ঢাকা ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সূচনা মেমোরিয়াল ট্রাস্টের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু রংপুরে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে রেখে ঢাকায় এসে হলেন ২৬ খণ্ড ড্রামে পাওয়া ২৬ টুকরো লাশটি রংপুরের আশরাফুলের, বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও আয়ারল্যান্ডে দূতাবাস খুলছে বাংলাদেশ বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প : মির্জা ফখরুল প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ লঙ্ঘন করেছেন : সালাহউদ্দিন স্ত্রীসহ সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়ের ‎ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ‘লোকের দুটি বউ থাকতে পারে, আমার বান্ধবী থাকতে পারে না!’ ৩০১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা, রেকর্ডে ভাসছে বাংলাদেশ

কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধক হিসেবে খ্যাত পাহাড়গুলো এখন শুধুই স্মৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৯:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১৬১ Time View

বিগত ৬ মাসে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলো সাবাড় করে দিয়েছে ভূমিখেকোরা। রেজুরকূল ও পিনজিরকূলের একাশের পর থেকে লক্ষাধিক বিরাট আকৃতির বৃক্ষসম্বলিত যেসব পাহাড়গুলো ছিল এখন সেইগুলো অমলিন স্মৃতি।

১ডাম্পার গাড়ি মাটি ১হাজার থেকে ১হাজার ২শ টাকায় বিক্রি করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি। পরে বন বিভাগের সহযোগিতায় ভূমিখেকোরা পাহাড়ের জমিতে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করে আসছে।

সমূদ্র উপকূলীয় এলাকার কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ইনানী বা সমূদ্র উপকূলীয় পাহাড় যা পিনজিরকূলসহ আশেপাশের সকল পাহাড় কেটে সমতল ভূমি হিসেবে এখন বসবাসের উপযোগী করে তুলেছে।

এলাকার ভূমি দস্যু, মাটি ব্যবসায়ীরা যারা চিহ্নিত দখলদার বা সন্ত্রাসী তারাই টাকার বিনিময়ে ইতোমধ্যে অবৈধ ভাবে শতাধিক পাহাড় কাটায় লিপ্ত রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই চক্রটি বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মানুষের জমিকে বসবাসযোগ্য করার জন্য পাহাড়ি বালি মাটি চুক্তিতে বিক্রি করে। এছাড়াও নদী, নালা, সরকারী জলাশয় ভরাট করার জন্য তারা চুক্তি করে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি।

প্রতিদিন প্রকাশ্যে বীরদর্পে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস বিহীন মাটি বহনকারী গাড়ি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। এসব গাড়িতে নাম্বার প্লেট না থাকার ব্যাপারে ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, এসব গাড়ি প্রভাবশালীদের তাই প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই গাড়ি দিনদুপুরে প্রকাশ্যে অবৈধ ব্যবসা করতে পারে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজারের ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধক হিসেবে খ্যাত পাহাড়গুলো এখন শুধুই স্মৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৯:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিগত ৬ মাসে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলো সাবাড় করে দিয়েছে ভূমিখেকোরা। রেজুরকূল ও পিনজিরকূলের একাশের পর থেকে লক্ষাধিক বিরাট আকৃতির বৃক্ষসম্বলিত যেসব পাহাড়গুলো ছিল এখন সেইগুলো অমলিন স্মৃতি।

১ডাম্পার গাড়ি মাটি ১হাজার থেকে ১হাজার ২শ টাকায় বিক্রি করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্রটি। পরে বন বিভাগের সহযোগিতায় ভূমিখেকোরা পাহাড়ের জমিতে জোরপূর্বক বসতি স্থাপন করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করে আসছে।

সমূদ্র উপকূলীয় এলাকার কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ইনানী বা সমূদ্র উপকূলীয় পাহাড় যা পিনজিরকূলসহ আশেপাশের সকল পাহাড় কেটে সমতল ভূমি হিসেবে এখন বসবাসের উপযোগী করে তুলেছে।

এলাকার ভূমি দস্যু, মাটি ব্যবসায়ীরা যারা চিহ্নিত দখলদার বা সন্ত্রাসী তারাই টাকার বিনিময়ে ইতোমধ্যে অবৈধ ভাবে শতাধিক পাহাড় কাটায় লিপ্ত রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই চক্রটি বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মানুষের জমিকে বসবাসযোগ্য করার জন্য পাহাড়ি বালি মাটি চুক্তিতে বিক্রি করে। এছাড়াও নদী, নালা, সরকারী জলাশয় ভরাট করার জন্য তারা চুক্তি করে পাহাড়ের মাটি ব্যবহার করে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি।

প্রতিদিন প্রকাশ্যে বীরদর্পে রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস বিহীন মাটি বহনকারী গাড়ি দিয়ে এই অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে। এসব গাড়িতে নাম্বার প্লেট না থাকার ব্যাপারে ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানান, এসব গাড়ি প্রভাবশালীদের তাই প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই গাড়ি দিনদুপুরে প্রকাশ্যে অবৈধ ব্যবসা করতে পারে।