ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাস্টমস কর্মকর্তার হাজার কোটি টাকার সম্পদের উৎস কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:৪৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৬ Time View

রাজধানীতে বসবাসরত সাবেক এক কাস্টমস কর্মকর্তা মো: শামসুদ্দিনের অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায় মনহরদী থানাধীন চালাকচর এলাকায়। সাত ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

প্রথম জীবনে গ্রামের ভিটেমাটি ও সামান্য চাষের জমি ছাড়া কিছুই ছিল না। আজ তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। কিন্তু কিভাবে এত টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন প্রশ্ন স্থানীয় এবং নিকট আত্বীয় স্বজনদের।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় মোঃ শামসুদ্দিন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ঢাকার বিমানবন্দর কাস্টমস হাউজ, চিটাগং কাস্টমস হাউজ, যশোরের কাস্টমস হাউজ সহ বিভিন্ন স্থানে তার বদলি হয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি অবৈধ ভাবে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে জানা যায়।

তিনি তার কর্ম জীবনে গুলশান নিকেতনে আলীশান একটি ফ্লাট কিনে বসবাস শুরু করেন। এছাড়াও উত্তরখান থানাধীন হেলাল মার্কেট এলাকায় নিজস্ব জমির উপর গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক তেতুলতলা সংলগ্ন এলাকায় ৬ তলা নিজস্ব জমির উপর বাড়ি। নরসিংদীতে ভাইয়ের নিকট অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে মাত্র ৪০ লক্ষ টাকায় জমি ক্রয় করে।

বনানী সুপার মার্কেটে নিজস্ব দোকান পজিশন ক্রয় করে ভাড়া দেওয়া। উত্তরা রাজুউক কর্মাশিয়াল মার্কেটে দোকান পজিশন ক্রয় করে ভাড়া দেওয়া।

নরসিংদী এলাকায় বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্লটের মালিক। এছাড়াও তিনি নামে-বেনামে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, সরকারি চাকরি করে শুধু বেতনের টাকায় এত পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া অসম্ভব ব্যাপার।

Please Share This Post in Your Social Media

কাস্টমস কর্মকর্তার হাজার কোটি টাকার সম্পদের উৎস কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১০:৪৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে বসবাসরত সাবেক এক কাস্টমস কর্মকর্তা মো: শামসুদ্দিনের অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায় মনহরদী থানাধীন চালাকচর এলাকায়। সাত ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

প্রথম জীবনে গ্রামের ভিটেমাটি ও সামান্য চাষের জমি ছাড়া কিছুই ছিল না। আজ তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। কিন্তু কিভাবে এত টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন প্রশ্ন স্থানীয় এবং নিকট আত্বীয় স্বজনদের।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় মোঃ শামসুদ্দিন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ঢাকার বিমানবন্দর কাস্টমস হাউজ, চিটাগং কাস্টমস হাউজ, যশোরের কাস্টমস হাউজ সহ বিভিন্ন স্থানে তার বদলি হয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি অবৈধ ভাবে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে জানা যায়।

তিনি তার কর্ম জীবনে গুলশান নিকেতনে আলীশান একটি ফ্লাট কিনে বসবাস শুরু করেন। এছাড়াও উত্তরখান থানাধীন হেলাল মার্কেট এলাকায় নিজস্ব জমির উপর গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক তেতুলতলা সংলগ্ন এলাকায় ৬ তলা নিজস্ব জমির উপর বাড়ি। নরসিংদীতে ভাইয়ের নিকট অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে মাত্র ৪০ লক্ষ টাকায় জমি ক্রয় করে।

বনানী সুপার মার্কেটে নিজস্ব দোকান পজিশন ক্রয় করে ভাড়া দেওয়া। উত্তরা রাজুউক কর্মাশিয়াল মার্কেটে দোকান পজিশন ক্রয় করে ভাড়া দেওয়া।

নরসিংদী এলাকায় বিভিন্ন স্থানে একাধিক প্লটের মালিক। এছাড়াও তিনি নামে-বেনামে অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, সরকারি চাকরি করে শুধু বেতনের টাকায় এত পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া অসম্ভব ব্যাপার।