ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬৫ Time View

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে মনোনয়ন না দেওয়ায় হতবাক সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের হাল যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে সচল রাখেন।

এক তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

দলীয় সূত্র জানায়, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠন পুনর্গঠন, ঐক্য সৃষ্টি এবং সক্রিয় কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলকে একত্রিত করেন।

এক প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু সংগঠক নন—তিনি অভিজ্ঞ, ত্যাগী ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতিক। তাঁর জনপ্রিয়তা ও মাঠের গ্রহণযোগ্যতা বিএনপিকে এই আসনে শক্ত অবস্থানে আনতে পারত।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি বাস্তব লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারত। এটি কৌশলগতভাবে দলের জন্য সঠিক হতো।”

স্থানীয়রা জানান, রাজনীতির পাশাপাশি টিটো সামাজিক ও মানবিক কাজেও সবসময় এগিয়ে ছিলেন।

এক সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

কালিহাতীর তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ একটাই প্রত্যাশা করছেন—বিএনপি যেন পুনর্বিবেচনা করে বেনজীর আহমেদ টিটোকে মনোনয়ন দেয়।
তাদের বিশ্বাস, দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই দলের ভবিষ্যৎ নিরাপদ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

কালিহাতী বিএনপির প্রার্থী ঘোষণায় হতভম্ব সাধারণ জনগণ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Update Time : ১০:০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইল–৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটোকে মনোনয়ন না দেওয়ায় হতবাক সাধারণ জনগণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

তাদের মতে, দুঃসময়ে দলের হাল যিনি ধরে রেখেছিলেন, তিনি উপযুক্ত স্বীকৃতি পাচ্ছেন না।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির ওপর যখন দমন-নিপীড়নের কঠিন সময়, তখনও মাঠে ছিলেন বেনজীর আহমেদ টিটো। একাধিকবার মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার হয়েও তিনি সংগঠনকে সচল রাখেন।

এক তরুণ কর্মী বলেন, “টিটো ভাইয়ের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল, হামলা হয়েছে, তবুও তিনি ভয় পাননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন প্রতিকূল সময়েও দলের পতাকা উঁচিয়ে রাখতে হয়।”

দলীয় সূত্র জানায়, টিটোর নেতৃত্বেই কালিহাতী উপজেলা বিএনপি নতুন প্রাণ ফিরে পায়। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠন পুনর্গঠন, ঐক্য সৃষ্টি এবং সক্রিয় কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি তৃণমূলকে একত্রিত করেন।

এক প্রবীণ নেতা বলেন, “যখন কালিহাতীতে বিএনপির হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন টিটো ভাই-ই নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি শুধু নেতা নন, তিনি আমাদের ভরসা ও আশা।”

স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, বেনজীর আহমেদ টিটো শুধু সংগঠক নন—তিনি অভিজ্ঞ, ত্যাগী ও জনসম্পৃক্ত রাজনীতিক। তাঁর জনপ্রিয়তা ও মাঠের গ্রহণযোগ্যতা বিএনপিকে এই আসনে শক্ত অবস্থানে আনতে পারত।

একজন বিশ্লেষক বলেন, “টিটো মনোনয়ন পেলে টাঙ্গাইল-৪ আসনে বিএনপি বাস্তব লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারত। এটি কৌশলগতভাবে দলের জন্য সঠিক হতো।”

স্থানীয়রা জানান, রাজনীতির পাশাপাশি টিটো সামাজিক ও মানবিক কাজেও সবসময় এগিয়ে ছিলেন।

এক সাধারণ ভোটার বলেন, “টিটো ভাই শুধু রাজনীতি করেন না, মানুষকে ভালোবাসেন। তাঁর মতো মানুষ রাজনীতিতে থাকা মানেই জনগণের পাশে থাকা।”

কালিহাতীর তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ একটাই প্রত্যাশা করছেন—বিএনপি যেন পুনর্বিবেচনা করে বেনজীর আহমেদ টিটোকে মনোনয়ন দেয়।
তাদের বিশ্বাস, দুঃসময়ের সেই সাহসী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতার হাতেই দলের ভবিষ্যৎ নিরাপদ।