ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন মামুনুল হক সিলেটে সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে তদন্ত কমিটির গণশুনানি আ’লীগ নেতাকর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ: গ্রেফতার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনবেন আদালত চন্দ্রনাথ পাহাড় ঘিরে উসকানিমূলক কার্যক্রমের চিহ্ন দেখামাত্র ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার, বিদেশি নাগরিক আটক লায়লাকে হত্যাচেষ্টা, প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ: প্রধান বিচারপতি পুরনো ভিডিও নিয়ে কটাক্ষ, কড়া জবাব দিলেন প্রভা শুভাঢ্যা খালকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গার সঙ্গে প্রবাহমান করা হবে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা

ঋষি সুনাকের ব্যক্তিগত বাসভবন কালো কাপড়ে ঢেকে প্রতিবাদ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:২৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২১৪ Time View

পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত ঋষি সুনাকের ব্যক্তিগত বাসভবন কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিসের যুক্তরাজ্য শাখা গ্রিনপিস ইউকে কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন এবং একই দিন ব্রিটেনের প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটেও এই সংস্থার কর্মীদের নেতৃত্বে প্রতিবাদী সমাবেশ হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতিকে পাশ কাটিয়ে উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়ায় প্রতিবাদে ভিন্নধর্মী এই প্রতিবাদ জানানো হয় দেশটিতে। খবর সিএনএন, রয়াটার্স এর।

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, সুনাকের নর্থ ইয়র্কশায়ারের বাড়ির ছাদে উঠে সেখান থেকে কালো তাপড় ঝুলিয়ে পুরো বাড়ি ঢেকে দেন পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের সদস্যরা। এ সময় দ্রুত নতুন জ্বালানি নীতি পরিবর্তনে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গ্রিনপিস ইউকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির বিভিন্ন ছবি। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে,ইয়র্কশায়ারে কালো কাপড়ে ঢাকা সুনাকের বাসভবনের ছাদের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রিনপিস ইউকের চারজন কর্মী, আর নিচের লনে দু’জন কর্মী হাতে একটি কালো কাপড়ের ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই ব্যানারে লেখা— ‘ঋষি সুনাক, কোনটি গুরুত্বপূর্ণ— তেলের মুনাফা নাকি আমাদের ভবিষ্যৎ?

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতি গ্রহণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও আন্দোলনের ফলে ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বছরই পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়াতে ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এবং আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য কার্বন বা জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে যুক্তরাজ্য।

সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়া জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও জ্বালানি তেলের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পণ্যের এই মূল্যস্ফীতির ব্যাপক প্রভাব পড়ে যুক্তরাজ্যের সীমিত আয়ের লোকজনরা।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জরিপে দেখা গেছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে তিন বেলার খাদ্য কেনার সামর্থ্য নেই— এমন লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। জনসাধারণের এই ভোগান্তি দূর করতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো সংক্রান্ত পূর্বের নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বেশ স্পষ্টভাবেই দিয়েছে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকার।

সোমবার এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর সাগরের যুক্তরাজ্য উপকূলের গভীর ও অগভীর বিভিন্ন এলাকায় তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধানের জন্য শতাধিক লাইসেন্স ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়লা অনুসন্ধানের লাইসেন্সও ইস্যু করবে সরকার।

ব্রিটিশ সরকারের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে গ্রিনপিস ইউকেসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। গ্রিনপিস ইউকের একজন নেতৃস্থানীয় সংগঠক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের দাবি একটিই। আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একজন জলবায়ুবান্ধব নেতা হিসেবে দেখতে চাই। জলবায়ু ধ্বংসকারী হিসেবে নয়।
সূত্র : রয়টার্স/সিএনএন

Please Share This Post in Your Social Media

ঋষি সুনাকের ব্যক্তিগত বাসভবন কালো কাপড়ে ঢেকে প্রতিবাদ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:২৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীরা ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত ঋষি সুনাকের ব্যক্তিগত বাসভবন কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিসের যুক্তরাজ্য শাখা গ্রিনপিস ইউকে কর্মীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন এবং একই দিন ব্রিটেনের প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটেও এই সংস্থার কর্মীদের নেতৃত্বে প্রতিবাদী সমাবেশ হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতিকে পাশ কাটিয়ে উত্তর সাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি দেওয়ায় প্রতিবাদে ভিন্নধর্মী এই প্রতিবাদ জানানো হয় দেশটিতে। খবর সিএনএন, রয়াটার্স এর।

এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, সুনাকের নর্থ ইয়র্কশায়ারের বাড়ির ছাদে উঠে সেখান থেকে কালো তাপড় ঝুলিয়ে পুরো বাড়ি ঢেকে দেন পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিসের সদস্যরা। এ সময় দ্রুত নতুন জ্বালানি নীতি পরিবর্তনে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

গ্রিনপিস ইউকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচির বিভিন্ন ছবি। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে,ইয়র্কশায়ারে কালো কাপড়ে ঢাকা সুনাকের বাসভবনের ছাদের রেলিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রিনপিস ইউকের চারজন কর্মী, আর নিচের লনে দু’জন কর্মী হাতে একটি কালো কাপড়ের ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। সেই ব্যানারে লেখা— ‘ঋষি সুনাক, কোনটি গুরুত্বপূর্ণ— তেলের মুনাফা নাকি আমাদের ভবিষ্যৎ?

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিনের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নীতি গ্রহণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও আন্দোলনের ফলে ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে প্রতি বছরই পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বাড়াতে ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এবং আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য কার্বন বা জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে যুক্তরাজ্য।

সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়া জ্বালানি পণ্যের ওপর নিষেধজ্ঞা দেওয়ায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও জ্বালানি তেলের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পণ্যের এই মূল্যস্ফীতির ব্যাপক প্রভাব পড়ে যুক্তরাজ্যের সীমিত আয়ের লোকজনরা।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জরিপে দেখা গেছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে তিন বেলার খাদ্য কেনার সামর্থ্য নেই— এমন লোকজনের সংখ্যা বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। জনসাধারণের এই ভোগান্তি দূর করতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো সংক্রান্ত পূর্বের নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত বেশ স্পষ্টভাবেই দিয়েছে ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সরকার।

সোমবার এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর সাগরের যুক্তরাজ্য উপকূলের গভীর ও অগভীর বিভিন্ন এলাকায় তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধানের জন্য শতাধিক লাইসেন্স ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কয়লা অনুসন্ধানের লাইসেন্সও ইস্যু করবে সরকার।

ব্রিটিশ সরকারের সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছে গ্রিনপিস ইউকেসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন। গ্রিনপিস ইউকের একজন নেতৃস্থানীয় সংগঠক রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের দাবি একটিই। আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একজন জলবায়ুবান্ধব নেতা হিসেবে দেখতে চাই। জলবায়ু ধ্বংসকারী হিসেবে নয়।
সূত্র : রয়টার্স/সিএনএন