ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে মাদরাসায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, অবশেষে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২২ Time View

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদরাসা নামে এক প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের ৫ জনের চাকরি হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক সভাপতি সামসুল হকের পরিবারের ৫জন ও বর্তমান সুপার রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি কর্মরত আছেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের ছয়টি পদের জন্য প্রায় অর্ধকোটি নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সভাপতি শামসুল হক ও সুপার রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সামসুল হকের স্ত্রী বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী শরিফা বেগম, সভাপতির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবতেদায়ী শিক্ষক বাবলী বেগম, সভাপতির চাচাতো ভাই নিরাপত্তা কর্মী মোসাদ্দেক হোসেন, সভাপতির আরেক চাচাতো ভাই ল্যাব সহকারী মোতাব্বের হোসেন,সভাপতির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আয়া কাজুলী বেগম ও সুপার রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি কম্পিউটার অপারেটর ইউসুফ আলী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক সভাপতি সামসুল হকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কাজুলি বেগমকে আয়া পদের জন্য ১০ শতক জমি ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা,সভাপতির চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক নিরাপত্তা কর্মী ও মোতাব্বেরকে ল্যাব সহকারীসহ দুইজনকে ২২ লক্ষ নিয়ে নিয়োগ দেন। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হারুন অর রশীদ ও গবেশনাগার সহকারী হিসেবে ফারুক হোসেনের থেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে নিয়োগ প্রদান করেন ওই প্রতিষ্ঠনের সাবেক সভাপতি শামসুল হক ও সুপার রফিকুল ইসলাম ।

আরও উল্লেখ করা হয়,বিদ্যালয়ের জন্য পারফাম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট স্কিম এর জন্য বিতরণকৃত অর্থ অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।

মাগুড়া মুন্সি পাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি দুর থেকে সেখানে গিয়ে চাকুরী করি। নিয়োগের বিষয়ে সেই সময়ে সাবেক সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন। সবাই মিলে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের ৫ জন কর্মরত আছেন সেটা সত্যি। তবে মেধা অনুযায়ী তাদের নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মৌসুমি হক বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে মাদরাসায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য, অবশেষে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাগুড়া মুন্সিপাড়া দাখিল মাদরাসা নামে এক প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের ৫ জনের চাকরি হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক সভাপতি সামসুল হকের পরিবারের ৫জন ও বর্তমান সুপার রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি কর্মরত আছেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের ছয়টি পদের জন্য প্রায় অর্ধকোটি নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সভাপতি শামসুল হক ও সুপার রফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সামসুল হকের স্ত্রী বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী শরিফা বেগম, সভাপতির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবতেদায়ী শিক্ষক বাবলী বেগম, সভাপতির চাচাতো ভাই নিরাপত্তা কর্মী মোসাদ্দেক হোসেন, সভাপতির আরেক চাচাতো ভাই ল্যাব সহকারী মোতাব্বের হোসেন,সভাপতির ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আয়া কাজুলী বেগম ও সুপার রফিকুল ইসলামের ভগ্নিপতি কম্পিউটার অপারেটর ইউসুফ আলী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক সভাপতি সামসুল হকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কাজুলি বেগমকে আয়া পদের জন্য ১০ শতক জমি ও নগদ ৩ লক্ষ টাকা,সভাপতির চাচাতো ভাই মোসাদ্দেক নিরাপত্তা কর্মী ও মোতাব্বেরকে ল্যাব সহকারীসহ দুইজনকে ২২ লক্ষ নিয়ে নিয়োগ দেন। এছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে পরিছন্নতা কর্মী হিসেবে ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হারুন অর রশীদ ও গবেশনাগার সহকারী হিসেবে ফারুক হোসেনের থেকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে নিয়োগ প্রদান করেন ওই প্রতিষ্ঠনের সাবেক সভাপতি শামসুল হক ও সুপার রফিকুল ইসলাম ।

আরও উল্লেখ করা হয়,বিদ্যালয়ের জন্য পারফাম্যান্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট স্কিম এর জন্য বিতরণকৃত অর্থ অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।

মাগুড়া মুন্সি পাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি দুর থেকে সেখানে গিয়ে চাকুরী করি। নিয়োগের বিষয়ে সেই সময়ে সাবেক সভাপতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছিলেন। সবাই মিলে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে একই পরিবারের ৫ জন কর্মরত আছেন সেটা সত্যি। তবে মেধা অনুযায়ী তাদের নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মৌসুমি হক বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।