ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আলিয়া মাদ্রাসায় তুমুল সংঘর্ষ থামালো সেনাবাহিনী, হাসপাতালে ৭ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১২:০৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ Time View

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন

পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার গভীর রাতের এ সংঘর্ষে সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চকবাজার থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে মাদরাসায় বাড়তি পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। রাত আড়াইটার দিকে মাদ্রাসার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কী কারণে এই সংঘর্ষ তা জানাতে পারেননি চকবাজার থানা পুলিশের এই সদস্য। এ ব্যাপারে এসআই আশরাফুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যেই দুটি গ্রুপের ঝামেলার কথা শুনেছি। এখানে বাইরের কোনো পক্ষ জড়িত বলে জানা যায়নি।

আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—সাদিক (২১), মঈন (২২), ইলিয়াস (২১), ওমর ফারুক (২১), আবু বকর (২২), ওয়ালিদ (২২) ও এনামুল (২২)।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মাদ্রাসার ভেতরে একটি মিলাদ মাহফিল চলছিল। সেসময় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আহত সাতজনই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে তারা কেউই সংঘর্ষের সঠিক কারণ বিস্তারিত জানাননি।

Please Share This Post in Your Social Media

আলিয়া মাদ্রাসায় তুমুল সংঘর্ষ থামালো সেনাবাহিনী, হাসপাতালে ৭ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১২:০৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের দু’পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার গভীর রাতের এ সংঘর্ষে সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

চকবাজার থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে মাদরাসায় বাড়তি পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। রাত আড়াইটার দিকে মাদ্রাসার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কী কারণে এই সংঘর্ষ তা জানাতে পারেননি চকবাজার থানা পুলিশের এই সদস্য। এ ব্যাপারে এসআই আশরাফুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যেই দুটি গ্রুপের ঝামেলার কথা শুনেছি। এখানে বাইরের কোনো পক্ষ জড়িত বলে জানা যায়নি।

আহত সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন—সাদিক (২১), মঈন (২২), ইলিয়াস (২১), ওমর ফারুক (২১), আবু বকর (২২), ওয়ালিদ (২২) ও এনামুল (২২)।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মাদ্রাসার ভেতরে একটি মিলাদ মাহফিল চলছিল। সেসময় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। আহত সাতজনই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে তারা কেউই সংঘর্ষের সঠিক কারণ বিস্তারিত জানাননি।