ঢাকা ১২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘এখন যদি খালেদা জিয়া শাহবাগে উপস্থিত হন’, পিনাকীর স্ট্যাটাস

সোশ্যাল মিডিয়া
  • Update Time : ১২:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / ৪৯ Time View

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। কয়েক হাজার ছাত্র-জনতার স্লোগানে স্লোগানে আবার উত্তাল এ স্থান।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন ৪৩টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এই আন্দোলনে যোগ দেননি।

এদিকে সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য আন্দোলনে খালেদা জিয়ার যোগদান নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (৯ মে) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখন যদি শাহবাগে সংহতি জানাতে খালেদা জিয়া উপস্থিত হন, পৃথিবীতে এরচে স্বর্গীয় দৃশ্য আর হতে পারে না।’

তিনি লেখেন, ‘শুধু কল্পনা করছি তিনি এখন শাহবাগে এসেছেন আর বাংলার দামাল ছাত্র-জনতা গর্বের সাথে তাকে বরণ করে নিয়েছে। শাহবাগে একটি ফুলেল জাতীয় সংবর্ধনা তার প্রাপ্য।’

শেষে তিনি লেখেন, ‘ইশ এমন যদি হতো!’

আরেক ফেসবুক পোস্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে শাহবাগে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।’ এরপর একটি ভালোবাসার ইমোজি ব্যবহার করেছেন হাদি।

আরেকটি পোস্টে হাদি বলেন, ‘যেই শাহবাগে ফ্যাসিবাদের উত্থান, সেই শাহবাগেই তার কবর রচিত হবে। ইনশাআল্লাহ্।’

শুক্রবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছের ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে রাত ১০টার দিক থেকে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে রাত একটার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও রাতে বিক্ষোভে যোগ দেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কিছু নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনার সামনে থেকে সরে ফোয়ারার সামনের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। জুমার নামাজের পর এই মঞ্চের সামনে বড় জমায়েত হয়। এনসিপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিসসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন সেখানে বক্তব্য দেন। পরে হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধ করার ঘোষণা দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

‘এখন যদি খালেদা জিয়া শাহবাগে উপস্থিত হন’, পিনাকীর স্ট্যাটাস

সোশ্যাল মিডিয়া
Update Time : ১২:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। কয়েক হাজার ছাত্র-জনতার স্লোগানে স্লোগানে আবার উত্তাল এ স্থান।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দলটিকে নিষিদ্ধের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছেন ৪৩টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এই আন্দোলনে যোগ দেননি।

এদিকে সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক ডা. পিনাকী ভট্টাচার্য আন্দোলনে খালেদা জিয়ার যোগদান নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (৯ মে) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখন যদি শাহবাগে সংহতি জানাতে খালেদা জিয়া উপস্থিত হন, পৃথিবীতে এরচে স্বর্গীয় দৃশ্য আর হতে পারে না।’

তিনি লেখেন, ‘শুধু কল্পনা করছি তিনি এখন শাহবাগে এসেছেন আর বাংলার দামাল ছাত্র-জনতা গর্বের সাথে তাকে বরণ করে নিয়েছে। শাহবাগে একটি ফুলেল জাতীয় সংবর্ধনা তার প্রাপ্য।’

শেষে তিনি লেখেন, ‘ইশ এমন যদি হতো!’

আরেক ফেসবুক পোস্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে শাহবাগে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি।

তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বেগম জিয়া, শাহবাগে হাজারো শহিদ পরিবার ও সারা বাংলাদেশ আপনার অপেক্ষায়।’ এরপর একটি ভালোবাসার ইমোজি ব্যবহার করেছেন হাদি।

আরেকটি পোস্টে হাদি বলেন, ‘যেই শাহবাগে ফ্যাসিবাদের উত্থান, সেই শাহবাগেই তার কবর রচিত হবে। ইনশাআল্লাহ্।’

শুক্রবার বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের কাছের ফোয়ারার পাশে তৈরি করা মঞ্চ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে রাত ১০টার দিক থেকে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতা-কর্মীরা হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে রাত একটার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও রাতে বিক্ষোভে যোগ দেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কিছু নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনার সামনে থেকে সরে ফোয়ারার সামনের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। জুমার নামাজের পর এই মঞ্চের সামনে বড় জমায়েত হয়। এনসিপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিসসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন সেখানে বক্তব্য দেন। পরে হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধ করার ঘোষণা দেন।