ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষতা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অপর পক্ষের বাধা, সংঘর্ষে আহত ৫ তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বাসদের স্মারকলিপি পেশ কুবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সময় বৃদ্ধি বাসা থেকে প্রবেশপত্র আনতে ও পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে পৌঁছে দি‌য়ে সহায়তা ক‌র‌লেন মান‌বিক পুলিশ ফেসবুকে ইসরাইলী পণ্য বিক্রির গুজব, নিরাপত্তাহীনতায় মালিক-কর্মচারীরা টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ছয় সহযোগী গ্রেফতার জবিতে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি, মার্কিন ও সৌদি দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান অতিরিক্ত শুল্কে মার্কিন নাগরিকদের ক্ষতি বেশি রংপুরে বিএনপিকর্মী নিহত, সাবেক এমপিসহ ৮ নেতার নামে মামলা

উখিয়ায় দশ বছরে হাটবাজারের ইজারা মুল্য বেড়েছে ২০৫০ গুণ: বাজারই চলে সাব ইজারায়

ইকবাল হোসাইন:উখিয়া,কক্সবাজার
  • Update Time : ০৯:১৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭১ Time View

ভৌগোলিক অবস্থানগত ভাবে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে সরকারি হাটবাজার রয়েছে ১০টি। এসব হাটবাজারের ১৪৩২ বাংলা সনের ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ঐ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এবার সর্বোচ্চ ইজারা দর ২ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫ শত ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে রাজাপালং ইউপি’র কুতুপালং হাটবাজারের।

অথচ ২০১৫ সালে অর্থাৎ ১৪২২ বঙ্গাব্দে এই বাজারের ইজারা দর ছিলো মাত্র ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩ শত ৩৪ টাকা, সে হিসেবে এবার প্রায় ৪৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া কুতুপালং বাজারটির মূল্য।শুধু কুতুপালংই নয়, উপজেলার অন্যান্য বাজারগুলোর মূল্য বেড়েছে আনুপাতিক হারে। বেড়েছে বালুখালী বাজারের ইজারা দর।যেটি উপজেলার সব বাজার দরের মধ্যে নজিরবিহীন রেকর্ড করেছে।

এবার রাজাপালংয়ের ইউপিস্থ উখিয়া সদরের দারোগাবাজারের সরকারি মূল্য ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৬ শত ৮৯ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে এই মূল্য ছিলো ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৬ শত ৬৭ টাকা।

পালংখালী ইউপি’র বালুখালী বাজার, চট্টগ্রাম বিভাগের সব সরকারি বাজারের মধ্যে  মূল্যবৃদ্ধিতে করেছে রেকর্ড।  আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ১৪৩১ বঙ্গাব্দে এই বাজারটির ইজারা বন্ধ থাকলেও এবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩ শত ৭৩ টাকা।২০১৫ সালে মাত্র ৮ হাজার ৭ শত ৩৪ টাকা দর থাকা বালুখালী বাজারের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৪৫ গুণ।

প্রতিবারই ইজারার শর্তাবলীতে উল্লেখ থাকে কোনভাবেই বাজারগুলোতে সাব-লিজ দেওয়া যাবে না, বাস্তবে এই চিত্র ভিন্ন।সব বাজারই চলে সাব ইজারায়।সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইজারা নিয়ে প্রভাবশালীরা কাঁচাবাজার,মাছবাজার সহ নানা অংশে ভাগ করে চড়া মূল্যে বিক্রি করেন ইজারাদাররা। এই অনিয়মের কারণে নির্ধারিত ইজারার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হয় বাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে , ঘুরেফিরে যার ভুক্তভোগী হতে হয় সাধারণ ভোক্তাদেরই।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্তাবলি মানতে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এবার প্রথমধাপে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে শিডিউল বিক্রির শেষ সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৩ মার্চ ২০২৫ ‘র বেলা ৩ টা ৩০ পর্যন্ত।

Please Share This Post in Your Social Media

উখিয়ায় দশ বছরে হাটবাজারের ইজারা মুল্য বেড়েছে ২০৫০ গুণ: বাজারই চলে সাব ইজারায়

ইকবাল হোসাইন:উখিয়া,কক্সবাজার
Update Time : ০৯:১৩:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভৌগোলিক অবস্থানগত ভাবে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে সরকারি হাটবাজার রয়েছে ১০টি। এসব হাটবাজারের ১৪৩২ বাংলা সনের ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ঐ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, এবার সর্বোচ্চ ইজারা দর ২ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৫ শত ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে রাজাপালং ইউপি’র কুতুপালং হাটবাজারের।

অথচ ২০১৫ সালে অর্থাৎ ১৪২২ বঙ্গাব্দে এই বাজারের ইজারা দর ছিলো মাত্র ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩ শত ৩৪ টাকা, সে হিসেবে এবার প্রায় ৪৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া কুতুপালং বাজারটির মূল্য।শুধু কুতুপালংই নয়, উপজেলার অন্যান্য বাজারগুলোর মূল্য বেড়েছে আনুপাতিক হারে। বেড়েছে বালুখালী বাজারের ইজারা দর।যেটি উপজেলার সব বাজার দরের মধ্যে নজিরবিহীন রেকর্ড করেছে।

এবার রাজাপালংয়ের ইউপিস্থ উখিয়া সদরের দারোগাবাজারের সরকারি মূল্য ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৬ শত ৮৯ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে এই মূল্য ছিলো ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৬ শত ৬৭ টাকা।

পালংখালী ইউপি’র বালুখালী বাজার, চট্টগ্রাম বিভাগের সব সরকারি বাজারের মধ্যে  মূল্যবৃদ্ধিতে করেছে রেকর্ড।  আদালতের নিষেধাজ্ঞায় ১৪৩১ বঙ্গাব্দে এই বাজারটির ইজারা বন্ধ থাকলেও এবার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩ শত ৭৩ টাকা।২০১৫ সালে মাত্র ৮ হাজার ৭ শত ৩৪ টাকা দর থাকা বালুখালী বাজারের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ৪৫ গুণ।

প্রতিবারই ইজারার শর্তাবলীতে উল্লেখ থাকে কোনভাবেই বাজারগুলোতে সাব-লিজ দেওয়া যাবে না, বাস্তবে এই চিত্র ভিন্ন।সব বাজারই চলে সাব ইজারায়।সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইজারা নিয়ে প্রভাবশালীরা কাঁচাবাজার,মাছবাজার সহ নানা অংশে ভাগ করে চড়া মূল্যে বিক্রি করেন ইজারাদাররা। এই অনিয়মের কারণে নির্ধারিত ইজারার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হয় বাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে , ঘুরেফিরে যার ভুক্তভোগী হতে হয় সাধারণ ভোক্তাদেরই।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্তাবলি মানতে ব্যর্থ হলে আইন অনুযায়ী ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এবার প্রথমধাপে দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে শিডিউল বিক্রির শেষ সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ৩ মার্চ ২০২৫ ‘র বেলা ৩ টা ৩০ পর্যন্ত।