ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপি নেত্রী রুমির মৃত্যু: সুরতহাল প্রতিবেদনে যা বলছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৩ Time View

জান্নাত আরা রুমি

এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির মৃত্যুর ঘটনায় প্রস্তুত করা সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় এবং মৃত্যুর আগে তিনি কোনও ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে— মৃতের মাথার চুল কালো ও আনুমানিক এক ফুট লম্বা। কপাল, ঘাড় ও মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চোখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ দেখা গেছে। ঠোঁট, নাক ও মুখমণ্ডলে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

সুরতহাল প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতের হাত দুটি শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি অবস্থায় লাগানো ছিল এবং হাতের আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত, বুক, ঘাড়, পেট ও পিঠে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ছিল। ঊরু, হাঁটু ও পা স্বাভাবিক লম্বালম্বি অবস্থায় ছিল এবং সেখানেও কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, মৃত জান্নাতারার আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বজনরা জান্নাতারার মরদেহ নওগাঁয় নিয়ে গেছেন।

এদিকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, জান্নাতারা রুমি তার রুমে ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জিগাতলা পুরান কাঁচাবাজার এলাকায় জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে জান্নাতারার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ধানমন্ডি থানা) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক বলেন, জান্নাতারা রুমি পারিবারিক কলহ, কিংবা পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। হতাশা থেকে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এনসিপি নেত্রী রুমির মৃত্যু: সুরতহাল প্রতিবেদনে যা বলছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১২:০০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির মৃত্যুর ঘটনায় প্রস্তুত করা সুরতহাল প্রতিবেদনে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় এবং মৃত্যুর আগে তিনি কোনও ধরনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন কিনা, তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে— মৃতের মাথার চুল কালো ও আনুমানিক এক ফুট লম্বা। কপাল, ঘাড় ও মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চোখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। গলায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির কালো দাগ দেখা গেছে। ঠোঁট, নাক ও মুখমণ্ডলে অন্য কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

সুরতহাল প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃতের হাত দুটি শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি অবস্থায় লাগানো ছিল এবং হাতের আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ ছিল। হাত, বুক, ঘাড়, পেট ও পিঠে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক ছিল। ঊরু, হাঁটু ও পা স্বাভাবিক লম্বালম্বি অবস্থায় ছিল এবং সেখানেও কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানায়, মৃত জান্নাতারার আত্মীয়-স্বজনদের উপস্থিতিতে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বজনরা জান্নাতারার মরদেহ নওগাঁয় নিয়ে গেছেন।

এদিকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, জান্নাতারা রুমি তার রুমে ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জিগাতলা পুরান কাঁচাবাজার এলাকায় জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে জান্নাতারার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ (ধানমন্ডি থানা) সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন।

ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) জিসানুল হক বলেন, জান্নাতারা রুমি পারিবারিক কলহ, কিংবা পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। হতাশা থেকে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।