কুবিতে র্যাগিং প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা সেল গঠনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
- Update Time : ০৯:২৩:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
- / ২৯৭ Time View
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর চলমান র্যাগিং, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা সেল গঠনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ‘সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক’, কুবি চ্যাপ্টার।
সোমবার (০৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে ক্যাম্পাসে র্যাগিং প্রতিরোধ, অভিযুক্তদের শাস্তি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা সেবা চালুর দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের
মার্কেটিং, বাংলা ও নৃবিজ্ঞান বিভাগসহ একাধিক বিভাগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিং, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার এবং অপমানজনক আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে এবং কেউ কেউ ক্যাম্পাস ছাড়তেও বাধ্য হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সংগঠনটি মনে করে, র্যাগিংয়ের মতো ঘটনার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে উঠতে পারে। স্মারকলিপিতে সংগঠনটি মোট ছয়টি দাবি উল্লেখ করেন।
দাবিগুলো হলো—প্রকাশিত অভিযোগসমূহের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ীভাবে অ্যান্টি-র্যাগিং মনিটরিং কমিটি সক্রিয় করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ‘মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট সেল’ গঠন; যেখানে র্যাগিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীরা গোপনীয়তা রক্ষা সাপেক্ষে মনোসামাজিক সহায়তা ও কাউন্সেলিং সুবিধা পেতে পারবেন, অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা ও পরিচয় সুরক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের যেন কোনো ধরনের হয়রানি বা প্রতিশোধমূলক হয়রানির শিকার হতে না হয় তা নিশ্চিত করা, র্যাগিং প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ হিসেবে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য সচেতনতামূলক ক্লাস ও ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম চালু করা।
এবিষয়ে সোচ্চার স্টুডেন্টস নেটওয়ার্ক, কুবি চ্যাপ্টারের সভাপতি মোঃ নাইমুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘কয়েকটি বিভাগে নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর র্যাগিং ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়া বা অপমানের শিকার হওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা চাই, এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত হোক। পাশাপাশি, র্যাগিং প্রতিরোধে মনিটরিং কমিটি, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা সেল এবং অভিযোগকারীদের পরিচয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হোক; যেন শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’








































































































































































































