ঢাকা ০৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ইউক্রেন যুদ্ধে ‘গেম চেঞ্জার’ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান!

Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
  • / ১১০ Time View

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সুবাদে ইউক্রেনের পাইলটদের জেট ব্যবহার করার প্রশিক্ষণও দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধের ৪৫০ দিনের মাথায় কিয়েভের এমন সামরিক উন্নতির জন্য এ যুদ্ধবিমানকে মাইলফলক হিসাবে দেখছে তার পশ্চিমা মিত্ররা। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কতগুলো, কত দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং কি ধরনের যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হচ্ছে? সেক্ষেত্রে এফ-১৬ এর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাতে এফ-১৬ নিজের সুনিপুণ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে প্রতিবার। এফ-১৬ শত্রু বিমানকে দীর্ঘ পরিসীমায় নিযুক্ত করার অনুমতি দেয়। উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন এ বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুকে ভেদ করার জন্য রাডার লক বজায় রাখার প্রয়োজন হয় না।

ইউক্রেনে বর্তমানে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের তুলনায় এফ-১৬ লেজার, জিপিএস এবং উন্নত টার্গেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত।
নির্ভুল বোমা উৎক্ষেপণ, শত্রুপক্ষের স্থলভিত্তিক স্থাপিত রাডারগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে এফ-১৬ যথেষ্ট কার্যকরী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত যুদ্ধবিমানগুলোতে এ বৈশিষ্ট্যগুলো উপস্থিত থাকবে কিনা তা এখনও ধোঁয়াশা। এফ-১৬ সরবরাহ ও এটি পরিচালনা করার প্রশিক্ষণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউক্রেনের বর্তমান যুদ্ধবিমানের তুলনায় এফ-১৬ পরিচালনা করা অনেকটাই ভিন্ন। এটি পরিচালনা করতে যথেষ্ট সময়ও অনুশীলনের প্রয়োজন। ইউক্রেনীয় পাইলটদের সেক্ষত্রে বেসপোক সিমুলেটর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপদে উড্ডয়ণ ও অবতরণের জন্য দক্ষ ক্রু প্রয়োজন। তাই অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে এফ-১৬ সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি জটিল প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

ইউক্রেন যুদ্ধে ‘গেম চেঞ্জার’ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান!

Reporter Name
Update Time : ১০:২৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান সরবরাহে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সুবাদে ইউক্রেনের পাইলটদের জেট ব্যবহার করার প্রশিক্ষণও দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধের ৪৫০ দিনের মাথায় কিয়েভের এমন সামরিক উন্নতির জন্য এ যুদ্ধবিমানকে মাইলফলক হিসাবে দেখছে তার পশ্চিমা মিত্ররা। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কতগুলো, কত দ্রুতগতিসম্পন্ন এবং কি ধরনের যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হচ্ছে? সেক্ষেত্রে এফ-১৬ এর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাতে এফ-১৬ নিজের সুনিপুণ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে প্রতিবার। এফ-১৬ শত্রু বিমানকে দীর্ঘ পরিসীমায় নিযুক্ত করার অনুমতি দেয়। উচ্চদক্ষতাসম্পন্ন এ বিমানটি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুকে ভেদ করার জন্য রাডার লক বজায় রাখার প্রয়োজন হয় না।

ইউক্রেনে বর্তমানে ব্যবহৃত যুদ্ধবিমানের তুলনায় এফ-১৬ লেজার, জিপিএস এবং উন্নত টার্গেটিং সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত।
নির্ভুল বোমা উৎক্ষেপণ, শত্রুপক্ষের স্থলভিত্তিক স্থাপিত রাডারগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে এফ-১৬ যথেষ্ট কার্যকরী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত যুদ্ধবিমানগুলোতে এ বৈশিষ্ট্যগুলো উপস্থিত থাকবে কিনা তা এখনও ধোঁয়াশা। এফ-১৬ সরবরাহ ও এটি পরিচালনা করার প্রশিক্ষণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ইউক্রেনের বর্তমান যুদ্ধবিমানের তুলনায় এফ-১৬ পরিচালনা করা অনেকটাই ভিন্ন। এটি পরিচালনা করতে যথেষ্ট সময়ও অনুশীলনের প্রয়োজন। ইউক্রেনীয় পাইলটদের সেক্ষত্রে বেসপোক সিমুলেটর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপদে উড্ডয়ণ ও অবতরণের জন্য দক্ষ ক্রু প্রয়োজন। তাই অন্যান্য মিত্র দেশগুলোকে এফ-১৬ সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি জটিল প্রক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হবে।