ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজের ছাত্র মনিরের মৃতদেহ উদ্ধার: হত্যা না আত্মহত্যা!

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৫১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ৮৮ Time View

কক্সবাজারের ডিককুলস্থ হার্ভার্ড কলেজের হোস্টেল থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, বৃহস্পতিবার(১৫ মে) দুপুরে উত্তর ডিককুল হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের হোস্টেলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি ইলিয়াস খান বলেন, নিহত হারুনুর রশিদ মনির চৌধুরী(১৮) উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া এলাকার মুজিবুল হক চৌধুরীর ছেলে। সে হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার দাবী করেন মনিরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিক আহমদ বলেন, কলেজ হোস্টেলে মনিরের ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখা গেছে এমন সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত হোস্টেলে ছুটে আসি। এসে দেখি হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় মনিরের মরদেহ লোহার রডের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে।

এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিতভাবে হত্যা উল্লেখ করে সিদ্দিক আরও বলেন,যদি মনির আত্মহত্যা করত, তাহলে তার আশেপাশে থাকা টুল টেবিল এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকতো। তবে আশেপাশের টুল টেবিল তো দূরের কথা, যে রডের সাথে সে ঝুলে ছিল সে রডে লেগে থাকা মাকড়সার জাল পর্যন্ত এলোমেলো হয়নি।তাই তিনি মনে করেন মনিরকে হত্যা করার পর তার লাশ লোহার রডের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় মনিরের চাচাতো ভাই উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সুলতান আহমদ চৌধুরী ধারণা করছেন মনিরকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মনিরের লাশ হোস্টেলে ঝুলে আছে এমন খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ দেখার পর পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত তদন্ত করে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শোকাহত পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি জানান, তাদের পরিবারে এর আগে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ফলে মনিরের মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে মনির চৌধুরীর ময়নাতদন্ত চলছে জানিয়ে ওসি ইলিয়াস বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রতিবেদন আসলে বলা যাবে, তবে ঘটনার ক্ল্যু উদঘাটনে আমরা কাজ করছি। তদন্ত অব্যাহত আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজার হার্ভার্ড কলেজের ছাত্র মনিরের মৃতদেহ উদ্ধার: হত্যা না আত্মহত্যা!

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৫১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

কক্সবাজারের ডিককুলস্থ হার্ভার্ড কলেজের হোস্টেল থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান জানান, বৃহস্পতিবার(১৫ মে) দুপুরে উত্তর ডিককুল হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের হোস্টেলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি ইলিয়াস খান বলেন, নিহত হারুনুর রশিদ মনির চৌধুরী(১৮) উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাইন্যাশিয়া এলাকার মুজিবুল হক চৌধুরীর ছেলে। সে হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার দাবী করেন মনিরকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী সিদ্দিক আহমদ বলেন, কলেজ হোস্টেলে মনিরের ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখা গেছে এমন সংবাদ পেয়ে আমি দ্রুত হোস্টেলে ছুটে আসি। এসে দেখি হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় মনিরের মরদেহ লোহার রডের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে।

এটি আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিতভাবে হত্যা উল্লেখ করে সিদ্দিক আরও বলেন,যদি মনির আত্মহত্যা করত, তাহলে তার আশেপাশে থাকা টুল টেবিল এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকতো। তবে আশেপাশের টুল টেবিল তো দূরের কথা, যে রডের সাথে সে ঝুলে ছিল সে রডে লেগে থাকা মাকড়সার জাল পর্যন্ত এলোমেলো হয়নি।তাই তিনি মনে করেন মনিরকে হত্যা করার পর তার লাশ লোহার রডের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় মনিরের চাচাতো ভাই উখিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সুলতান আহমদ চৌধুরী ধারণা করছেন মনিরকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মনিরের লাশ হোস্টেলে ঝুলে আছে এমন খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ দেখার পর পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত তদন্ত করে মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শোকাহত পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি জানান, তাদের পরিবারে এর আগে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ফলে মনিরের মৃত্যুর খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে মনির চৌধুরীর ময়নাতদন্ত চলছে জানিয়ে ওসি ইলিয়াস বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা তা প্রতিবেদন আসলে বলা যাবে, তবে ঘটনার ক্ল্যু উদঘাটনে আমরা কাজ করছি। তদন্ত অব্যাহত আছে।