুরু হয়।

কর্মশালাটি দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে সর্প পরিচিতি ও সর্পদংশন বিষয়ক তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয় এবং দ্বিতীয় ধাপে প্রায়োগিক বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেস্কিউ টিম ইন বাংলাদেশ এর সদস্য নজরুল ইসলাম ও নাবিদ আল জুবায়েদ

উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির গবেষণা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল হোসাইন।

আবদুল্লাহ আল হোসাইন বলেন, ‘আমাদের বাসাবাড়িতে প্রায়ই সাপের দেখা মেলে। সাপ দেখার সাথে সাথেই আমরা সাপটাকে মেরে ফেলি যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ সাপ। যেগুলো আমাদের জন্য কোনো না কোনোভাবে উপকারি। তাই আমাদের উচিত সাপ দেখার সাথে সাথেই মেরে না ফেলে সাপটাকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া। সরকার বিভিন্ন সময় সাপ মারার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তেমন ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এজন্য আমাদের প্রয়োজন সচেতনতা। যথা সম্ভব আমাদের উচিত স্কুল থেকে শুরু করে সব জায়গায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা।’

অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন বলেন, ‘নির্বিষ সাপ মেরে ফেলার ফলে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। এজন্য যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। অভয়ারণ্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে এমন সচেতনতামূলক কর্মশালার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে ‘ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেস্কিউ টিমকেও ধন্যবাদ জানাই এমন একটা প্রোগ্রাম আয়েজনে সহযোগিতা করার জন্য।’

সংগঠনটির সভাপতি তামিম মিয়া বলেন, ‘সাপ সম্পর্কে যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে সেগুলোর ব্যাপারে মানুষকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক সাপ আছে যেগুলো বিষধর না, তারপরও মানুষ না বুঝে সেগুলোকে মেরে ফেলে। আমাদের চেষ্টা ছিল যেন মানুষকে সাপ সম্পর্কে সচেতন করতে পারি এবং সাপের সাথে সাথে অন্য যেসকল প্রাণী আছে, সেগুলো যেন প্রকৃতিতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।’