ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইরানের শত্রুরা খামেনিকে হত্যার চেষ্টার পরিকল্পনা করছে ওবায়দুল কাদেরের ‘কথিত পালকপুত্র’ হিরুর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু মহানবীর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা হবে বিএনপির মূলমন্ত্র হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি পাঠানো হয়েছে আয়ারল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে দাপুটে জয় বাংলাদেশের অভিনেত্রী পপি নিরাপত্তাহীনতায় আলিয়া মাদ্রাসায় তুমুল সংঘর্ষ থামালো সেনাবাহিনী, হাসপাতালে ৭ শিক্ষার্থী সাকিবকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির রেকর্ড ছুঁলেন তাইজুল ভিকারুননিসা স্কুলে আজকের পরীক্ষা স্থগিত যুক্তরাষ্ট্রে রোবোবোট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি ‘টিম বেঙ্গলবোট’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৮৪ Time View

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কাছে সমকামীতা, ক্লাসের মাঝে নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত, বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো সহ নানা লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীরা।

মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনর সামনে থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে মীর-মোশারফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এসে একত্রিত হয়ে, “হাফিজের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না” “সমকামী শিক্ষক চাই না, চাই না” “হাফিজ হটাও ডিএস বাঁচাও” নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যানার টানানো হয়।

পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ফটকে কুশপুত্তলিকা টানিয়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়, তার কিছুক্ষণ পরে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন । সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর ইসলাম বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে হেনস্তা করতো এই শিক্ষক। সে সহকামিতা সার্পোট করে। অনেক শিক্ষার্থীকে তাঁর বাসায় ডেকে অফার করা হয়েছে। আমরা তাঁর বহিষ্কার চাই।

গত ৮ অক্টোবর এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে দশ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে এবং ২২ অক্টোবর বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মূল রিপোর্ট প্রধান করবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ

মোঃ হাছান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৪৭:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

পূর্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির কাছে সমকামীতা, ক্লাসের মাঝে নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত, বাধ্যতামূলকভাবে শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের মিছিলে পাঠানো সহ নানা লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী শিক্ষর্থীরা।

মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনর সামনে থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে মীর-মোশারফ হোসেন অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এসে একত্রিত হয়ে, “হাফিজের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না” “সমকামী শিক্ষক চাই না, চাই না” “হাফিজ হটাও ডিএস বাঁচাও” নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যানার টানানো হয়।

পরে প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ফটকে কুশপুত্তলিকা টানিয়ে জুতা নিক্ষেপ করা হয়, তার কিছুক্ষণ পরে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য ও হুমকির অভিযোগ এনে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন । সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক, পরিবার ও চেহারা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাজে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর ইসলাম বলেন, বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে হেনস্তা করতো এই শিক্ষক। সে সহকামিতা সার্পোট করে। অনেক শিক্ষার্থীকে তাঁর বাসায় ডেকে অফার করা হয়েছে। আমরা তাঁর বহিষ্কার চাই।

গত ৮ অক্টোবর এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে দশ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদনে জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনে এবং ২২ অক্টোবর বক্তব্য শুনে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে মূল রিপোর্ট প্রধান করবেন।