ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে লোহাগাড়া যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল রংপুরে নানা আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদ্‌যাপিত টঙ্গীতে পোশাক শ্রমিক ছুরিকাঘাতে নিহত রংপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আট নেতা বহিষ্কার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিকল্প অর্থায়নের উপর তাগিদ উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল উখিয়ায় মাত্র ৫ গন্ডা জমির জন্য প্রান গেলো ৩ জনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন। টঙ্গীতে ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু,পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বেরোবিতে প্রধান বিচারপতির শহীদ আবু সাঈদ চত্বর পরিদর্শন
- ফয়সাল মাহমুদ শান্ত

“একজন বিচারপতিকে রাখার জন্যে সংবিধান পরিবর্তন করে বয়স বাড়ানোর ইতিহাসও আমরা জানি”

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১৬ Time View

বরগুনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান চিফ অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপির মানবাধিকার সম্পাদক ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের নেতারা এখন সমন্বয়কের দায়িত্বে। তাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিএনপি সমর্থিত উপদেষ্টাদের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন উঠা উচিত।

এ ছাড়া ২০০৬ সালে একজন বিচারপতিকে রাখার জন্যে সংবিধান পরিবর্তন করে বয়স বাড়ানোর ইতিহাসও আমরা জানি। একজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কিরকম চায়? তাদের প্রেসক্রিপশনে সেরকম লোক আসলেই নিরপেক্ষ স্বীকার করবেন। তবে আমরা মনে করি দেশের জনগণই নিরপেক্ষতা বিচার করবেন।”

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন- “আমাদের বলা হয় কিংস পার্টি। কিন্তু বাস্তবে আমাদের শীর্ষ নেতাকর্মীরা কোথাও গেলেও বিএনপির স্থানীয় নেতাদের হাতে মার খেতে হয়। বর্তমান সময়ে চার থেকে পাঁচটি প্রমোশন পেয়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত বঞ্চিতরাই সচিব হয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই সচিবালয় থেকে শুরু করে ডিসি, এসপি, ইউএনও অফিস পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, সত্যিকার অর্থে ‘কিংস পার্টি’ কারা।”

তিনি বিএনপির অতীত ইতিহাসের প্রসঙ্গে বলেছেন- “তারা প্রথমে সরকারে এসে পরে দল গঠন করেছে। এখনকার প্রেক্ষাপটে জনগণ এমন কিছু ভাবতেই পারে। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি অভ্যুত্থান হয়েছে, যদিও অনেক রাজনীতিক তা স্বীকার করতে চান না।”

সরকারের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে ফয়সাল বলেন- “গত সাত মাসে সরকার অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরিসরে তাদের পদক্ষেপ দেশের মানুষের পক্ষে কিনা, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। যদি জনগণ না চায়, তবে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হোক।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন- “আমরা এখনো দৃশ্যমানভাবে প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের সমস্যাগুলো জানার জন্য এলাকায় যাচ্ছেন।  বর্তমানে আমাদের মূল দৃষ্টি এবং আমাদের রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে জুলাই আন্দোলনে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বিচারের উপর। তবে আমাদেরকে বিভিন্ন দল বাধ্য করছে নির্বাচনী আলোচনায় যেতে, পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ করতে। কিন্তু আমরা মনে করি এটা আমাদের সঠিক সময় না। এখন সময় হচ্ছে এলাকার মানুষের সমস্যা বের করা। যারা প্রার্থী হবে তাদের এলকায় সব দলেরই উচিত ওই এলাকার সমস্যাগুলো জান। আমাদের হাতে কম সময় আছে এ কারণেই দলের নিবন্ধন পেতে যা যা প্রয়োজন রয়েছে তা নিয়ে কাজ করছি।”

এনসিপির আদর্শ এবং এককভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- “আমরা মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আপাতত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং যে কোনো প্রকার নতজানু  পররাষ্ট্রনীতি তার বিরুদ্ধে লড়ে সার্বভৌম স্বাধীন ভূখন্ড তৈরি করতে চাই। আগামী নির্বাচনে এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে নির্বাচন মূহুর্তে মাঠের অবস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপরার ভিত্তিতে নির্বাচনি যে কোনো সমঝোতা জোট হতে পারে। তবে তা নিয়ে আমরা অগ্রিম কিছু ভাবছিনা।”

Please Share This Post in Your Social Media

- ফয়সাল মাহমুদ শান্ত

“একজন বিচারপতিকে রাখার জন্যে সংবিধান পরিবর্তন করে বয়স বাড়ানোর ইতিহাসও আমরা জানি”

চৌধূরী মুনীর হোসেন, বরগুনা প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বরগুনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমান চিফ অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপির মানবাধিকার সম্পাদক ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানের নেতারা এখন সমন্বয়কের দায়িত্বে। তাদের নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিএনপি সমর্থিত উপদেষ্টাদের ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন উঠা উচিত।

এ ছাড়া ২০০৬ সালে একজন বিচারপতিকে রাখার জন্যে সংবিধান পরিবর্তন করে বয়স বাড়ানোর ইতিহাসও আমরা জানি। একজন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে কিরকম চায়? তাদের প্রেসক্রিপশনে সেরকম লোক আসলেই নিরপেক্ষ স্বীকার করবেন। তবে আমরা মনে করি দেশের জনগণই নিরপেক্ষতা বিচার করবেন।”

শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এনসিপির আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন- “আমাদের বলা হয় কিংস পার্টি। কিন্তু বাস্তবে আমাদের শীর্ষ নেতাকর্মীরা কোথাও গেলেও বিএনপির স্থানীয় নেতাদের হাতে মার খেতে হয়। বর্তমান সময়ে চার থেকে পাঁচটি প্রমোশন পেয়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত বঞ্চিতরাই সচিব হয়েছেন। তাদের মাধ্যমেই সচিবালয় থেকে শুরু করে ডিসি, এসপি, ইউএনও অফিস পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। এ থেকেই বোঝা যায়, সত্যিকার অর্থে ‘কিংস পার্টি’ কারা।”

তিনি বিএনপির অতীত ইতিহাসের প্রসঙ্গে বলেছেন- “তারা প্রথমে সরকারে এসে পরে দল গঠন করেছে। এখনকার প্রেক্ষাপটে জনগণ এমন কিছু ভাবতেই পারে। তবে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি অভ্যুত্থান হয়েছে, যদিও অনেক রাজনীতিক তা স্বীকার করতে চান না।”

সরকারের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে ফয়সাল বলেন- “গত সাত মাসে সরকার অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরিসরে তাদের পদক্ষেপ দেশের মানুষের পক্ষে কিনা, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। যদি জনগণ না চায়, তবে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হোক।”

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির অবস্থান জানিয়ে তিনি বলেন- “আমরা এখনো দৃশ্যমানভাবে প্রার্থী দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের সমস্যাগুলো জানার জন্য এলাকায় যাচ্ছেন।  বর্তমানে আমাদের মূল দৃষ্টি এবং আমাদের রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে জুলাই আন্দোলনে মানুষের আকাঙ্ক্ষা এবং জুলাইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বিচারের উপর। তবে আমাদেরকে বিভিন্ন দল বাধ্য করছে নির্বাচনী আলোচনায় যেতে, পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণ করতে। কিন্তু আমরা মনে করি এটা আমাদের সঠিক সময় না। এখন সময় হচ্ছে এলাকার মানুষের সমস্যা বের করা। যারা প্রার্থী হবে তাদের এলকায় সব দলেরই উচিত ওই এলাকার সমস্যাগুলো জান। আমাদের হাতে কম সময় আছে এ কারণেই দলের নিবন্ধন পেতে যা যা প্রয়োজন রয়েছে তা নিয়ে কাজ করছি।”

এনসিপির আদর্শ এবং এককভাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- “আমরা মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আপাতত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং যে কোনো প্রকার নতজানু  পররাষ্ট্রনীতি তার বিরুদ্ধে লড়ে সার্বভৌম স্বাধীন ভূখন্ড তৈরি করতে চাই। আগামী নির্বাচনে এখন পর্যন্ত আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে নির্বাচন মূহুর্তে মাঠের অবস্থা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বোঝাপরার ভিত্তিতে নির্বাচনি যে কোনো সমঝোতা জোট হতে পারে। তবে তা নিয়ে আমরা অগ্রিম কিছু ভাবছিনা।”